নারায়না স্কুলে পড়াশুনার পাশাপাশি ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চায় ডোনা, দিব্যেন্দু , মেহতাব

*****

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: রবীন্দ্রনাথ ঘেরা টোপের ইস্কুলে বেশদিন ছিলেন না । খাঁচার ভেতর থাকার যন্ত্রণা উপলব্ধি করেছিলেন। তাই গড়ে তুলেছিলেন শান্তিনিকেতন। শিশুর বৌদ্ধিক ও শারীরিক বিকাশের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেছিলেন, কল্পনাশক্তির বিকাশ,সৃজনশীল মুক্ত চিন্তা কৌতূহল ও মনের সতর্কতা একজনআদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে। অন্যদিকে শারীরিক বিকাশকে গুরুত্ব দিয়ে তিনি শান্তিনিকেতনেযোগা, খেলাধুলার ব্যবস্থা করেন।

আধুনিক শিক্ষার মূল কথা, শিক্ষার্থীদের ব্যাক্তিত্ব দক্ষতার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া। সেই পথেই এগিয়ে এলো দেশের অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নারায়ণা স্কুল। অন্ধ্রপ্রদেশের পঙগুরু নারায়ণ দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১৯৭৯ সালে হায়দ্রাবাদে প্রথম গড়ে তোলেন নারায়ণা স্কুল। একসময় তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের মন্ত্রীও ছিলেন। একটি ঘরে সাতজন ছাত্র নিয়ে যে স্কুলের পথচলা শুরু আজ ২৩ টি রাজ্যে ২৩০টির বেশি শহরে ৮০০ টিরও বেশি স্কুল । স্কুল, জুনিয়র কলেজ, কোচিং সেন্টার, পেশাদার কলেজ বোর্ডিং সবকিছু নিয়ে এসিয়ার বৃহত্তম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটি। ছাত্রছাত্রী সংখ্যা প্রায় ৮ লাখ। সম্প্রতি কলকাতা প্রেসক্লাবে স্কুলের পক্ষে একাডেমিক হেড প্রিয়াঙ্কা মুখার্জি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন। তিনি জানান লেখাপড়ার পাশাপশি ছাত্রছাত্রীদের ছোট থেকে প্রতিভা আবিষ্কারের নৈতিক দায় পালন করতে স্কুলে নানা সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া পরিকাঠামো যুক্ত করা হয়েছে। নতুন সংযোজন নৃত্য, যন্ত্রসংগীত, রেডিও জকি , দাবা ও ফুটবল ।

এই বিষয়গুলির চর্চা যাঁদের নেতৃত্বে হবে তাঁরা সকলেই এই সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন নৃত্যশিল্পী ডোনা গাঙ্গুলি, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন দাবাড়ু ও ফুটবলার দিব্যেন্দু বড়ুয়া, মেহতাব হুসেন, মুম্বাইয়ের খ্যাতনামা মিউজিক স্কুলের টোরিন্স ও রেডিও জকি বরুণ। প্রত্যেকেই স্কুলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন আগে এমন সুযোগ ছিল না। কিন্তু এই স্কুল এই ধরণের প্রতিভা খোঁজার যে প্রচেষ্টা নিয়েছে আমরা স্ব স্ব ক্ষেত্রে আন্তরিক প্রচেষ্টা রাখব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *