****

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: ঠাকুরবাড়ির ছেলে সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন দেশের প্রথম সিভিলিয়ান অফিসার। জীবনসঙ্গিনী সট বছর বয়সে পুতুল খেলা ছেড়ে বউ হয়ে এলেন ঠাকুরবাড়িতে। এক গলা ঘোমটা পরে ঠাকুর বাড়ির চৌকাঠ পেরোলেও স্বামী হিসেবে বেশিদিন সঙ্গ পাননি প্রথমে। সত্যেন্দ্রনাথ চলে যান বিদেশে পড়তে। সেখান থেকে চিঠি লিখলেন স্ত্রীকে, আমাদের স্ত্রীলোকের যা কিছু আচার , যত লজ্জা, যত ভীরুতা তুমি যেন মুর্তিময়ী ছিলে। এখনও কি তোমার সেরূপ ভাব আছে? কলকাতায় ফিরে প্রথম চাকরি মুম্বাইতে। সঙ্গিনী স্ত্রী জ্ঞানদানন্দিনী দেবী।।i মুম্বাইয়ে পার্শি নারীদের শাটি পড়ার ধরণ মনে ধরল জ্ঞানদানন্দিনী দেবীর। নিজের সৃজনী চিন্তার স্পর্শে মুম্বাই থেকে আনা সেই ধাঁচের শাড়ির নাম হলো বোম্বাই দস্তুর। শুরু সায়া সেমিজ ব্লাউজ জ্যাকেট পরার চল।
এরপর আরও কিছু সংস্কার করে আজকের শাড়ির প্রচলন, তার কৃতিত্ব কুচবিহারের মহারাণী কেশবচন্দ্রের কন্যা সুনীতিদেবীর। এরপর বয়স বেড়েছে বয়সের। এযুগে নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গ নারীর শাড়ির ঐতিহ্যকে মনের মাধুরীতে রূপ দিয়ে চলেছেন পোশাক শিল্পী ইরানী মিত্র। তাঁর ফ্যাশন ব্যুটিকের উদ্যোগে ভ্যালেনটাইন ডে উপলক্ষে নতুন বছরের ক্যালেন্ডার প্রকাশ হলো দক্ষিণকলকাতার স্টুডিওতে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। শীতকালীন ডিজাইনার শালের এবছর মডেল ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী দোলন রায়। দোলন রায়কে নিয়ে ক্যালেন্ডারটি প্রকাশ হলো।
দোলন জানালেন, ইরানী মিত্রের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের কথা। একটি আবৃত্তিও পাঠ করেন। অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন, মডেল, গীতিকার দিব্যদূতি, মডেল রেহান কবির। ছিলেন প্রশিক্ষক মডেল রিক্তা আচার্য, জয়শ্রী, মহুয়া, কাকলী, সুচরিতা, মেঘা, নীলাঞ্জনা, মৌসুমী, সুদেষ্ণা, আরতি, রূপসায়নী, দীপ নিগম কৃষ্ণা লক্ষ্মনী প্রমুখ। ক্যালেন্ডার মডেলদের প্রসাধনসজ্জায় ছিলেন পল্লবী , দীপ্ত। ফটোগ্রাফিতে ছিলেন সিদ্ধার্থ ব্যাস। গান শোনান সিদ্ধার্থ ব্যাস, সুমনা নিয়োগী। আবৃত্তি পরিবেশন করেন মডেল সুস্মিতা দাস। সঞ্চলনা করেন সর্বাণী চ্যাটার্জি।
ইরানী জানালেন, আমি আমার ডিজাইন স্বপ্নে পাই। স্বপ্ন যুগিয়ে দেন স্বয়ং ঈশ্বর। আমার ওয়ার ড্রপে আছে নানা ধরণের শাড়ি। গরম আসছে। সূতির পোশাকে উৎসব বা দৈনন্দিন পরনের হাল্কা শাড়ি আছে। যা মেয়েরা সহজে বহন করতে থাকে।
ইরানী আরও বলেন, ক্রেতাদের পছন্দের খোঁজ রাখি।সকলেই কমফোর্ট জোন খোঁজে। তবু সাজেশন দিই। আমরা পোশাক শিল্পীদের আমি বুঝিয়ে দিই। অনেক সময় ভুল হয়। কিন্তু সেই পোশাকও কাজে লেগে যায় অন্য এক সৃষ্টি পরিকল্পনায়। অনেকে নেতিবাচক মন্তব্য করেন। তাঁর অপছন্দের কারণ বুঝে তাঁদের পছন্দকেও গুরুত্ব দিই। ফিল্ম দুনিয়ায় আমার ফ্যাশন চিন্তা ২০১৭ সালে। ঋতুপর্ণা আমার কাছে ডিজাইন চান। ফ্যাশন জগতে যাঁরা আসেন তাঁদের বলি জীবনে শৃংখলা রাখা উচিত। পেশার বাইরেও যাঁদের শিল্প সংস্কৃতির চর্চা থাকে তাঁদের উৎসাহ দিই। রাজ্যের প্রান্তিক অঞ্চলে যাঁরা থাকেন তাঁদের কাছেও হোল সেলার মারফত পৌঁছে দিই আমার সৃষ্টি। কিছুদিনের মধ্যে বাজারে আনছিস্বয়ংবর। এই ব্র্যান্ড সবার জন্য।