দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : ৩০ মে থেকে ১ জুন ২০২৫ দমদমের থিয়েএপেক্স মঞ্চে তিনদিনব্যাপী ভারত নাট্য মহোৎসবে আয়োজন করে কলকাতা শিল্পীভূমি নাট্য সংস্থা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এমনকি ওড়িশার রৌরকেল্লা থেকেও একটি নাট্যদল যোগ দেয়। প্রথম দিনে মহোৎসবের উদ্বোধন হয় বসিরহাট কিংশুক গোষ্ঠীর তারাপদ নাটকটি দিয়ে। রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্প অতিথি অবলম্বনে নাট্যরূপ ও নির্দেশনার দায় সামলান মুকুন্দ চক্রবর্তী।
রবীন্দ্রনাথ একটি শিশু মনের মনস্তত্ত্বের ওপর ছোট গল্পটি লিখলেও নামকরণের অতিমাত্রায় সচেতন ছিলেন। এই গল্পের নাম তিনি লিখেছেন অতিথি। অতিথি শব্দের আভিধানিক অর্থ ন তিথি যাহার। অর্থাৎ যেকোন দিনক্ষণ তিথি দেখে আগমন করে না। অর্থাৎ যে কোন গৃহে হঠাৎ আগমন করে এবং কিছুদিনের পর প্রস্থান করে। অতিথি গল্পের নায়কতারাপদ এমনই এক চরিত্র। তারাপদের স্বভাব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, তারাপদ হরিণ শিশুর মত বন্ধশ্যামলতনু দাশগুপ্তের নাটক পরিচালনা করেন নরেন্দ্র নারায়ণ চক্রবর্তী নভীরু, আবার হরিণেরই মতো সংগীতমুগ্ধ।,,,,,,,,, কোনো নিয়মের বাঁধনে সে ধরা দেয়নি। সে এ সংসারে পঙ্কিল জনের উপর শুভ্রপক্ষ রাজহংসের মত সাঁতার দিয়ে বেড়াত। বসিরহাট কিংশুক নাট্যদল রবীন্দ্রনাথের এই সার্থকসৃষ্টি রবীন্দ্রনাথের সংলাপ ও সংগীতের নৈবেদ্য সাজিয়ে গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজো করেছে। কাঁঠালিয়া গ্রামের জমিদার মতিবাবুর স্ত্রী অন্নপূর্ণা , কন্যা চারুমতি, গ্রামের প্রতিবেশী সব চরিত্রগুলি যেভাবে রবিকবির গান অবলম্বন করে গেছে এককথায় প্রশংসনীয়। রবি কবির গানগুলিও সুনির্বাচিত।
এই নাট্য মহোৎসবের তিনদিনে অন্যান্য যে নাটকগুলি মঞ্চস্থ হয়, সেগুলি মালদা শিল্পী সংসদের কাঞ্চন রঙ্গ । নাট্যকার শম্ভু মিত্র ও অমিত মৈত্র। মলয় সাহার সামগ্রিক পরিকল্পনায় নাটকটি পরিচালনা করেন দেবাশীষ দত্ত। দ্বিতীয়দিন অভিনীত হয় যাত্রিক কালিয়াগঞ্জ এর চোরেদের লজ্জা হলো। নাট্যকার শ্যামলতনু দাশগুপ্ত , পরিচালক নরেন্দ্র নারায়ণ চক্রবর্তী। গাজলের বিষাণ একটি নাট্যসংস্থা পরিবেশন কর বানরের থাবা। ডব্লিউ ডব্লিউ জ্যাকভের কাহিনী অবলম্বনে নাট্যরূপ দেন সৌমেন পাল। নির্দেশক তাপস বন্দোপাধ্যায়। বিচিত্রা দিনাজপুর নিবেদন করে গিরগিটি তুরুপের তাস। পত্রাবলী চক্রবর্তীর নাট্যরূপে পরিচালনা করেন অরিন্দম ঘোষ ও সংগ্রামী ভট্টাচার্য। ওড়িশার রৌরকেল্লার সম্পর্ক নাট্যসংস্থার নিবেদন ছিল মহাকবি কালিদাস। হরিশ চন্দ্র বেহেরার নাট্যরূপে নাটকটি পরিচালনা করেন ভাস্করচন্দ্র মহাপাত্র।