বেশ্যার বারোমাস্যা

পর্ব: ১০৪

শাহাজানের হারেম।

সুজিৎ চট্টোপাধ্যায় : এই পর্বে মোঘল সম্রাট শাহাজানের নারীসঙ্গ নিয়ে সাযযাদ কাদির তাঁর হারেমের কাহিনী জীবন ও যৌনতা বইতে কি লিখেছেন তুলে ধরছি। তিনি লিখেছেন,,,, মুঘল সম্রাটরা বিশেষ কিছু রীতি -প্রথা মেনে চলতেন। ফ্রিঞ্চ জানিয়েছেন: জাহাঙ্গীরের আমলে সম্রাটের সিংহাসনপাতা হয়েছিল জেনানা -মহলের সংলগ্ন এক কামরায়। এটাই পরে ঐতিহ্যে পরিণত হয়। শাহাজানের আমলেও এমন ব্যবস্থা ছিল বলে মানুচ্চি জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, যে সিংহাসনে সম্রাট শাহাজান বসতেন সেটা ছিল জেনানা মহলের সামনের এক কক্ষে। এর কারণ দরজা দিয়ে বেরিয়ে মাত্র কয়েক পা হেঁটেই তিনি সিংহাসনে বসতে পারতেন।

পর্যটক বার্নিয়ের।

আর এক পর্যটক বারনিয়ের জানিয়েছেন, এই জেনানা মহলে প্রবেশের অধিকার নবাব ছাড়া ছিল খোজাদের। তাদের কাছ থেকেই বারনিয়ের শুনেছিলেন, মুঘল সেরাগলিয়ো অনেক সুসজ্জিত মহলে সুশোভিত; মহলগুলো আয়তনে ছোট বড় ছিল, সাজসজ্জাতেও তারতম্য ছিল; কারণ বেগমদের মর্যাদা ও আয় অনুসারে এগুলো বরাদ্দ করা হতো। প্রতিটি মহলের দরজার সামনে ছিল চৌবাচ্চা; আর এর চারপাশে ছিল ফুলের বাগান, মনোরম কুঞ্জগলি, ছায়াবীথি, ঝর্ণা, ফোয়ারা, নকল গুহা প্রভৃতি।,,,, দিনের বেলা গরম এড়াতে সেখানে বিশ্রাম নিতো অনেকে, রাতে ঘুমাবারও ছিল আয়েশি ব্যবস্থা। খোজারা স্বর্ণখচিত এক উঁচু অট্টালিকার কথা বলতো প্রশংসার সঙ্গে। যমুনা নদীর তীরবর্তী ওই অট্টালিকা ছিল অনেক দেয়ালচিত্রে সুশোভিত। সেটি ছিল খাসমহল _ পৃথিবীর অন্যতম আশ্চর্য , দূরদূরান্তের অতিথিরা সেখানে বেড়াতে যেতেন প্রায়ই। পরের পর্বে জানাবো, হারেমের জেনানাদের দিকে কেমন নজর দেওয়া হতো সেই সম্পর্কে। জানাবো এই হারেমের জেনানাদের কিভাবে সংগ্রহ করা হতো।( চলবে )

মোঘল হারেমে পাহারায় থাকত নপুংসক খোজারা।

পরবর্তী পর্ব ১৮ এপ্রিল , শুক্রবার,২০২৫

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *