পর্ব: ১১৪

নারদের স্ত্রীরূপ ধারণ।
সুজিৎ চট্টোপাধ্যায় : হিন্দু পুরাণে কাম নিয়ে হাজারও কাহিনী উপকাহিনী। দেবর্ষি নারদও নাকি একবার স্ত্রীরূপ ধারণ করেছিলেন। কৃষ্ণ তাঁকে দেখে নিজের যৌন ইচ্ছা দমন করতে পারেননি। তাঁদের নাকি ৬০ টি সন্তান ছিল। এমন তথ্য দিয়েছেন স্বপন ঘোষ তাঁ কামসিক্ত পুরাণ প্রবন্ধে বাংলা ও বাঙালি সাপ্তাহিক পত্রিকার ২০১২ ১৯_২১ সংখ্যায়। বিশ্বকর্মা তিলোত্তমাকে সৃষ্টি করেন। ব্রহ্মা তাঁকে দেখে কাম সংবরণ করতে ব্যর্থ হলেন। তিলোত্তমা পিতামহর হাঁটু থেকে বাঁচতে পালালেন। কিন্তু ব্রহ্মার ঐশ্বরিক ক্ষমতার সঙ্গে পারবেন কেন? জোর করেই তিলোত্তমা কে ধর্ষণ করলেন। বিশ্বকর্মা দোষী দিলেন তিলোত্তমাকে। তাঁকে স্বর্গ থেকে নির্বাসিত করলেন।

ব্রহ্মা ও এক নারী শুকরের সন্তান জাম্বুবান।
রামায়ণের উপকাহিনী বলছে, একদিন ব্রহ্মা কামপীড়িত হয়ে সরস্বতী নদীর তীরে। ভ্রমণ করছিলেন। উদ্দেশ্য যদি কোনো সুন্দরীর কন্যার দেখা পান। দেখা পেলেন এক নারী শুকরের। তার সঙ্গেই শৃঙ্গারে হলেন। যারফলে জন্ম হয় রামায়ণের বানর সেনডার্ট অন্যতম জাম্বুবান। ব্রহ্মা নিজেই সৃষ্টি করেন সরস্বতীকে। নিজের কন্যার রূপ দেখে আর থাকতে পারলেন না। সুন্দর কেশরাশি, হস্তির কপোলদেশের সৌন্দর্যহারি স্তনদ্বয় , বিশাল ঊরু জঙ্ঘাস্থল ব্রহ্মাকে মোহিত করে তোলার। অগত্যা সরস্বতীকে কামনা করলেন। কিন্তু পিতার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে সরস্বতী রাজি নন। কিন্তু ব্রহ্মা শুনবেন কেন? সরস্বতী পিতাকে অভিশাপ দেন ধরাতলে ব্রামহ্মার্ট পূজা হবে না।

যমরাজ সূর্যের পুত্রবধূর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন গৃহে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে।
যমরাজ যাকে আমরা ধর্মরাজ বলে জানি তিনি সূর্যদেবের পুত্রবধূর প্রেমে পড়লেন। তিনি ব্রাহ্মণের ছদ্মবেশে আশ্রমে গিয়ে অতিথি সেবা চাইলেন। বৈদিক যুগে নিয়ম ছিল গৃহের অতিথি এলে শুধু খাদ্যর অস্নিটি দিয়ে সৎকার করলe হবে না। স্ত্রী বা কন্যাকে দিতে হবে শয্যাসঙ্গিনী হিসেবে। বেচারি সূর্যের পুত্রবধূকে মেনের নিতে হলো সামাজিক নিয়ম। ( চলবে)
আগামী পর্ব ২৩ মে,২০২৫
