*
শ্রীজিৎ চট্টরাজ : এশিয়ার দুই দেশ বারোরু ও জাপানের সম্পর্ক বহু প্রাচীন। ৭৫২খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় বৌদ্ধ সন্ন্যাসী বোধিসেনা জাপানে গিয়েছিলেন ।১৯৫২ সালে জাপানের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হ্য়। সমীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছে ২০২৩ সালে জাপান থেকে ভারত আমদানি করে ১৬.৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারত রপ্তানি করেছে ৫.৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।২৯২৩ এর এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১৫.১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ক্যালকাটা চেম্বার্স অফ কমার্সের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন কলকাতাস্থিত জাপান কনসুল জেনারেল নাকাগোয়া কোচি।
ভারত থেকে জাপানে প্রধান রপ্তানিকৃত পণ্যের মধ্যে আছে সামুদ্রিক পণ্য, পেট্রোলিয়াম পণ্য, জৈব রাসায়নিক, অ্যালুমিনিয়াম, অ্যালমমিনিয়াম জাত পণ্য , মুক্তা , প্রিক্স ওসেমি প্রিক্স। অন্যদিকে জাপান থেকে ভারতে আমদানি হয় পারমাণবিকচুল্লি, বয়লার এবং এই সংক্রান্ত যন্ত্রাংশ, তামা ও তামাজাত পণ্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, অজৈব রাসায়নিক এবং সহযোগী পণ্য, লোহা ইস্পাত।২০২২ সালে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে।
ভারত জাপান সম্পর্কের শুরু ৭৫২ খ্রিস্টাব্দে।
বুধবার বিকেলে মধ্য কলকাতার এক বিলাসবহুল হোটেলে দুই দেশের আর্থিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে এক সভার আয়োজন করে ক্যালকাটা চেম্বার অফ কমার্স সংগঠন। প্রারম্ভিক অনুষ্ঠানে সংগঠনের তরফে স্বাগত ভাষণ দেন সভাপতি হরিশঙ্কর হালওয়াসিয়া। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার জাপান হাইকমিশনের কনসুল জেনারেল নাকাগোয়া কোচি। কোচি তাঁর বক্তব্যে জানালেন, জাপান ভারত সম্পর্ক ঐতিহাসিক। রবীন্দ্রনাথ b,রাসবিহারী বসু ও সুভাষচন্দ্র বসু এই সম্পর্ককে এক নতুন মাত্রায় এনেছিলেন। এই মূহূর্তে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করছেন। আমি কলকাতার দায়িত্বে এসে অভিভূত। কলকাতার সবুজ পরিবেশ আর্ট মানুষের উষ্ণ সানিধ্য আমাকে উদ্বুদ্ধ করে।১৮৩০ সালে গঠিত ঐতিহ্যময় সংগঠন এই ক্যালকাটা চেম্বার অফ কমার্সের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমি এসের গর্ব অনুভব করছি। জাপানের এই কূটনৈতিক আধিকারিকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন অন্যতম ভাইস প্রেসিডেন্ট অনন্ত সাহারিয়া। অনুষ্ঠানের শেষে উপস্থিত সবাইকে স্বাগত জানান, সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট অনুরাগ ঝুনঝুনওয়ালা ।