*
শ্রীজিৎ চট্টরাজ: ২০ শতকের শুরুতে প্লাস্টিক নামে এক বস্তুর কথা জানলেও আসলে খ্রিস্টের জন্মের দেড়শ বছরআগেই মেক্সিকোতে পলিমারের বল ব্যবহার হত। কয়েকশ বছর পর প্লাস্টিকের মত আর একটি উপাদান পারকেসিন মেলে। এরপর আধুনিক প্লাস্টিকের সৃষ্টি কিন্তু অজ্ঞাতভাবে।১৯০৭: এর ১১ জুলাই।৪৩ বছর বয়সী বিজ্ঞানী লিও হেনরিক বায়েকল্যান্ড একটি পদার্থ আবিষ্কার করলেও তাঁর ধারণা ছিল না বস্তুটির ভবিষ্যত সম্পর্কে।মুচির ছেলে লিও নিজস্ব পেশায় ঢোকালেও ছেলের ইচ্ছে পড়াশোনা করা। মায়ের উৎসাহে মাত্র ২০ বছর বয়সে রাতের স্কুলে পড়ে স্কলারশিপ নিয়ে ডক্টরেট হন। বিয়ের পর নিউ ইয়র্কে ফটোগ্রাফিক প্রিন্টিং পেপার বিক্রি শুরু করেন। সেই অর্থে নিজের গবেষণাগার। সেখানে ফর্মালডিহাইড ও ফেনল নিয়ে পরীক্ষা। আবিষ্কার করেন প্ল্যাস্টিক। নাম দেন বেকলাইট। এই প্লাস্টিক যখন জীবনের অঙ্হয়ে ওঠে তখন সুজান ফ্রেইনকেল একটি বই লেখেন প্লাস্টিক এ টক্সিক লাভ স্টোরি । সেখানে তিনি লেখেন একদিনেতাঁর ব্যবহৃত বস্তুর মধ্যে ১৯৬ টি প্লাস্টিকের তৈরি। অন্য বস্তু ১০২।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে প্লাস্টিকের ব্যবহার বাড়তে থাকে।১৯৬৭ সালে দি গ্র্যাজুয়েট নামে একটি চলচ্চিত্রে এক বয়স্ক চরিত্র এক নতুন প্রজন্মের যুবককে প্লাস্টিকের সম্ভাবনার কথা বলেন। সেই সম্ভাবনা আমাদের দেশেও বিপ্লব এনে দিয়েছে। প্লাস্টিক ব্যাবসায়ীরা ১৯৫৮ সালেই নিজেদের সংগঠন ইন্ডিয়ান প্লাস্টিক ফেডারেশন গড়ে তোলেন। আজ শুধু পশ্চিমবঙ্গেই প্লাস্টিক নির্মাণে সরাসরি যুক্তআছেন ৬ লক্ষ মানুষ। কর্মীর সংখ্যা আগামী দুবছরে বাড়বে আরও তিন লক্ষ। সোমবার বিকেলে বাইপাসের ধারে এক সাততারা হোটেলে সংগঠনের তরফে আসন্ন ইন্ড প্লাস’২৫ মেলার প্রস্তুতি সম্মেলন ও সাংবাদিক সম্মেলন হল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় মন্ত্রী ডা: শশী পাঁজা। সংগঠনের মেলা কমিটির আয়োজক চেয়ারম্যান অশোক জাজোদিয়া বলেন, এই মেলা পূর্ব ভারতে প্লাস্টিক খাতে উন্নয়ন এবং বিনিয়োগে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত চলেছে। মেলায় দেশের বিভিন্ন রাজ্যের উৎপাদক ব্যবসায়ীরপাশাপশি বাংলাদেশ, ভুটান, মায়নমার দেশের ব্যবসায়ীরা আসছেন। মিলন মেলা প্রাঙ্গন ছোট হওয়ায় বহু ব্যবসায়ী স্টল দিতে পারছেন না। উপস্থিত মন্ত্রীর কাছে আগামীদিনে বড় এলাকা দাবি করা হয় মেলা প্রাঙ্গণের জন্য। শশী পাঁজা আশ্বাস দেন রাজ্য সরকার ব্যবসার প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করছেন।