বাংলার নতুন নিউজ সিরিজ ‘যাদবপুরে যথেচ্ছাচার!’

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। নামটা শুনলে কী মাথায় আসে? শিক্ষার পীঠস্থান? ১৯৫৫ সালে পথ চলা শুরু এই গর্বের প্রতিষ্ঠানের। কৃতি প্রাক্তনী থেকে নামি অধ্যাপক। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িয়ে কত গুণীদের নাম। ইঞ্জিনীরিং, বিজ্ঞান হোক আর আর্টস গোটা বিশ্বের সামনে বাঙালির গর্ব যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু আজও কি আমাদের গর্ব এই বিশ্ববিদ্যালয়? প্রশ্ন উঠছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বার বার ঘটে যাওয়া ঘটনা, বারবার সেই প্রশ্ন তুলতে বাধ্য করছে। একবার ভাবুন। কোনও মা-বাবা কোনও দিন ভাবতে পারে তার বাড়ির ছেলে বা মেয়েটাকে শহরে পড়তে পাঠিয়ে তার নিথর দেহ দেখতে হবে! ৱ্যাগিং কেড়ে নেবে এক কুঁড়িকে? ছাত্র রাজনীতির নামে আমরা দেখেছি ক্যাম্পাসে আগুন লাগতে। জ্বলেছে ক্যাম্পাস। আর পয়লা মার্চ। ২০২৫। সব কিছুই কি বদলে গেল? এই বিশ্ববিদ্যালয় সহ গোটা বাংলা, গোটা দেশ দেখলো বিশৃঙ্খলার এক অন্য ছবি। অধ্যাপক সংগঠনের সভা ঘিরে তুলকালাম যাদবপুরে। ব্রাত্য বসুর সামনেই ওয়েবকুপার ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে বাম ছাত্রদের হাতাহাতি। চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি। চাকায় চেয়ার ঢুকিয়ে আটকানো হল শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি। খুলে দেওয়া হল সেই গাড়ির চাকার হাওয়া। ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সম্মেলনে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষভ দেখাতে শুরু করে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি। তুমুল উত্তেজনার মধ্যেই সেই সভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বিক্ষভকারীদের হটানোর চেষ্টা করতেই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। চেয়ার ছোড়াছুড়ি। একসময় সেই ধাক্কাধাক্কিই রূপ নেয় হাতাহাতির। অসুস্থ হয়ে পড়েন এক অধ্যাপক। ব্রাত্য বসুকে দীর্ঘক্ষণ আটকে রেখে বিক্ষভ দেখান পড়ুয়াদের একাংশ। আর তারপরেই আন্দোলনের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ছড়িয়ে পড়ে ডান-বাম- অতিবাম যুদ্ধ। শুরু হয় শাসক-বিরোধী যুদ্ধ। আর এই যুদ্ধ শেষ কয়েক দশকে বহুবার দেখেছে যাদবপুর। আর সেই রাজনীতিই কি কেড়ে নিচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ? কেড়ে নিচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্ব? কমছে উৎকর্ষতা? যাদবপুরের পরিচয় হবে কি শুধুই রাজনীতি? উত্তর খুঁজতেই গ্রাউন্ড জিরো থেকে রিপোর্টিং ও বিশেষজ্ঞদের মতামত ।

দেখুন ১৬ মার্চ ২০২৫, রবিবার, রাত ১০ টায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *