ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের ইয়ং লিডার ফোরামের অনুষ্ঠানে স্মৃতি ইরানী প্রশংসার বন্যায় ভাসলেন

*******

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : ভারতের জনতার ভোটের ময়দানে যত না স্বচ্ছন্দ তার চেয়ে বেশি স্বচ্ছন্দ তিনি ইন্ডিয়ার মাটিতে। তাই ইন্ডিয়ার চেম্বার অফ কমার্সের সদস্যদের নতুন প্রজন্মের ইয়ং লিডার ফোরামের অনুষ্ঠানে এস ভূয়সী প্রশংসায় প্রশংসিত হয়েছেন তেমন আবেগজড়িত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন অবলীলাক্রমে। সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ ছিল । ছিল না প্রশ্ন করার অধিকার। নীরব দর্শক হয়ে তাই সংখ্যালঘু ইন্ডিয়ায় বাস করা নাগরিকদের সমাজ জীবনের ন্মধ্যেই আলোচনা সীমাবদ্ধ থেকে গেল। ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কথা আলোচনার স্থান পেল না।

অভিনেত্রী থেকে রাজনীতি। অভিনয় জীবনের জনপ্রিয়তা নিয়েনেতা নেত্রী হওয়া ইদানিং কালের একটা প্রথা। আগের দিনের মত ধীরে ধীরে গণ আন্দোলনের মধ্য থেকে উঠে আসার ব্যাপারে নেই। স্মৃতিইরানীর ভাগ্য বেশ সুপ্রসন্ন। অভিনেতা থেকে নেতা। নেতা থেকে মন্ত্রী উত্তরণ খুব দ্রুত। তারপর রাহুল গান্ধীর মত জায়েন্ট কিলার আমেথিতে। সুতরাং সাফল্যের নাও যে তরতর করে এগোবে তাতে আর সন্দেহ কি?

সম্প্রতি কলকাতার বাইপাসের ধারে এক তারাখচিত বিলাসবহুল হোটেলের ব্যাংকয়েটে ইয়ং লিডার ফোরামের আমন্ত্রণে এসে নিজের পারিবারিক শিকড় প্রসঙ্গে বলেন। মা বাঙালি বারেন্দ্র ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে। বাবা পাঞ্জাবি। স্বামী পার্শি। স্মৃতি জানান, শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন তিনি কিভাবে ভারত ভ্রমণ করে জেলা শিক্ষা আধিকারিক, মধ্য শিক্ষা কাউন্সিল, বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে এমন কি বিরোধী সাংসদদের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় শিক্ষা নীতি প্রসারে উদ্যোগী হয়েছিলেন। কারণ এই শিক্ষানীতি শুধু শিক্ষা বিভাগের কর্মসূচি নয়, প্রধানমন্ত্রীর ভবিষ্যত প্রজন্ম গড়ে তোলার একটি পরিকল্পনা। স্মৃতি জানান, দেশের প্রায় ২৫ হাজার গ্রামের শিক্ষা কাউন্সিল স্থানীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। স্মৃতির আমলে স্বয়ম নামে প্রকল্পে এখন প্রায় ২ কোটি মানুষ শিক্ষার অধিকার পেয়েছেন। দেশে গড়ে উঠেছে ডিজিটাল লাইব্রেরি। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষা মেধা নির্ণয় গড়ে উঠেছে স্বচ্ছতার সঙ্গে।

বৃত্তিমূলক শিক্ষার ক্ষেত্রে পেশাদার বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ হয়েছে আগামীদিনের উদ্যোগী গড়ে তোলার জন্য । ইয়ং লিডার ফোরামের পক্ষে প্রতীক জৈন, সাগর আগরওয়াই বলেন, আমাদের ইগনাইট ইয়োর পাওয়ার অনুষ্ঠানে জীবনের লক্ষ্য ও সাফল্য সম্পর্কে যা দিশা দেখালেন সেটা আমাদের জন্য সহায়ক। আমরা তাঁর জীবনের রাজনৈতিক , পারিবারিক ব্যক্তি জীবন সম্পর্কে কৌতূহলী প্রশ্ন যা রেখেছি উনি ষ্পষ্ট উত্তর দিয়েছেন।

কিন্তু আমন্ত্রিত সাংবাদিক হিসেবে আক্ষেপ থেকে গেল , মুখোমুখি হওয়ার সুযোগে প্রশ্ন রাখতে পারলাম না, নির্বাচনী হলফনামায় তিনি ২০০৪ সালে তথ্য দেন তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের স্নাতক ১৯৯৬ সালে।২০১৪ সালে বলেন বি কম করেছেন।২০১৫ সালে নিম্ন আদলত তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে মিথ্যা বর্ণনার অভিযোগ বহাল রাখে।
প্রশ্ন করার ছিল, কেন্দ্রে মানবসম্পদ উন্নয়ন দফতরের বা বস্ত্র দফতরের শিবেটেইর তাঁর সাথে আমলাদের বিবাদ কেন হয়? স্মৃতি মানবসম্পদ দফতরের মন্ত্রীথাকাকালীন মৌলিক গবেষণার জন্য তহবিল কেন হ্রাস হয়? কেন আই আই টি জাতীয় গবেষণাগারের প্রয়োজনীয় জিনিষ কেনার বরাদ্দকৃত অর্থ ছিল না?

১৪ এপ্রিল আসছে। জাতীয় নারী সঞ্চয় দিবস। দি গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্স বলছে লিঙ্গ বৈষম্যে ভারত এখনও পিছিয়ে। শ্রমশক্তির বিচারে পুরষের অংশগ্রহণ যেখানে ৭৬.১৪ শতাংশ সেখানে মহিলা ২৮.২৬। অথচ পুরুষের তুলনায় নারীর আয়ুকাল বেশি হওয়ায় সঞ্চয় বেশি প্রয়োজন। কিন্তু সেই চিত্র নেতিবাচক। এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর অধরা থেকে গেল। স্মৃতি সাংবাদিকদের জন্য পাঁচ মিনিট টাইম দিতে পারলেন না। তড়িঘড়ি তাঁকে ফিরতে হবে যে দিল্লিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *