পুরুষদের কথা বলবে পুরুষ পার্বণ ত্রৈমাসিক পত্রিকা

******

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : অনেকদিন ধরে অনেকেই আমাদের বলে এসেছেন ছেলেদের জন্য একটি পত্রিকার কথা।,,,,,,,,,, ভালো লাগছে এটা ভেবে যে আমাদের একটি স্বপ্ন সাকার হলো সম্প্রতি কলকাতা প্রেসক্লাবে অল বেঙ্গল মেন্স ফোরাম সংগঠনের একটি নতুন পত্রিকা পুরুষ পার্বণ এরপ্রথম সংখ্যার সম্পাদকীয়তে। লিখেছেন সংগঠনের হোতা ও পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক নন্দিনী ভট্টাচার্য।

বেশ কিছু বছর ধরে পুরুষ নির্যাতনের বিরুদ্ধে একটি সামাজিক লড়াই পরিচালনা করেছেন নন্দিনী ভট্টাচার্য। ফলে বলা যায় নন্দিনী এখন সেলিব্রেটি।৯০ এর দশকের উত্তর কলকাতার বাসিন্দার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার নিরিখে গড়ে তুলেছিলেন পীড়িত পুরুষ পতি পরিষদ।বেশকিছু মানুষ অবস্থার প্রেক্ষিতের সংগঠনে যুক্তর হয়েছিলেন। একটি পত্রিকাও প্রকাশিত হতো। সময়ের স্রোতে আজ আর কোনো খবর নেই সেই সংগঠনের। এখন পুরুষদের পারিবারিক ও সামাজিক নেতিবাচক পরিস্থিতিতে পাশে থাকছে অল বেঙ্গল মেন্স ফোরাম। এই মুহূর্তে পুরুষদের অধিকার ও বঞ্চনা নিয়ে প্রথমেই নন্দিনী ভট্টাচার্যের নাম উঠে আসে।
কিন্তু বিশ্বে এমন প্রায় ১৪ জন নারী আছেন যাঁরা পুরুষের অধিকার রক্ষার আন্দোলন করছেন সাফল্যের সঙ্গে।

কেনিয়ার রোজম্যারি মুথোনি কিনুথিয়া, দিল্লির দীপিকা ভরদ্বাজ প্রমুখ।১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজুড়ে বিশ্ব পুরুষ দিবসের প্রতিষ্ঠা করেন অধ্যাপক জেরেমি তিলক সিং। যেহেতু নারীবাদী আন্দোলন বিশ্বের ক্রমশ সংঘবদ্ধ বিআইভিসিইটি সেক্ষেত্রে পুরুষ অধিকার্ট সংগঠন এক সাংঘর্ষিক হয়ে উঠছে।নন্দিনীর ভট্টাচার্য অবশ্য বলেন ভারতের অবস্থা অতটা নেতিবাচক নয়। তবে এটা সত্যি বঙ্কিমচন্দ্রের মত শিক্ষিত মানুষ প্রথমে নারী পুরুষের সাম্য নিয়ে বই লেখেন সাম্য। সেই তিনিই পরে বইটি মুদ্রণ বন্ধুর করে দিয়ে বলেছিলেন পুরুষ – নারীর সাম্য কিরূপে সম্ভব? পুরুষ কি পারিবে সন্তান প্রসব করিতে? নারী কি পারিবে পল্টন লইয়া যুদ্ধ করিতে? আসলে নারী স্বাধীনতার অভাব এদেশে বেশি তাই নারী স্বাধিকারের কথা বলার মধ্যে একটা প্রগতিশীল মনোভাব প্রকাশের প্রবণতা দেশের বুদ্ধিজীবী, রাষ্ট্রের রক্ষক ও আইনি পরিধিতে ভাইরাস হয়ে উঠছে। এটাও ঠিক দেশের আর্থ- সামাজিক কাঠামোয় পুরুষ আগ্রাসন স্বাভাবিক ভাবেই বেশি।

সে যাইহোক আমাদের সংবাদ পুরুষদের জন্য পত্রিকা। সংগঠনের নেত্রী নন্দিনী ভট্টাচার্য পত্রিকা প্রকাশ করলেন বেশি কয়েকজন বিশিষ্ট পুরুষ ও মহিলাদের নিয়ে। প্রথম সংখ্যা। চাহিদার নিরিখে আগামীদিনে এই পত্রিকা ত্রৈমাসিক থেকে সাপ্তাহিক করা সম্ভব কি না ভেবে দেখবেন এমনটাই জানালেন নন্দিনী ভট্টাচার্য। তবে পত্রিকাটি হাতে পেয়ে প্রথমে অঙ্গসজ্জায় নজরে দিলাম। কিন্তু হতাশ হয়েই হলো অপেশাদারী ছাপে। লেখকতালিকায় নামী অনামীর মিছিল।

নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী, জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়, রাহুল মিত্র সহ দুতিনজনের লেখা মান বাঁচিয়েছে। বাকি লেখাগুলি হাতেখড়ি টাইপের। স্কুলের ম্যাগাজিনের মত একটা নির্দিষ্ট শব্দসংখ্যা সম্পর্কে হয়ত নির্দেশ ছিল তাই সংক্ষেপে দায়িত্ব পালন করেছেন লেখকরা। সুতরাং ৪৯ টাকার বিনিময়ে এই পত্রিকা বিপণন করতে হলে বিষয়বস্তু নির্বাচন ও সম্পাদকীয় দফতরকে একটু পরিণত হতে হবে। অঙ্গসজ্জ্যই সবচেয়ে নিরাশ করেছে। পুরুষ মহলে পত্রিকাটি জনপ্রিয় করে তুলতে অনেকটা পথ কিন্তু পেরোতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *