****
দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : আফ্রিকায় আদিম মানবের সৃষ্টি মূহূর্তে ছিল না মাথার ওপর চাদীত প্রয়োজনীয়তা। মূলত শীতের প্রকোপে গুহাবাসী হয় আদিম মানব। এরপর গুহার অভাবে তৈরি হল পশুর চামড়ায় তাঁবু। আজও রেড ইন্ডিয়ান সমাজে প্রান্তিক অঞ্চলে এমন গৃহ মেলে। বিবর্তনের পথ পেরিয়ে এখন তো ইট কাঠ পাথরের সামগ্রীরু সঙ্গে জল ও আগুন নিরোধক চাই ইট বা ফাইবার বাড়ির তৈরি হচ্ছে। গৃহসজ্জার ক্ষেত্রেও আমূল পরিবর্তন এক বিপ্লব নির্মাণ করেছে। সমীক্ষা বলছে,২০২৩ সালে যখন গৃহসজ্জা সামগ্রীর বিষয় বাজারে পরিমাণ ছিল ৮২২.৪৬ মার্কিন বিলিয়ন ডলার , আগামী ২০৩২ এ গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় ১৪০১.৩৬ মার্কিন বিলিয়ন ডলার। বার্ষিক বৃদ্ধির পরিমাণ ৬.১ শতাংশ। ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির নিরিখে গৃহসজ্জার বাজেট বাড়ছে। বাজার সমীক্ষানুযায়িত২৫ শতাংশ করে বার্চের।। মনস্তত্ত্ববিদেরা বলেন জগৎ ছোট গৃহ হোক নাট কেন গৃহসজ্জার নান্দনিকতা মনকে ইতিবাচক প্রভাব ফেলার। যা স্বাস্থ্যের জন্য দরকার।
সম্প্রতি কলকাতার মিলনমেলায় তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হল এবিড ইন্টেরিয়ারস ২০২৫। প্রায় ২৫০ টি গৃহসজ্জা সামগ্রী নির্মাতা এই মেলায় অংশ নেয়। মেলার উদ্বোধন করেন অভিনেত্রী নিলম, চাঙ্কি পাণ্ডের স্ত্রী ভাবনা পাণ্ডে যিনি নিজে একজন ইন্টারনেট ব্যাক্তিত্ব, ফ্যাশন ডিজাইনার সীমা কিরণ সাজদা, ইন্টারনেট ব্যক্তিত্ব মাহীপ কাপুর , যিনি ব্যক্তি জীবনে অভিনেতা সঞ্জয় কাপুরের স্ত্রী।
গৃহসজ্জা সংগঠনের সভাপতি কমলেশ আগরওয়ালের নেতৃত্বে ও সহসভাপতি রাজা সিনহার সহযোগিতায় সংগঠন এই মেলার সফল প্রদর্শন করে আসছে দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে। কোষাধ্যক্ষ মুকুল বোথরা, সহ সম্পাদক সুরজিৎ দুয়া, মেলা সমন্বয়কারী অঞ্জন গুপ্ত সমীরণ বণিক ও অভিজিৎ সাহার সু পরিকল্পনায় মেলা এক জনপ্রিয়তায় শীর্ষে পৌঁছেছে। সভাপতি কমলেশ আগরওয়াল জানান, এই মেলা শুধু মেলা নয়, যোগদানকারী অভিজ্ঞ গৃহসজ্জা পণ্যের ব্যবসায়ীরা নিজেদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন যা ব্যবসায়িক সাফল্যের অন্যতম শর্ত। সহ সভাপতি রাজা সিনহা বলেন, দৈনন্দিন অভিজ্ঞতার নিরিখে আমরা সৃজনশীলতার এক গবেষণা করি। মেলা সমন্বয়কারী তিন পদাধিকারী বলেন,ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতার কথা মাথায় রেখে আমরা এমন সব পণ্য বাজারে এনেছিই যা যে কোনো আর্থিক ক্ষিণতায়ের মানুষ নিজের ঘর সাজিয়ে তুলতে পারেন।
