হুগলির ধনেখালীতে চাষের ক্ষেতে সৌরশক্তি সেচ প্রযুক্তির সচেতনতারদুদিনব্যাপী কৃষি শিক্ষা শিবির

****

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : হুগলি জেলার পলাশীর থানার অন্তর্গত জেন্টেগুড়ি গ্রামের সংস্থার শাখা কার্যালয়ের উদ্যোগে দুদিনব্যাপী একটি জার্মানির সংস্থা ও কেন্দ্রীয় কৃষির দফতরের সহযোগিতায় দুদিনব্যাপী সৌরশক্তি পরিচালিত সেচ প্রযুক্তির কর্মশালা অনুষ্ঠিত হলো। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন তফসিল জাতি আদিবাসী প্রাক্তন সৈনিক কৃষি বিকাশ শিল্পকেন্দ্রের প্রাণপুরুষ সৌমেন কোলে।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন , কেন্দ্রীয় সরকার কৃষক সম্প্রদায়ের রোজগার বৃদ্ধির এক বিজ্ঞাননির্ভর সৌর প্রযুক্তির পরিকল্পনার দেশব্যাপী বাস্তবায়িত করতে প্রথম ধাপে হুগলি জেলার কর্মশালার রাজ্যের বিভিন্ন জেলার থেকে প্রায় চল্লিশজন উৎসাহী কৃষক যোগ দিয়েছেন। হাতে কলমে সৌর প্রযুক্তির ব্যবহারে জল সেচ শুধু নয়, নিজেদের উৎপন্ন সৌরশক্তি বিপণনে অতিরিক্ত রোজগার বাড়ানোর পথ নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষকরা নিজেদের জমিতে কম খরচে প্রাকৃতিক চাষের মাধ্যমে কীভাবে ফসল উৎপাদন করবে তাই নিয়ে কাজ করছে ভারত সরকারের কৃষিমন্ত্রক। সেই লক্ষ্যপূরণে ভারত সরকারের স্কিল ডেভলপমেন্ট মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্কিল কাউন্সিল ফর গ্রিন জবস এবং আর্নেস্ট এন্ড ইয়ং ইন্ডিয়ার সহযোগিতায় জিজেড ইন্ডিয়া সমর্থিত টিসা (টি আই এস এ) রাজ্যস্তরে গত ১৭ ও ১৮ মার্চ দুদিনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত করে। মূল লক্ষ্য এগ্রি -ফোটোভোল্টাইক সচেতনতা। অর্থাৎ কৃষিকাজে সৌরশক্তির সাহায্যে সেচ প্রযুক্তি সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদান করা। সংস্থার দুদিনের কর্মশালা রাজ্যভিত্তিক। যা শুরুবাংলায় । ১৬ টি জেলা থেকে কৃষক, কৃষি বিশেষজ্ঞ ও এফ পি ও’র প্রতিনিধিরা যোগ দেন।এরপর ওড়িশা , ব্যাঙ্গালোর ও আসামে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ।

মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার জাতীয় পরামর্শদাতা ও তামিলনাড়ু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড: নরেন্দ্রকুমার ও সংস্থার অন্যতম পরামর্শদাতা ও ন্যাক বিশেষজ্ঞ ড: বরুণ সিং এবং স্কিল কাউন্সিল ফর গ্রিন জবস এর তরফে ড: সঞ্জয় দানাও। বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা জানান,প্রচলিত জ্বালানির ক্রমশ নিঃশেষ হতে চলেছে। বিকল্প জ্বালানির ক্ষেত্রে সূর্য রশ্মি একদিকে যেমন অপর্যাপ্ত , তেমন দূষণমুক্ত। সুতরাং সৌরশক্তিনির্ভর জলসেচ ও জমিতে রাসায়নিক সারের বিকল্প হিসেবে গো-পালন করে গোবর ও গো -মূত্র মিশ্রণকে পদ্ধতিগত ব্যবহার করে চাষের জমিতে প্রাকৃতিক উপায়ে সবজি ফসল উৎপন্ন কার্যকরী যা পরিবেশ দূষণকে প্রতিহত করতে পারবে।

বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, বহুমুখীএই প্রকল্প এনে দেবে কৃষকদের আর্থিক লাভ চারগুণ।
এমন সচেতনতা কর্মশালা সংস্থা ভবিষ্যতে স্বাধীনতার একশ বছরে ভারতে প্রাকৃতিক চাষ মানব জীবনের অস্তিত্বকে নিরাপদ করবে। সুতরাং শুধু প্রযুক্তি সচেতনা ছাড়াও মানসিক সচেতনতা ইতিবাচক করার এক বৈপ্লবিক পথ প্রদর্শকের ভূমিকাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছে তফসীল জাতি আদিবাসী প্রাক্তন সৈনিক কেন্দ্র সৌমেন কোলের নেতৃত্বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *