*****

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : ব্যক্তি উদ্যোগে বণিকদের ব্যাঙ্কের প্রাথমিক পরিচয় মেলে বাংলায় বল্লাল সেনের আমলে। ভাগীরথী দিয়ে এরপর অনেক জল গড়িয়েছে। জগৎ শেঠের হাত ধরে ব্যাঙ্কিং ব্যবসা বাড়লেও সাধারণ মানুষের তাতে কোনো অধিকার ছিল না। দ্বারকানাথ ঠাকুর বুঝেছিলেন আম জনতার কাছে পৌঁছে দিতে হবে ব্যাঙ্কিং সুবিধা। তিনি ছিলেন ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাস্টমস অফ সল্ট অ্যান্ড ওপিয়াম বোর্ডের দেওয়ান। ১৮২৮ সালে ইউনিয়ন ব্যাংকে মোটা মূলধন নিয়োগ করলেও ব্যাঙ্কের মালিক হিসেবে ঘোষিত হননি। এরপর নানা রাজনৈতিক কারণে ব্রিটিশ ব্যাঙ্কিং ব্যবসায় বাঙালির উত্থান রুখে দেয়। এরপর নানা উত্থান পতনের মধ্যে বাঙালির ব্যাঙ্কিং ব্যবসা এগিয়েছে।২১ শতাব্দীতে বঙ্গসন্তান চন্দ্রশেখর ঘোষের নেতৃত্বে ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা থেকে ২০১৫ সালে ২৩ আগস্ট বন্ধন ব্যাঙ্কের পত্তন করেন।
সম্প্রতি কলকাতার উপকন্ঠে সেক্টর ফাইভের কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সন্মেলনে বন্ধন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানালেন, গত ১০ বছরের মধ্যে বন্ধন ব্যাঙ্ক অগ্রগতির দিশা দেখিয়েছে। গত আর্থিক বছরে ব্যাঙ্কের ব্যবসা বেড়েছে ১৭ শতাংশ। আর্থিক মূল্যে যা ২ ,৭৩ লক্ষ কোটি টাকা। মোট আমানত ৬৯ শতাংশ। সারা দেশ জুড়ে ব্যাঙ্কের শাখা প্রায় ৬ হাজার ৩০০। মোট কর্মী ৭৮ হাজার ৪০০। কারেন্ট একাউন্ট ও সেভিংস একাউন্ট গড়মোট সঞ্চয় খাতার ৩২ শতাংশ।
ব্যাঙ্কের এম ডি ও সি ই ও পার্থপ্রতিম সেনগুপ্ত জানান ব্যাঙ্ক বার্ষিক তৃতীয় পর্যায়ে পর্যায়ক্রমে সাফল্যের পথে। গ্রাহক সন্তুষ্টি ও প্রযুক্তিগত উন্নতি সাফল্যের মূল কারণ।