এখন রাজ্যের প্রান্তিক অঞ্চলের ছোটরা ইংরেজিতে কথা বলতে পারবে, উদ্যোগ অধীতি এডুকেশন ট্রাস্টের

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: মহাত্মা গান্ধীর গ্রাম স্বরাজ প্রকল্পে অনুপ্রাণিত অধীতি এডুকেশন ট্রাস্ট অভীক সাহার নেতৃত্বে অরাজনৈতিক কৃষক সংগঠনের সহযোগিতায় রাজ্যের প্রান্তিঅঞ্চল বিশেষত ইঁটভাটা শ্রমিক সন্তানদের বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষা ও প্রাথমিক, মধ্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কার্যকলাপ-ভিত্তিক শিক্ষা প্রদানের জন্য এক প্রকল্প গ্রহণ করেছে।

প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সাংবাদিক সন্মেলনের কৃষক সংগঠনের পক্ষে অভীক সাহা, সমাজকর্মী অভিজিৎ ব্যানার্জি, কলকাতা উচ্চ আদালতের আইনজীবী জয়তী সাহা, সমাজকর্মী তাপস কর ও ট্রাস্টের অ্যাকাডেমিক ডিরেক্টর পৃথা রায় সাহা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন প্রশাসনিক ভুল নীতি, রাজনৈতিক উদাসীনতায় গ্রামীণ শিক্ষার মান তলানিতে যাচ্ছে।শহুরে শিশুরা কিছু সুযোগ পেলেও ব্রাত্য গ্রামের শিশু।গ্রামীণ অর্থনীতির পরিচালিত হচ্ছে অনুদান নির্ভর। সেই গ্রামীণ শিশুদের কাছে শৈশবকালীন শিক্ষা পৌঁছে দিতে অধীতি এডুকেশন ট্রাষ্ট ধুলোবালি নামে একটি প্লে স্কুল ও স্লেট -পেন্সিল এবং চক খড়ি নামে অ্যাকটিভিটি সেন্টার খোলা হয়েছে। রাজ্যের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম ও উত্তর চব্বিশ পরগণায় ৫০ টি স্কুল খোলাহয়েছে। যেখানে প্রায় তের’শ গ্রামীণ শিশু শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে।২০২৫ এর শেষে এমন সেন্টারের সংখ্যা ৫০০ করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে।

অভীক সাহা ও অভিজিৎ ব্যানার্জি বলেন, গ্রাম ও শহরের একটা বিভাজন হয়ে আছে ইংরেজি শিক্ষা নিয়ে। অনেক যোগ্য গ্রামের ছেলেমেয়েরা এই ইংরেজি দুর্বলতায় পিছিয়ে। আমরা দায়িত্ব নিয়েছি এই বাধা দূর করার।১০ জন গ্রামীণ শিক্ষক শিক্ষিকাদের আমরা তৈরি করে প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ শুরু করেছি। উদ্যোগপতি তেজবিন্দর সিং বলেন, ব্যবহারিক কাজে গ্রামে ঘুরে সমস্যাটা বুঝেছি। দক্ষিণ ভারতের দেখেছিট গ্রামীণ শিক্ষা কত উন্নত। এই মহান কাজে যুক্ত হয়ে নাগরিক দায় হিসেবে আমিও শিক্ষা বিস্তারে একজন সৈনিক হয়েছি।

জয়শ্রী সাহা বলেন, প্রাথমিক স্তরে রাজারহাটের কাছে উত্তর চব্বিশ পরগণার ব্রিকফিল্ড স্কুল খোলা হয়েছে। এই সংখ্যা বাড়বে। অ্যাকাডেমিক ডিরেক্টর পৃথা রায় সাহা বলেন , গ্রামীণ ব্রাত্য শিশুদের এক আদর্শ শৈশব ফিরিয়ে দেওয়ার ব্রত আমরা নিয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *