পূব -পশ্চিমের মেলবন্ধন ঘটাতে আদিত্য একাডেমির ছাত্রছাত্রীরা পালন করল হ্যালোউইন উৎসব

****

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: বাংলার এক প্রথা ভূত চতুর্দশী। পশ্চিমেও ৩১ অক্টোবর পালিত হয় হ্যালোউইন ডে। এককথায় প্রেতচর্চা। ভিক্টোরিয়ান যুগের প্রখ্যাত দার্শনিক, জীববিজ্ঞানী, নৃতাত্ত্বিক,সমাজবিজ্ঞানীর ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের চিন্তাবিদ হাভার্ট স্পেন্সর বলেছেন, উপাসনা ধর্মের উৎপত্তি প্রেতপুজোর পি মধ্য দিয়ে। যা আসলে পূর্বপুরুষদের আরাধনা। আদিম মানুষ মনে করত পূর্বপুরুষদের আত্মারা তুষ্ট থাকলে বিপদে তাঁরা রক্ষা করবেন। ইংল্যান্ডে ও নর্দান আয়ারল্যান্ডে এই হ্যালোউইন উৎসব ৩১ অক্টোবর নয়, পালিত হয় ৫ নভেম্বর। নাম গাই ফক্স নাইট। ব্রিটেনের প্রথম রাজা জেমস খুন করার এক চেষ্টা হয়েছিল তাই গান পাউডার দিয়ে দিনটি আলোকিত করা হতো দেশে। রাজার দীর্ঘায়ু কামনা করে। এক অর্থে নতুন করে স্বাধীনতা প্রাপ্তি দিবস।

প্রখ্যাত দার্শনিক, জীববিজ্ঞানী, নৃতাত্ত্বিক, সমাজবিজ্ঞানী ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী , চিন্তাবিদ হাভার্ট স্পেন্সর বলেছিলেন, উপাসনা ধর্মের উৎপত্তি প্রেতপুজোর মধ্য দিয়ে

প্রাচীন সেল্টিক স্যমহেইন উৎসব আসলে যা ফসল তোলার উৎসব। এরপরেই শীত। সেল্টিকদের বিশ্বাস ছিল এই সময়ে মৃত আত্মারা জগতে আসেন স্মৃতির টানে। পরবর্তী সময়ে খ্রিস্টান সংস্কৃতিতে যুক্ত হয়। অল সেন্টস ডে’র আগের রাতে পালিত হয় অল হ্যালোস ইভ। এরপর আধুনিক যুগে কর্পোরেট কৌশলে এখন বিশ্বময় হ্যালোউইন ডে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। অথচ খৃষ্টান ধর্মের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান ভ্যাটিকানের পোপ ও বিশপরা বলছেন হ্যালোউইন ডে শয়তানের প্রার্থনা। যা খ্রিস্ট ধর্মের বিরোধী। ভ্যাটিকানের বিশপ ফাদার আলডো বুয়োনোউইতো বলেছেন, এই উৎসব পালনে ছোটদের মধ্যে অশুভ আত্মা ভর করতে পারে। অভিভাবকদের উচিত ছোটদের দিনটি হোলিউইন দিবস হিসেবে পালন করতে শেখানো।

এবার দমদমের আদিত্য একাডেমি মিডল স্কুল এক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষালয় ।কর্তৃপক্ষ স্কুলের ছোটদের নিয়ে এই ভূত সাজানোর এক উৎসব পালন করলেন স্কুল ভবনে। স্কুল চত্বরে কঙ্কাল, ভূত, মাকড়শার জাল বোনা , ভূতের মুখোশ, মাটির জ্যাক ও ল্যান্টার্নের প্রদর্শনে এক আধি ভৌতিক পরিবেশ গড়ে তোলা হয়। ছোট্ট নাটিকার মধ্য দিয়ে ভূতের কান্ডকারখানা অভিনয় করে দেখায় ছোটরা।প্রধানত শিক্ষিকা অংশু সিনহা বলেন , পড়াশোনার বাইরে একটি ইউরোপিয়ান সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে ছোটদের সৃজনশীলতা আমরা তুলে ধরতে চেয়েছি।
একাডেমিক ডিরেক্টর সবিতা রায় বলেন পশ্চিমের সঙ্গে পূবের সংস্কৃতি যুক্ত করে সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ তৈরি করতেই এই উৎসব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *