*
দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : উত্তর পূর্ব ভারতের বাংলা সংস্কৃতি নির্মাণে সচেষ্ট পূর্ব ভারত বাংলা সাহিত্য সভা বেশ কয়েকবছর ধরে উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন শহরে বার্ষিক অধিবেশন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করছেন। গতবছর মেঘালয়ের শিলং শহরে সংগঠনের বার্ষিক অধিবেশনে পালিত হয় রবি কবির শেষ শিলং যাত্রার শত বর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠান। গত রবিবার দক্ষিণ কলকাতার যোগেশ মাইম মঞ্চে সকাল থেকে সন্ধে অনুষ্ঠিত হয় এবারের বার্ষিক অধিবেশন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।১৯৬১ সালের ১৯ মে বরাক উপত্যকায় ভাষা আন্দোলনে শহীদ ১১ জন মাতৃভাষা প্রেমীর স্মরণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিশিষ্ট কিছু গুণীজনকে সংবর্ধিত করা হয়। এঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন নেতাজির পৌত্রী তপতী ঘোষ , সাংবাদিক সুমন ভট্টাচার্য, নেতাজি গবেষক ও লেখক জয়ন্ত চৌধুরী , লেখিকা ও ভাষা আন্দোলনের প্রথম নারী শহীদ কমলা ভট্টাচার্যের ভ্রাতুষ্পত্রী বর্ণালী ভট্টাচার্য, বঙ্গবিভূষণ শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার প্রতুল মুখোপাধ্যায় , বাংলা পক্ষ সংগঠনের প্রধান গর্গ চট্টোপাধ্যায় ও কবি স্বপন কুমার নাথ ।
পরিস্থিতির অনুধাবনে একদিকে স্ত্রী রাখী নাথ ও পুত্র সৌরভের উৎসাহ ও বন্ধুদ্বয় মনজিত রায় ও প্রীতি ঘোষের অনুপ্রেরণায় স্বপন বাবুর সাহিত্য চর্চা ধারাবাহিকতা লাভ করে। এছাড়াও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপক ধৃতিকান্ত রায়চৌধুরী ও মধুমন্তী মৈত্রের সঙ্গে পরিচয়ের সুবাদে সাহিত্য চর্চার এক নতুন রূপ নির্মাণ করেন স্বপন কুমার নাথ। ইংরেজি ও বাংলা কাব্য রচনাকার হিসেবে ইতিমধ্যে সাহিত্যপ্রেমী ও কবিতা অনুরাগীদের কাছে সমাদৃত হচ্ছেন স্বপন কুমার নাথ পূর্ব ভারত বাংলা সাহিত্য সভার তরফে স্বপন কুমার দেবনাথের স্বীকৃতি স্বরূপ সম্বর্ধনা স্বপন বাবু মনে করেন সাহিত্য ও কাব্য চর্চায় আরও দায়বদ্ধতা তাঁর বেড়ে যায এমন সম্মান পেলে।