******

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : ২০১৮-১৯ এ রাজ্যের শালবনীতে ইস্পাত আর সিমেন্ট কারখানা গড়ে রং কারখানা নির্মাণের কথা বলছিলেন জিন্দল গ্রুপের শীর্ষ করতে পার্থ জিন্দল।কিন্তু দু বছর পর কলকাতায় অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়ান পেন্ট এসোসিয়েশনের সভায় জিন্দল গোষ্ঠীর সি ই ও সুন্দরেশন জানান, এখন কর্নাটকে ও , মহারাষ্ট্রে রংয়ের কারখানা আছে। সংস্থার বিস্তৃতি ঘটাতে আমরা দুটি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ও মধ্যপ্রদেশের কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু গত দুতিন বছর ধরে রংয়ের বাজার মন্দা চলছে।সেক্ষেত্রে এখনকার কারখানা নয়। তবে কারখানা নির্মাণের সম্ভাব্য ইতিবাচক স্থান হিসেবে প্রথম পছন্দ মধ্যপ্রদেশ।
অন্যদিকে বিড়লা গোষ্ঠীর ওপাস সি ই ও রক্ষিত হার্গভে বলেন, খড়গপুর কারখানায় উৎপাদন মার্চ মাসে পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু হতে চলেছে। হাজার্ট কোটি টাকা ব্যয়ে কারখানা গড়েছে বিড়লা। কর্মসংস্থান হবে আড়াইহাজার জনের কমপক্ষে। উৎপাদন ক্ষমতা সর্বোচ্চ ২৩.৬ কোটি লিটার।

সংগঠনের পক্ষে জানানো হয়, দেশের রং উৎপাদনের ৫/৬ শতাংশ বিদেশে রপ্তানি হয়। রংয়ের মান বিশ্বমানের হলেও রপ্তানির জনিত খরচ বেশি হয় তাই দামের নিরিখে সামঞ্জস্য রাখা সম্ভব হয় না দিগদর্শন প্রতিবেদকের প্রশ্ন ছিল, বিভিন্ন রাজ্যে গড়ে ওঠা রংয়ের কারখানার বর্জ্য পদার্থের বিষক্রিয়ায় নদীর জল দূষিত হচ্ছে এমন অভিযোগ ওঠে। এই ব্যাপারে নির্মাণ সংস্থার ভূমিকা কি ? জবাবে বলা হয় , বিভিন্ন রং নির্মাণ সংস্থা বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল । রং নির্মাণের বর্জ্য পরিশোধন করে নিকাশি ব্যবস্থা করা হয়। জল রং নির্মাণের ক্ষেত্রে দেশের উপযোগী আবহাওয়ার রং এখন দেশের প্রান্তিক মানুষের কাছে যাতে ন্যায্য মূল্যে পৌঁছে যায় বিভিন্ন সংস্থা তেমন পরিকল্পনা নেয়। রং নির্মাণ সংস্থার সংগঠনের পক্ষে মাঝেমাঝেই বিভিন্ন সেমিনার করে বিপণন , দূষণমুক্তির উপায় ও রং শিল্পের সার্বিক বিকাশ , গ্রাহক সন্তুষ্টির উপায় নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে ধারণার আদানপ্রদান করা হয।
এদিনের অনুষ্ঠানে সাংবাদিক সন্মেলনে হাজির ছিলেন এন ডি ইন্ডিগো সংস্থার এম ডি হেমন্ত জালান, বার্জার পেন্টসের এম ডি , সি ই ও অভিজি রায়, নেরোল্যাক সংস্থার এম ডি অনু জৈন, পি নিপ্পন সংস্থার মহেশ আনন্দ, জাসন গঞ্জালভেস , সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মহেশ কেডিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক অনুপম কেডিয়া প্রমুখ।