বেশ্যার বারোমাস্যা

পর্ব : ১০১

নবাব ফিরোজ শাহের ছিল বহু ধরণের হারেম।

সুজিৎ চট্টোপাধ্যায় : গত পর্বেই বলেছিলাম ১০০ পর্ব থেকে মোঘল হারেমের ইতিহাস বলব। মোঘল হারেমের সবচেয়ে প্রাচীন যে তথ্য , সেখানে বলা হয়েছে ১৪ শ শতাব্দীর ইতিহাস । দাক্ষিণাত্যের গুলবর্গ রাজ্যের অধিপতি ফিরোজ শাহ বাহমিনি ১৩৯৬-৯৭ অব্দে ভীমা নদীর তীরে গড়ে তোলেন পাথরের দুর্গ। এর ভিতরে ছিল কয়েকটি মনোরম আঙিনা। খাল কেটে নদী থেকে জল এনে তা সরবরাহ হতো পরস্পর বিচ্ছিন্ন ওই আঙিনাগুলিতে। প্রতিটি আঙিনা তিনি নির্ধারণ করেছিলেন তাঁর হারেমের প্রিয় রমণীদের জন্য।

রমণীপ্রিয়া আকবরের ছিল বহু বেগম ছাড়াও পাঁচ হাজার রক্ষিতা।

বিভ্রান্তি দূর করার জন্যওই রমণীদের জন্য কিছু নিয়মকানুন প্রণয়ন করেন নবাব ফিরোজ শাহ। তবে এই দুর্গটিকে হারেম বলা যায় না। কারণ একদিনে যিনি তিনশ পত্নী গ্রহণ করেছিলেন তাঁর হারেমের জন্য নিশ্চয়ই কয়েকটি বিশাল প্রাসাদের প্রয়োজন হয়েছিল। এই পাথরের প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বেগমদের জন্য। তবে প্রিয়তমাদের সংখ্যা কত তার কোনো তথ্য ইতিহাসে নেই। তাঁর পছন্দের বিভাগ অনুযায়ী এই রক্ষিতাদের বিশেষ তারকা চিহ্ন বহন করতে হতো পোশাকে। রাজকর্মচারীরাও পোশাকে তাঁদের মর্যাদা চিহ্ন ধারণ করতেন। এমনটাই উল্লেখ করেছেন সাযযাদ কাদির তাঁর হারেমের কাহিনী জীবন ও যৌনতা গ্রন্থে।

মোঘল নবাবদের হারেমের কথা বললে প্রথমেই উল্লেখ করতে হয় আকবরের। তাঁর সভাকবি আবুল ফজল লিখেছেন, আকবরেরও ছিল সুবিশাল প্রাচীর বেষ্টিত এক ভবন। যেখানে আকবর প্রায়ই বিশ্রাম নিতেন। তাঁর হারেমে ছিল পাঁচ হাজার রমণী। যাঁদের শয়নকক্ষ ছিল আলাদা আলাদা। সেই ভবন অর্থাৎ সেরাগোলিয়োতে কত কক্ষ ছিল সহজে অনুমেয়। ভ্রমণে বেরোলে তাঁর হারেম যেত সঙ্গে । হারেমদের নিরাপত্তার জন্য থাকত বিশেষ বাহিনী। ভবনগুলিতে পাহারায় থাকত বিশেষভাবে পারদর্শী নারী বাহিনী। ( চলবে)


পরবর্তী পর্ব ৭ এপ্রিল , সোমবার,২০২৫

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *