
দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: উত্তরবঙ্গ শব্দেই লুকিয়ে ছুটির আমেজ। স্মৃতি হাতড়ে মেলে বহু ছবি। দার্জিলিং মেলে চেপে কয়েকদিনের ছুটি কাটানো। দার্জিলিঙে ভোর রাতে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা সেতো স্বর্গীয় অনুভূতি। সেবক রোড ধরে পর্যটক যান সিকিমে। আঁকাবাঁকা রাস্তা , ঝিরঝিরে বৃষ্টি, চেনা অচেনা পাখির ডাক, কুয়াশায় ঢাকা পথ নীরব পাহাড়ের বুক চিরে বইতে থাকা তির তিরে নদীর স্রোত। গ্রীষ্মের দিনে হাজার হাজার দক্ষিণবঙ্গের মানুষ ছোটেন প্রকৃতির শীতল পরিবেশে। কিন্তু এই বছর দুমাস ধরে পুড়ছে বাংলা। কলাইকুন্ডা , পানাগড় , বাঁকুড়ার তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। চরম গরম পড়ে কলকাতায়। বলা যায়, গরমে এগিয়ে বাংলা।
প্রকৃতির নিয়মে এরপর হয়েছে গভীর নিম্নচাপ।২৬ মে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। দক্ষিণবঙ্গে অবস্থার পরিবর্তন হলেও উত্তরবঙ্গে প্রকৃতির রোষ বেসামাল করেছে উত্তরবঙ্গবাসীদের। বন্যার ছবি গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে। কোথাও নদী ভাঙন , কোথাও হড়পা বান। ভেসে যাচ্ছে রাস্তা । কোথাও পাহাড়ে নামছে ধস।১০ নম্বর জাতীয় সড়ক দিনের পর দিন অবরুদ্ধ। সড়ক গ্রাস করেছে তিস্তা। তিস্তা বাজার অঞ্চলে ভেঙে পড়েছে একের পর এক বাড়ি। ছাদ হারিয়ে কাজ হারিয়ে রাস্তায় গৃহহীন অসহায় মানুষ। গতবারের অভিজ্ঞতা দিয়ে কি তিস্তা বিপর্যয়ের ব্যাপারে সতর্কতা নেওয়া যেত না? দার্জিলিঙে নির্মাণআর উন্নয়নের স্রোতে মাটিতে নামছে ধস। মালদায় গঙ্গা গ্রাস করছে মাইলের পর মাইল জমি। চাষের জমি নদীগর্ভে। মানুষ আজ পরিযায়ী শ্রমিক। উত্তরবঙ্গ আজ বিপন্ন।
কেন এই বিপর্যয়? কেন বাড়ছে বৃষ্টি? তাহলে কি উত্তরবঙ্গ ইতিহাসের পাতায় স্থান নেবে অতীত হিসেবে? উত্তরের সন্ধানে টিভি নাইন বাংলার সাংবাদিক অকুলস্থলে পৌঁছে কথা বলেছেন পীড়িত মানুষদের সঙ্গে। সেই অসহায় বিপন্ন মানুষদের দীর্ঘ নিঃশ্বাসের ছবি দেখুন রবিবার রাত দশটায় টিভি নাইম বাংলায়। সঙ্গে থাকছে বিশেষজ্ঞদের মতামত। টিভি নাইন বাংলার অরুণ নিউজ সিরিজ বিপন্ন উত্তরবঙ্গ।
১৪ জুলাই রবিবার রাত দশটায়