বেশ্যার বারোমাস্যা

পর্ব ৮০

চিন জাপান যুদ্ধ চিনা বন্দী নারীদের যৌনদাসী বানায় জাপান সামরিক বিভাগ।

সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়: এই পর্বে সময়কাল টপকে চলে আসত আধুনিক যুগে।১৯ শতাব্দীতে। স্বদেশ চর্চা লোক পত্রিকায় ২০১৬ শারদ সংখ্যার ১৫৪ পৃষ্ঠায় রাধিকা কুমারস্বামী একটি নিবন্ধ লিখেছেন, কমফর্ট উওমেন : পুরুষতন্ত্রে নগ্নতম যুদ্ধাপরাধ। লেখিকা লিখেছেন,দ্বিতীয়ত বিশ্বযুদ্ধের কয়েকবছর আগে ১৯৩২ সালে সাংহাইত জাপান এবং চীনের যুদ্ধের পর জাপানি সেনাবাহিনীর জন্য যুদ্ধক্ষেত্রে নারী সংসর্গ প্রদানের উদ্দেশ্যে কনফর্ট স্টেশন নামে একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়।

চিনা ও কোরীয় বন্দী নারীরা কমফর্ট স্টেশনে। যাঁরা খাদ্যের বিনিময়ে দেহদান করতে বাধ্য হত।

এর পরবর্তী এক দশক ধরে কমফর্ট মহিলা নামক ধারণাটি জাপান নিয়ন্ত্রিত পূর্ব এশিয়ায় জাপানি সামরিক ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত হয়। ওই কমফর্ট স্টেশনগুলি ছিল জাপানি সেনাদের যৌন লালসা চরিতার্থ করার এক প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা এবং ওই কমফর্ট মহিলারা ছিলেন ভয় দেখিয়ে বা প্রতারণা করে নিয়ে আসা যৌনসেবা দিতে বাধা তরুণী নারী।

নাংকিং শহরে বন্দী মহিলাদের নাগরিক যৌনদাসীতে পরিণত করে জাপানি সেনা।

প্রথম সামরিক যৌনদাসী হিসেবে জাপানের কিয়ুসু এলাকা থেকে কোরীয় তরুণীদের পাঠানো হয় সাংহাইতে। এক্ষেত্রে প্রেরক ছিলেন নাগাসাকির শাসন কর্তা এবং প্রাপক ছিলেন সাংহাইতে সেনাবাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ আমলা। বিধিসম্মতভাবে কমফর্ট স্টেশন তৈরির পিছনে যুক্তি ছিল যে, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নিয়ন্ত্রিত কমফর্ট স্টেশন সেনার অধ্যুষিত অঞ্চলে বলপূর্বক ধর্ষণের সংখ্যা কমিয়ে দেবে।১৯৩০ সালের পর নাংকিং ধখলীর পর জাপানি নাগরিকদের উপরে প্রবল অত্যাচার শুরু করলে সামরিক শৃঙ্খলা ও। নৈতিকতা রক্ষার স্বার্থে সামরিক যৌনসেবার জন্য যত বেশি সম্ভব নারী যোগাড় করা শুরু হয়। ওই সমস্ত তরুণী, বালিকা, সেনাবাহিনী কর্তৃক সরাসরি পরিচালিত সাংহাই ও নানকিং- এর মাঝামাঝি স্থানে থাকা কমফর্ট স্টেশনে নিযুক্ত হয়। (চলবে)

আগামী পর্ব ২০ জানুয়ারি,২০২৫

*****

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *