
সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়: আজ ২৩এপ্রিল। বাংলায় ১০ বৈশাখ। তিথি মেনে আজ দেশ জুড়ে রাম ভক্ত মানুষজন উৎসাহের সঙ্গে হনুমান জয়ন্তী পালন করছেন। অথচ শাস্ত্রে বলা আছে চৈত্র পূর্ণিমায় জন্ম। তিথির বিচারে গন্ডগোলের জেরে আজ ২৩ ও কাল ২৪ এপ্রিল দুদিন হনুমান জয়ন্তী । তবে এদিন পূর্ণিমা থাকায় বৃহৎ অংশ আজ হনুমান জয়ন্তী পালন করছেন। ২০২১ এ গুজরাটের বাপু কেশভানন্দ আশ্রমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১০৮ ফুটের বিশাল হনুমান মূর্তি। দিল্লি থেকে ভার্চুয়াল প্রযুক্তিতে হনুমানের আবরণ উন্মোচন করেন দেশের প্রধানন্ত্রী মোদিজি। ২০১০সালে প্রথম বিশাল আকারের হনুমান মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয় হিমাচল প্রদেশের সিমলায়। এখন লোকসভা নির্বাচনের পর্ব চলছে। রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়ে গেছে । মোদীর গ্যারেন্টি ছিল চাকরি না হোক, খাদ্যের দাম না কমুক, হসপিটালে শয্যা না মিলুক , মন্দির হয়েছে। শুধু ইহকালের কথা ভাবলে তো হবে না রামের স্মরণে গিয়ে রাম নাম সত্য শুনতে শুনতে স্বর্গে পৌঁছে রামের পায়ে স্থান পেতে সরকার জনগণকে মন্দির উপহার দিয়েছে। ভারতের হিন্দুত্ববাদী জনতার পাশাপাশি বাংলার বাঙালি এখন আরও বেশি করে রাম ও হনুমান ভক্ত হয়ে উঠছে।

বঙ্গ রাজনীতিতে হনুমান যখন বেশ কয়েক বছর ধরে গুরুত্ব পাচ্ছে তখন পুরাণের কাহিনী অনুযায়ী হনুমান প্রসঙ্গে তথ্য কি আছে দেখা যাক। হনুমান সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতী প্রকাশিত ১৪০১ সালে প্রকাশিত সাহিত্য গ্রন্থের সাহিত্য সৃষ্টি প্রবন্ধে লিখেছেন, রামচন্দ্র বানরগণকে অর্থাৎ ভারতবর্ষের আদিম অধিবাসীদিগকে দলে লইয়া বহুদিনের চেষ্টায় ও কৌশলে ( এই) দ্রাবিড়দের প্রতাপ নষ্ট করিয়া দেন, এই কারণেই তাহার গৌরব গান আর্যদের মধ্যে প্রচলিত হইয়াছিল। (: পৃষ্ঠা _ ১০৩)।ফিরে আসি হনুমান প্রসঙ্গে। এই যে ঘটা করে দেশ জুড়ে হনুমান জয়ন্তী পালন হচ্ছে চৈত্র পূর্ণিমাতে, থুড়ি বৈশাখি পূর্ণিমায় সেটা কতটা ঠিক। বাস্তবে হনুমান চরিত্র কতটা বিশ্বাসযোগ্য সেই বিতর্কে না গেলেও পৌরাণিক তথ্য অনুযায়ী সত্যিই কি বলা যায় চৈত্র পূর্ণিমাই হনুমানের জন্মদিন?

হনুমান সম্পর্কে আমরা কম বেশি তথ্য সবাই জানি। কিন্তু হনুমানের জন্মদিন, জাতি আর বিবাহ নিয়ে বেশ বিতর্ক আছে। বাল্মীকি রামায়ণ বলছে, হনুমানের জন্ম চৈত্র মাসের পূর্ণিমাতে। আবার অনেকে বলেন, হনুমানের জন্ম কার্তিক মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশীতে। মেষ রাশি স্বাতী নক্ষত্রে। তামিল বা মালয়ালীরা বলেন, হনুমানের জন্ম পৌষ মাসে।আবার অনেকে বলেন, হনুমান চিরকুমার। আবার কেউ বলেন, তাঁর স্ত্রীও ছিল। কি সেই ঘটনা? প্রথমে দেখা যাক, হনুমানের জাতি কি? বিজেপি ও হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের বেশ কিছু মানুষ করেছেন নানা মন্তব্য। ২০১৯ এ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ বলেছিলেন,হনুমান ছিলেন দলিত। কথাটা তিনি বলেছিলেন, রাজস্থানের বিধানসভার নির্বাচনী সমাবেশে। ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন ব্রাহ্মণেরা। মোহন্ত রাধেশ্যাম তেওয়ারি বলেন, হনুমান দলিত ছিলেন এমন কথা রামায়ণে নেই। আইনি নোটিশও আদিত্যনাথকে পাঠায় রাজস্থানের ব্রাহ্মণ ধর্মসভা। তাঁদের বক্তব্য, হনুমান ছিলেন, পৈতেধারী ব্রাহ্মণ। সেই সময়ের বিজেপি দলিত সাংসদ সাবিত্রীবাঈ ফুলে। তিনি বলেন,হনুমান কোনও জন্তু নন। তিনি দলিত বলেই ব্রাহ্মণরা তাঁর লেজ জুড়ে মুখের বর্ণনা দেন বাঁদরের মত।

তারপর বোমা ফাটালেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতা বিনীত আগরওয়াল সারদা। তিনি বলেন, হনুমান আদতে রামের দত্তক পুত্র। জাতিতে বৈশ্য।এগিয়ে রইলেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতা বুক্কাল নবাব । তিনি বলেন,হনুমান ছিলেন মুসলিম। কারণ মুসলিমদের পদবী সোলেমান, ওসমান,রহমান। তেমন হনুমান। উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ হরি ওম পাণ্ডে বিনীতের বক্তব্য সমর্থন করে বলেন, হনুমান ব্রাহ্মণই ছিলেন। আবার তৎকালীন উত্তরপ্রদেশের এক বিজেপি মন্ত্রী চৌধুরী লক্ষ্মীনারায়ণ বলেন,হনুমান ছিলেন জাঠ।
এখানেই বিতর্ক থেমে নেই। উত্তরপ্রদেশের তৎকালীন দুই বিজেপি বিধায়ক রঘুরাজ সিংহ ও জ্ঞানদেব আহুজা বলেন, হনুমান ঠাকুর জাতির ।প্রথম আদিবাসী নেতা। মাঠে নামেন উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির নেতা শিবশঙ্কর যাদব। তিনি বলেন, হনুমান যাদব ছিলেন। চুপ থাকেননি বিহারের আর এল ডি নেতা চৌধুরী সুনীল সিংহ বলেন, হনুমান কৃষকের বেটা। রবীন্দ্রনাথ কি এঁদের জন্যই বলেছিলেন, নানা ভাষা,নানা,মত। নজরুল বলেছিলেন, জাতের নামে বজ্জাতি।

হনুমান প্রসঙ্গে পৌরাণিক অভিধান কি বলছে? এম সি সরকারের পৌরাণিক অভিধানের ৫৮১পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে কেশরী বানরের ক্ষেত্রজ ও পবন দেবের ঔরসজাত পুত্র হনুমান । মাতা অঞ্জনা। যিনি ছিলেন স্বর্গের অপ্সরা। অভিশাপগ্রস্থ হয়ে কিস্কিন্ধার রাজা বানররাজ কেশরীর স্ত্রী হন। অঞ্জনা ছিলেন স্বর্গের অপ্সরা পুঞ্জিকস্থলা। অপ্সরা কারা? অপ্ (জল) থেকে উৎপন্ন। সমুদ্র মন্থনে এঁরা উঠে আসেন। দেব বা দানব কেউই এঁদের সুন্দরী হওয়া সত্বেও স্ত্রীর মর্যাদা দেয় না। ফলে এঁরা গণ স্ত্রী হয়ে থেকে যান। মনুসংহিতায় এঁরা সপ্তমুনি সৃষ্ট বলা হয়েছে। সংখ্যায় ৬০কোটি। এঁদের অধিপতি কামদেব। দেবরাজ ইন্দ্র এঁদের কামকলায় পটুত্বের জন্য ঋষি ও মানুষদের চরিত্রের জন্য ব্যবহার করতেন । রামচন্দ্রের পিতামহ অজ’র স্ত্রী ছিলেন ইন্দুমতী। তিনিও ছিলেন শাপভ্রষ্ট অপ্সরা।

মহারাষ্ট্রে? কর্নাটকে? উত্তরাখণ্ডে?
পুরাণ বলে, একবার ইন্দ্রের আদেশে অপ্সরা পুঞ্জিকাস্থলা ঋষি মার্কন্ডেয়র তপোভঙ্গ করতে গিয়ে ব্যর্থ হন। ঋষি দূর্বাসার অভিশাপে অপ্সরা মানব জন্ম নেন। বানররাজ কেশরী ছিলেন শিবভক্ত।যোগবলের ক্ষমতা ছিল তাঁর। তিনি একবার এক মানব রাজার জীবন বাঁচান। সেই রাজার ঘরে জন্মান অঞ্জনা। কেশরী তাঁর কন্যাকে স্ত্রী হিসেবে পেতে চান।রাজা কথা রাখেন। কিন্তু বিয়ের অনেকদিন পরেও অঞ্জনার সন্তান না হওয়ায় তিনি ধর্মরাজের শরণাপন্ন হন। তিনি দেখা দিয়ে অঞ্জনাকে পবন দেবের আরাধনা করতে বলেন। সাত হাজার বছর তপস্যা করে পবনদেব অর্থাৎ বায়ুদেবের করুণা পান। বরুণদেব রাণী অঞ্জনার সৌন্দর্যে কামবেগে তাড়িত হন। রাণী অঞ্জনা হন গর্ভবতী। প্রশ্ন উঠতে পারে বরুণদেব তো জানতেন, অঞ্জনা পরস্ত্রী। তাহলে কেন তিনি অঞ্জনার ওপর উপগত হলেন?পবনদেবের এই নারী ভোগ নতুন নয়। রামায়ণ রচয়িতা বাল্মীকি আদি কাণ্ডে লিখেছেন, পবনদেব রাজর্ষি কুশনাভের একশো রূপবতী কন্যাকে ধর্ষণ করতে যান। রাজকন্যারা বাধা দিলে তিনি শরীরে ঢুকে তাঁদের শরীর বায়ু চাপে ভঙ্গ করেন। দেবতাদের এমন ঘটনা আখছার ঘটত। তাহলে কি নিশ্চিত বলা যায়, পবনপুত্র হনুমান? যে ভক্ত রামায়ণ পড়েন, তিনি বলেন, পবন পুত্র হনুমান। আবার সেই ভক্ত যখন শিব পুরাণ পড়েন বা হনুমান চালিশা পড়েন, সেখানে কিন্তু পবনদেবকে হনুমানের পিতা বলা হয়নি। বলা হয়েছে, হনুমান শিবেরই অবতার। তাহলে কি শিবের পিতা পবনদেব? শিবেরও আমরা জানি দুই পুত্র। কার্তিক ও গণেশ। কিনু পুরাণ বলছে, শিবের আরও তিন পুত্র ছিল। অন্ধক, ভৌম, খুজ। সে যাই হোক।

এবার আসি হনুমানের বিয়ে প্রসঙ্গে। হনুমানকে বলা হয় চিরকুমার। কিন্তু ঋষি পরাশর বলেছেন, সূর্যকন্যাকে নাকি আপত্তি সত্বেও বিয়ে করেছিলেন হনুমান গুরু দক্ষিণার ঋণ শোধ করতে। সূর্যের কাছে হনুমান পাঁচটি জ্ঞান নেন ।এর মধ্যে চারটি নব বৈয়া করন জ্ঞান নিতে হলে বিবাহিত হওয়ার বিধান ছিল।রামায়ণের জৈন সংস্করণ পৌমাচারিয় বা পদ্মচরিত রচনাকার বিমলাসুরি বলছেন,হনুমান ব্রহ্মচারী নন। তিনি রাবণের ভাই খরের কন্যা অনঙ্গকুস্থমকে বিয়ে করেছিলেন। যিনি রাবণের ভ্রাতুষ্পুত্রি। সম্পর্কে হনুমানের জ্যাঠাশ্বশুর। এই বিয়ে হয়েছিল জৈষ্ঠ্য মাসের শুক্লাদশমীতে। তবে অন্ধ্রপ্রদেশের খাম্মাম জেলায় হনুমানের মন্দিরে হনুমানের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী সূর্যকন্যা শুভ্রলার পুজো হয়।
এবার দেখা যাক, পুরাণের গল্পে যে হনুমানের কথা বলা হয়েছে, তিনি আসলে কে? উনিশ শতকের ঐতিহাসিক ভারতবিদ এডওয়ার্ড মূর বলেছেন , ভারতে একটা ধারণা ছিল শ্রীলঙ্কায় বানর ও রাক্ষসরা বাস করেন। তাই ব্রাহ্মণ পুরোহিত ও কবিরা রামের অভিযান লেখার সময় সেই ধারণাকে সংযুক্ত করেন। ঐতিহাসিক এইচ সি লাল লিখেছেন, ওঁরাও আদিবাসী জনগণকে বাঁদর সমান পশু বানিয়েছে হিন্দু উচ্চবর্ণের পুরাণ লেখকেরা। আসলে এঁরা অস্ট্রিক বা নেগ্রিটো জনজাতি। ওঁরাও সম্প্রদায় সম্বন্ধে ধীরেন্দ্র নাথ বাস্কে তাঁর পশ্চিমবঙ্গের আদিবাসী সমাজ (দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৯১, বাস্কে প্রকাশনী) গ্রন্থে লিখেছেন, ওঁরাও শব্দের উৎপত্তি সম্পর্কে জানা যায়,যে ওঁরাও রাবণের বংশধর বলে অভিহিত হতো। পৌরাণিক গ্রন্থ থেকে জানা যায়, ওঁরাওদের আদি পিতা মাতা ভায়া ও ডাইন উরস বা পবিত্র রক্তে জন্মলাভ করায় তাঁদের বংশধর বা উরাগণ ঠাকুর বা ওঁরাও নামে পরিচিত হয়। সেকালে তাঁদের ব্রাহ্মণের মত সম্মান দেওয়া হতো ও তাঁরা পৈতে ধারণ করতো। তিনি আরও লিখেছেন, একসময় তাঁরা পশ্চিম ভারতের গুজরাট, কঙ্কন ইত্যাদি স্থানে বাস করত। পরে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় জীবিকার সন্ধানে উত্তর ভারতে আসেন। বিহারের সাহাবাদ এলাকায় বসতি স্থাপন করেন। পুরাণ তথ্যেও আছে,হনুমানের জন্ম অঞ্জনগাঁও পাহাড়ের গুহায় । যা এখন ঝাড়খন্ডে।
এখানেও বিতর্ক। অনেকে বলেন, হনুমানের জন্ম মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার ত্রীম্বাকেশ্বরে অঞ্জন নামে গ্রামে। কেউ বলেন,হনুমানের জন্ম কর্ণাটকের ঋষিখ্য পর্বতের হাম্পিনদীর তীরে । প্রথমে নাম ছিল পম্পা। শিবের জায়া পার্বতীর নাম পম্পা। তারও আগে এই স্থানের নাম ছিল হেমকুট। পরে এই স্থানটি ছিল কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী। নাম হয় বিজয়নগর। বাল্মীকি রামায়ণে উত্তরাখণ্ডে আছে ,এখানেই লক্ষ্মণের সঙ্গে আলাপ হয় প্রথম হনুমানের। হনুমান রামায়ণের এমন এক চরিত্র যাঁর জন্ম, পিতা, স্ত্রী নিয়ে হাজারও বিতর্ক। যুক্তিবাদীদের কথা, দেশজ দেবতা শিবকে আর্য দেবতা রামের অধীনে আনার জন্যই হনুমান চরিত্র সৃষ্টি করে রামের পায়ের তলায় বসানো হলো। অর্থাৎ আর্য আগ্রাসনে অনার্যের আত্মসমর্পণ। সেই বিতর্কিত চরিত্রের মূর্তি তৈরি হচ্ছে কোটি কোটি টাকা খরচ করে। মানুষের বিশ্বাস আর রাজনৈতিক ফায়দা তোলার কাজে হনুমান এক নমস্য চরিত্র হয়ে উঠেছে। বাঙালি ঘরে আজ হনুমান চালিশা পাঠ করার প্রবণতাও বেড়ে চলেছে। বাংলার বিপ্লবীদের একাংশও হনুমানের পুজো করে কুস্তি শিক্ষা করত ব্রিটিশ সিংহের বিরুদ্ধে লড়বেন বলে। এমনই এক আখড়া উত্তর কলকাতার সিমলা ব্যায়াম সমিতি।সেখানে আজও দুর্গাপুজোয় দেবী মূর্তির পাশে বজরং ওরফে হনুমান মূর্তি পূজিত হয়। স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অধ্যায়ে বিপ্লবীরা বীর শ্রেষ্ঠ হিসেবে পুজো করে কুস্তি, লাঠি খেলা শিখতেন। এমনই এক স্থান কলকাতার সিমলা ব্যয়াম সমিতি।
বাল্মীকি’র রামায়ণে ১০৮০ বার বানর শব্দটির উল্লেখ আছে। ৪২০ বার কপি শব্দের উল্লেখ আছে।বানরেরা নাকি ছদ্মবেশে পারদর্শী ছিল বলে কাম রুপিনও বলা হয়েছে। রামায়ণের যুগে নাকি হেম পিঙ্গল ও কৃষ্ণকায় বর্ণের বানর ছিল। কৃষ্ণকায় বানরদের বলা হয়েছে গোলাঙ্গুলা। আর্য ও অনার্যের মিলনেই বানরের সৃষ্টি।রাবণের সঙ্গে যুদ্ধে রামের পক্ষ অবলম্বন করতেই স্বয়ং ব্রহ্মাই বানর সেনা নির্মাণ করেন।রামায়ণের বানররা আজকের শাখা মৃগ নয়।এরা টোটেমীয় সম্প্রদায়ের বানর।ভারতের উত্তরাংশের মানুষ বাঙালিদের কিচিরমিচির শব্দ কারীদের পক্ষী বিশেষ প্রজাতি বয়াংশ বলতেন। সেখান থেকেই পূর্বাঞ্চলের একটি অংশকে বঙ্গ এবং অধিবাসীদের বঙ্গালি বলতেন। সেই ট্র্যাডিশন আজও চলছে। রামায়ণে বানর জাতির উৎপত্তি স্থল বর্ণনা করতে বাল্মীকি বলেছেন বহু সহস্র বানর ঋক্ষবান পর্বতের উপত্যকাবাসী। যা বিন্ধ্য পর্বতের পশ্চিমাংশ। শেষাংশ আগামীকাল ২৪ এপ্রিল বুধবার।