বেশ্যার বারমাস্যা

পর্ব: ১১৭

নারদ মুনি একবার স্ত্রীরূপ ধারণ করে কৃষ্ণকে মোহিত করেন।

সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়: কামসিক্ত পুরাণ প্রবন্ধে স্বপন ঘোষ লিখেছেন নারদও একবার স্ত্রীরূপ ধারণ করেছিলেন । নারদের সেই নারী রূপে মোহিত কৃষ্ণ নারদের সঙ্গে যৌন মিলনে লিপ্ত হন। দুজনের ষাটটি সন্তানের জন্ম হয়। দেবতাদের যৌনাকাঙ্ক্ষা রন্ধ্রে রন্ধ্রে। একটি পুরাণ বলছে
, যমরাজ অগ্নির পুত্রবধূর প্রেমে পড়েন। তিনি ব্রাহ্মণের ছদ্মবেশে অগ্নিপুত্রের আশ্রমে গেলেন। অগ্নিপুত্র স্ত্রীকে আগেই বৈদিক রীতি অনুযায়ী বলেই রেখেছিলেন গৃহে অতিথি এলে তাঁকে খাদ্য পানীয় ও যৌন তৃপ্তি দেওয়া নারীর কর্তব্য। ফলে বিনা দ্বিধায় অগ্নি পুত্রবধূ ব্রাহ্মণবেশী যমরাজের সঙ্গে শয্যাসঙ্গিনী হন। মনে রাখা দরকার যমরাজ স্বয়ং ধর্মরাজ।

গুরু বৃহস্পতি পত্নী তারার সঙ্গে চন্দ্রদেবের যৌনতায় বুধের জন্ম

দেবতাদের গুরু বৃহস্পতির স্ত্রী তারা। তারার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন বৃহস্পতির শিষ্য চন্দ্রদেব। জন্ম হয় বুধের। স্বাভাবিকভাবেই সেই সন্তান অস্বীকার করেন বৃহস্পতি। ব্রহ্মা অনেক বুঝিয়ে শান্ত করেন দেবাচার্য বৃহস্পতিকে। কৃষ্ণের স্ত্রী জাম্ববতী ছিলেন রামায়ণের জাম্বুবানের কন্যা। একবার প্রচুর মদ্যপান করে।তিনি নিজ পুত্র শাম্বকে যৌন সঙ্গী হিসেবে কামনা করেন। কৃষ্ণের অভিশাপে কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হন শাম্ব। ব্রহ্মা অপ্সরা উর্বশীর রূপে মুগ্ধ হয়ে স্বমেহন করতেন। সেই স্খলিত বীর্য তিনি পাত্রে সংরক্ষণ করতেন। যার থেকে নাকি জন্ম হয় অন্যান্য অপ্সরাদের।

অগ্নিদেবকে বলা হয় উভকামী। স্কন্ধপুরাণে বর্ণিত আছে শিব ও পার্বতী যৌন সম্পর্কে লিপ্ত। দেবতাদের আশা এমন এক শিশুর জন্ম হবে সে হবে বীর্যবান , বলবান। কিন্তু একবছর ধরে চলে সেই সঙ্গম। তখন এমন একজনকে দরকার যিনি শিব পার্বতীর সামনে দাঁড়ালে শিব সঙ্গম থেকে বিরত হবেন লজ্জা পেয়ে। অগ্নি ব্রাহ্মণের বেশে ভিক্ষা চাইতে শিবের সামনে এলেন। অগ্নিকে দেখে শিব সঙ্গমে বিরত হলেন বটে কিন্তু তাঁর বীর্যধারা ভূমিতে পড়ে ভেসে যেতে লাগল। পার্বতী সেই বীর্য মুঠো করে পার্বতী ব্রাহ্মণবেশী অগ্নিকে দান করেন। অগ্নি সেই বীর্য পান করে ফেলায় ক্রুদ্ধ হন শিব। (চলবে)

আগামী পর্ব ২ জুন,২০২৫, সোমবার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *