বেশ্যার বারোমাস্যা

পর্ব: ১০৯

গ্রীক সমাজে লিঙ্গ ও চোখের প্রতিকৃতি আঁকা ছিল শুভ।

সুজিৎ চট্টোপাধ্যায় : আলোচনা হচ্ছিল গ্রীসে বিভিন্ন পাত্রে যৌন চিত্রের ব্যবহার প্রসঙ্গে। কিছু কিছু পাত্রের গায়ে অশুভ প্রভাব থেকে নিষ্কৃতি লাভের জন্য একটি বড় লিঙ্গ ও একটি বা দুটি চোখের প্রতিকৃতি থাকত চোখের প্রতীকে অশুভ দৃষ্টি থেকে উদ্ধার হওয়ার কুসংস্কার আজও গ্রীসে আছে। এত ব্যপকভাবে লিঙ্গের ব্যবহার প্রমাণ করে গ্রীক সমাজে পুরুষতন্ত্রের প্রাধান্য ।তবে আরও অতীতে মাতৃতান্ত্রিক যুগে ভারী মহিলার নিতম্বের মূর্তি প্রাধান্য পেট উর্বরতার প্রতীক হিসেবে।

গ্রীক সমাজে হস্তমৈথুন ছিল নিষিদ্ধ।

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু নিকোলায়স এ ভ্রিসিমটজিস এর গ্রীক ইতিহাস গ্রন্থের অনূদিত প্রাচীন গ্রীসে প্রেম ও যৌন জীবন গ্রন্থের ৪৮ পৃষ্ঠায় লিখেছেন,,,, একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, খ্রিষ্টপূর্ব ৬ ষ্ঠ শতাব্দী ও খ্রিষ্টপূর্ব ৫ ম ও ৪ র্থ শতাব্দীর যৌন প্রতিকৃতির মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। খ্রিষ্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত অঙ্কিত বা পাত্রের। গায়ে উৎকীর্ণ দৃশ্যগুলি প্রধানতঃ কালো রংয়ের এবং পরবর্তীকালে চিত্রসমূহ লাল রংয়ের। আরো লক্ষণীয়। যে কালো চিত্র অঙ্কিত হয়েছে লাল পটভূমিতে এবং লাল চিত্র। অঙ্কন হয়েছে কালো রঙে পটভূমিতে। কিন্তু ওরাল সেক্স বা মুখে লিঙ্গ প্রবিষ্ট করানোর মাধম্যে যৌন সুখ উপভোগমূলক অথবা যৌন উম্মূত্বতার মতো কোন দৃশ্য কোথাও অঙ্কিত নেই । এসব থেকে আমরা ধারণা করতে পারি যে ধরণের যৌন বিকৃতি কিছুতেই গ্রহণযোগ্য ছিল না।

হস্তমৈথুনের শাস্তি দিত রাষ্ট্র।

অনুবাদক লিখেছেন, গ্রীকরা হস্তমৈথুনকে যৌন বিকৃতির অংশ বলে বিবেচনা করত এবংশুধুমাত্র ক্রীতদাস ও বর্বরদের ক্ষেত্রে হস্তমৈথূন গ্রহণযোগ্য বলে মনে করতো। রোমের ভিলা গিউলিয়া জাদুঘরে রক্ষিত এক ভাস্কর্যে দেখা যায় ফুলের মালায় সজ্জিতএক ব্যক্তি স্যান্ডেল দিয়ে এক যুবককে আঘাত করতে উদ্যত , যার লিঙ্গ উত্থিতঅবস্থায় আছে। অর্থাৎ ছবিটিতে বোঝানো হয়েছে ছাত্র হস্তমৈথুনে রত, শিক্ষক শাস্তি দিচ্ছেন। (চলবে)

আগামী পর্ব ৫ মে, সোমবার,২০২৫

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *