*
সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়:
কলকাতার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের অগ্নিবীণা ক্লাবের রক্তদান শিবিরে একসঙ্গে মঞ্চে থেকে কুণাল ঘোষ সদ্য দলত্যাগী তাপস রায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন। উত্তর কলকাতা লোকসভা টিকিটের প্রত্যাশী ছিলেন তাপস রায়। আশা ছিল এবার শিকে ছিঁড়বে। সত্যি বলতে কি সুদীপ বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে অনেকদিনই কুণাল ঘোষের রসায়ন ভালো নয়। ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কুণালের ঘরের ওয়ার্ড। সেখানকার পুরপিতা ছিলেন একজন সুদীপ অনুগামী। সূত্রের খবর, গত পুর নির্বাচনে ২৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়ার কলকাঠি নেড়েছিলেন কুণাল। সেই কূটনীতির অঙ্কে কুণাল সফল হন।২৮ নম্বর ওয়ার্ডের মনোনয়ন পান আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী। যিনি কুণাল ঘোষের অনুগামী শুধু নন, আইনী সহায়কও বটে। দীর্ঘদিনের কংগ্রেস কর্মী পরবর্তী কালে তৃণমূল নেতা হিসাবে শুধু নন, বিধানসভার মুখ্য সচেতকও ছিলেন তাপস রায়। কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে তাপস রায়ের বাড়িতে তল্লাশি চলে। তাপস রায়ের অভিমান হয় দলের সুপ্রিমো সবার খোঁজ নেন , কিন্তু তাঁর খবর দিদি নেননি। বুকে পাথর চেপে চুপ ছিলেন , কিন্তু বুঝতে পারছিলেন অনেক আগে থেকেই দলে তাঁর চেয়ে সুদীপ বন্দোপাধ্যায়ের প্রভাব বেশি। তাই রাজনীতি থেকে অবসরের আভাস দিয়ে রেখেছিলেন।
কিন্তু তাপস রায়ের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় ব্রিগেডে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় যখন উত্তর কলকাতা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে সুদীপ বন্দোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করেন। একদা তৃণমুলের উত্তর ও মধ্য কলকাতার জনপ্রিয় ছাত্রনেতা সজল ঘোষ দল ছেড়ে বিজেপিতে শখে যোগ দিয়েছেন ভাবাটা ভুল হবে। তেমন ভাবে এটাও সত্যি, দীর্ঘদিন কংগ্রেসী রাজনীতি করা কুণাল ঘোষ তৃণমূল দলের সলতে পাকানোর দিন থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী ছিলেন । দুঃসাহসের সঙ্গে দলের ঢাল হিসেবে লড়াই করেছেন। দলের অনেকেই বিষয়টা মেনে নিতে পারতেন না। কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায়ের স্নেহধন্য কুণালকে মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।
সাংবাদিকতার পেশায় এই প্রতিবেদকের সঙ্গে যোগসূত্র গড়ে ওঠে দূরদর্শনে প্রথম বেসরকারি সংবাদচিত্র নির্মাণের সুযোগ পেলাম যখন। ছিল না কোনো বেসরকারি টিভি চ্যানেল। ফলে অডিও ভিস্যুয়াল মিডিয়াকে ভোটের কাজে ব্যাবহার করতে বাম ,কংগ্রেস ও তৃণমূল আমাদের দিয়ে পেশাগত শর্তে প্রচারচিত্র নির্মাণ ও সমীক্ষা করায়। এহেন কুণাল ঘোষ স্পষ্ট কথা বলে অনেকের অপ্রিয় হয়েছেন ধীরে ধীরে।
একসময় দুজনে কাজ করেছিলাম মিঠুন চক্রবর্তীর সিগন্যাস টিভি চ্যানেলে। উদ্যোগটা কুণালেরই ছিল। মিঠুন চেয়েছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরিচিত হতে। সেই যোগসূত্র তৈরী কুণালই করে দেন। মিঠুন যাচ্ছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়ি। খবরটা কুণাল জানাতেই ক্যামেরাম্যানকে নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলাম কালীঘাটে। যথাসময়ে মিঠুন এলেন। নমস্কার বিনিময় করলেন। মিঠুন মমতার যোগাযোগে কুণালের উদ্যোগকে কিন্তু দলের অনেকেই খুশি মনে সেদিন মেনে নেন নি। এরপর কেটেছে অনেকদিন। ২০১০ এ তৈরি হল চ্যানেল টেন । সেখানেও যোগ দিয়েছিলাম কুণালের আমন্ত্রণেই। এরপরের ঘটনা সকলেই জানেন। সারদা কেলেঙ্কারিতে কুণালের গ্রেপ্তার। গ্রেপ্তার কিন্তু কেন্দ্রের সরকার করেনি। করেছিল রাজ্য সরকার। দীর্ঘদিন কারাবাসের পর ফিরে আসা। একদিনের জন্যও দলের আনুগত্য বদল করেননি। একসময় দল বুঝেছে কুণালের আনুগত্যে ভেজাল নেই। ফলে মুখপাত্র শুধু নয় , সর্বভারতীয় সম্পাদকমন্ডলীর একজন মনোনীত হয়েছেন। দল শুভেন্দু অধিকারীর বিরূদ্ধে মার্কিং করার দায়িত্বও দিয়েছিল কুণালের অভিজ্ঞতাকে মান্যতা দিয়ে।
কিন্তু সংসদীয় রাজনীতিতে বিভিন্ন দলে বিভিন্ন সময়ে এমন কিছু ঘটনা ঘটে, যেখানে দুয়ে দুয়ে চার সবসময় হয় না। দলের সিদ্ধান্ত অনেক নেতা কর্মীর মনের মত হয় না। আবার নেতা বা কোনো কর্মীর বক্তব্য দলের মন্তব্য হয় না। তবু নিজের শিরদাঁড়া বজায় রেখে কুণাল বাস্তব পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে পদক্ষেপ নিয়েছেন। কখনও কখনও দলের সিদ্ধান্ত বা মন্তব্যে একমত হতে পারেননি। সম্ভবত তাঁর সাংবাদিক সত্ত্বা তাঁকে তাড়িত করেছে। আবার দলের সিদ্ধান্তকে হজম করে স্বল্প সময়ের মধ্যে দুরকমের মন্তব্য করতে হয়েছে। দেব, মিঠুন ও কুণাল এই ত্রিকোণ দ্বন্দ্ব ঘটতে শুরু করে অভিনেতা দেব যখন তাঁর ছবির ব্যবসায় মিঠুন চক্রবর্তীকে যুক্ত করেন প্রজাপতি ছবিতে। সেই দ্বন্ধকে গুরুত্ব না দিয়েই দেবকে বলতে হয়েছে মিঠুনদা আমার বাবার মত। তাঁর কোনোদিন কিডনি লাগলে আমি দেব। কুণাল প্রজাপতি ছবির দর্শক হিসেবে বলেছিলেন বাবার চরিত্রটা মিঠুনের থেকে পরাণ বন্দোপাধ্যায় ভালো করতেন। সেই সময় দেব ওরফে সাংসদ দীপক অধিকারী কুণালের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, সিনেমাটা আমার বিষয়, আমাকে সেটা ভাবতে দিন।
সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো কলকাতার এক বাংলা চ্যানেলে দুঁদে সাংবাদিকের কাছে দেব যখন সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলে বসেন , মিঠুনদা আমার বাবার মত। তাই দলীয় রাজনীতিতে কুকথা আমার পছন্দ নয়। প্রধানমন্ত্রী যখন দিদিকে ও দিদি বলে সুর করে বিদ্রুপ করেন সেটা যেমন অরুচিকর, তেমন বিরোধী কাউকে গদ্দার বলাও আমার পছন্দ নয়। কুণাল তখন স্পষ্ট করে বলেছেন, চৈতন্যদেবের মত প্রেম বিতরণ করব এমন কারোর সঙ্গে যিনি আমাদের নেত্রী ও সেনাপতির নামে কুৎসা করেন, ব্যবসার সুবিধের জন্য দলকে ব্যবহার করব দুটো চলতে পারে না। লক্ষ্য করার বিষয়, এই বিতর্কিত মন্তব্যের পরের দিনই ঘাটালে দেবের সমর্থনে সভা করতে গিয়ে দলনেত্রী বলেন , দেব এখন পরিণত রাজনীতিবিদ । সিনেমার কাজের চাপে প্রার্থী হতে চায় নি। কিন্তু আমরা তাঁকে ছাড়ছি না। ফলে সেদিনই পরিষ্কার হয়ে যায়, দেব দলের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং কুণালের দলের প্রতি আনুগত্য মূল্যহীন হয়ে পড়ে। নবীন প্রবীণ বিতর্কেও কুণাল বলেছিলেন, বামেরা তরুণদের ব্রাত্য করে রাখার শিক্ষা পেয়েছে। আমরাও কি সেই পথে চলব? কুণালের কথায় স্পষ্ট বোঝা গিয়েছিল তাঁর জেলবন্দী হওয়াটা ছিল পার্থ চ্যাটার্জির ষড়যন্ত্র। সেই পার্থ যখন গ্রেপ্তার হলেন কুণাল পরিষ্কার ভাষায় বলেছেন, নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় । কিন্তু ভবিষ্যতের নবীন প্রজন্মের নায়ক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। সবাই জানেন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন বয়স দিয়ে কারও পরিচয় হয় না। পরিচয় হয় কাজের যোগ্যতা দিয়ে। সুতরাং নবীন প্রবীণ বিতর্কে কুণাল ঘোষ ইতি টানেন।বুধবার রক্তদান সম্পর্কিত একটি অরাজনৈতিক সভায় একমঞ্চে ছিলেন আমন্ত্রিত হিসেবে কুণাল ঘোষ সহ তৃণমুলের অনেক নিচুতলার নেতা অনুগামী। ছিলেন তাপস রায় সহ বিজেপির নেতা অনুরাগীরাও। কংগ্রেসেরও কয়েকজন ছিলেন । সেখানে পুরানো সহকর্মী হিসেবে তাপস রায়ের প্রশংসায় আবেগঘন হয়ে পড়াটা কুণালের কোনো উদ্দেশ্য ছিল কি না সেটা রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বোঝেন। কিন্তু ঘটনার কয়েক ঘন্টার মধ্যে দলের সম্পাদক পদ থেকে কুণাল ঘোষের অপসারণ আবার খবরের শিরোনাম হয়ে ওঠে। এর আগেও ৪ মার্চ সুব্রত বক্সির শোকজ চিঠিতে বলা হলো, কেন তাঁকে মুখপাত্রের পদ থেকে সরানো হবে না? পরেরদিন ৫ মার্চ দেখা গেল সেই কুণাল ঘোষকে দলের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠকে বক্তব্য রাখতে। এটাও রহস্য থেকে গেছে।
রহস্য আরও দানা বাঁধে যখন আজ দলীয় প্যাডে অপসারণের চিঠিতে দলের সভাপতি সুব্রত বক্সির বদলে সই থাকে ডেরেক ও ব্রায়ানের। সন্ধায় প্রেসক্লাবে পৌঁছে সংবাদ প্রতিনিধিদের কুণাল জানালেন, ক্যুইজ মাস্টারের চিঠিতে প্রচ্ছন্ন দলের ওপরতলায় নেতাদের প্রশ্রয় রয়েছে। দলের ওপরতলা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভালো বুঝেছেন বলে । আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, ঈশ্বর এঁদের মঙ্গল করুন।একটা কথা কুণালের শত্রু মিত্র সবাইকে মানতে হবে ২০১১ সালে যখন বামেরা ক্ষমতায়, তখন থেকে আজ পর্যন্ত বিরোধীদের বিরুদ্ধে বুক ঠুকে যদি কেউ অগ্নিবাণ ছুঁড়েছেন তাঁদের মধ্যে কুণাল সবার আগে। দলের স্বার্থরক্ষা করতে গিয়ে ব্যক্তিগত শত্রু তৈরিতেও পিছু হটেননি কুণাল। দেব যখন দলের সাংসদ তখন ভোটের সময়ে বিরোধী নেতা মিঠুন চক্রবর্তী বলেন মমতাকে গদিচ্যুত করে ছাড়ব, তখন মিঠুন সম্পর্কে বাবার মত বলাটা যে ভোটারদের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে সেটা বোঝার মত বুদ্ধি দেবের আছে। তিনি এটাও জানেন, তিনি আজ দেব হয়েছেন বলেই দলে তাঁর প্রয়োজনীয়তা। তাঁর গ্ল্যামার আর অনুরাগীদের দলে টানতেই তৃণমূলে তাঁর ওজন। একটা কথা পরিষ্কার বাংলার তৃণমূল ও বিজেপি দুই দলই বোঝেন দলের নেতাদের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্রমশ তলানিতে গিয়ে ঠেকছে। তাই মুনমুন সেন বামেদের দুঁদে নেতা বাসুদেব আচারিয়াকে হারান। যেভাবে এলাহাবাদে বহুগুণাকে হারিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন। বামেরাও এক্সপেরিমেন্ট করতে অনিল চট্টোপাধ্যায়, অনুপ কুমার ও বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়কে বিধানসভায় প্রার্থী করেছিল! সেক্ষেত্রে অবশ্য অনিল চট্টোপাধ্যায ছাড়া অঙ্ক কাজে লাগেনি। তৃণমূল দল যখন বুঝেছে মিমি চক্রবর্তী ও নুসরতকে ছেঁটে দিয়েছে। বিজেপি মিঠুনকে সামনে এনে তাঁর জনপ্রিয়তা কাজে লাগাতে চেয়েছিল। মিঠুন মনে করেছিলেন ,গোখরো সাপের ডায়লগ দিয়ে বাজি জিতবেন। কিন্তু ফল হয়েছিল উল্টো। এবার তাই সেসব সংলাপ তিনি কোথাও বলছেন না। বিজ্ঞের মত রাজনৈতিক কথা বলার চেষ্টা করছেন। মমতা বন্দোপাধ্যায় তাঁকে গদ্দার বলায় তিনি মমতাকে বলেছেন স্ত্রীলিঙ্গে গদ্দারি। যদিও বাংলা ব্যাকরণ সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে তিনি গদ্দারের স্ত্রীলিঙ্গে গদ্দারি বলতেন না।
অভিনেতা,প্রযোজক দেবকে প্রশ্ন করা যায় যদি তাঁর নেত্রীকে মিঠুন গদ্দারি বলছেন। তাঁর পিতৃসমা বিরোধী দলের নেতা কাম অভিনেতা যখন তাঁর মাতৃসমা নিজের দলের সর্বোচ্চ নেত্রীকে আক্রমণ করছেন, তখন তিনি বাবার মত বা মায়ের মত কার পক্ষে থাকবেন? কুণালের কথায় যথেষ্ট যুক্তি আছে। উদারতার আদিখ্যেতা দলের ক্ষতিই করে। কিন্তু কুণাল আপনিও তো আপনার পাড়ার পুজোয় আপনার বিরোধী দলের নেতা অনিল বিশ্বাসের মৃত্যুর পর তাঁর মহানতার স্মৃতিচারণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দেয়াল চিত্রের মাধ্যমে। আপনি একটি ছবি প্রযোজনা করেছিলেন বালুকাবেলা ডট কম। সে ছবির প্রিমিয়ারে অতিথি হিসেব আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বাম নেতা মোহাম্মদ সেলিমকে। আপনি তৃণমূল দলের সেরা সৈনিক হলেও বাম আমলের স্পিকার হাসিম আব্দুল হালিমের স্নেহধন্য ছিলেন। তখন অনেক খবর আপনার প্রতিযোগী সংবাদপত্র পাওয়ার আগে আপনি পেয়ে যেতেন। হ্যাঁ। সেটা কোনো অন্যায় নয়। আপনার রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে পরিচয় পাড়ার দুর্গাপূজা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, আপনি সিনেমা প্রযোজক , আপনি সর্বোপরি একজন শ্রমজীবী সাংবাদিক। সুতরাং দেবের দ্বৈতসত্ত্বা থাকাটা কি অস্বাভাবিক? দেব এও বলেছেন, আমাকে পয়সা দিয়ে কেনা যাবে না, ভয় দেখিয়ে কিছু করা যাবে না। ভালোবাসা দিয়ে তাঁকে কেনা যাবে। দলের নেত্রী তাঁকে তো ভালোবাসা দিয়েই তৃণমূল শিবিরে রেখেছেন। তিনি দলের কাছে প্রত্যাশী হননি। দল তাঁকে অনুরোধ জানিয়েছিল দলে যোগ দেওয়ার জন্য। দেব তো প্রার্থী হতেও চাননি এবার। কিন্তু ক্যামাক স্ট্রিটের আলোচনায় পাল্টে গেল মতটা। কিছুদিন আগে দল থেকে এক গুরুত্বপূর্ণ মুখপাত্রের পদ কুণাল নিজে ছেড়েছেন। দল সম্মতি দিয়েছে। তারপরেও দেখা গেছে দলের সাংবাদিক বৈঠকে বক্তব্য রাখতে। আজ তাপস রায়ের প্রশংসা করায় দলের সম্পাদক পদ থেকে সরানো হল। এটাই যদি দলের স্থায়ী সিদ্ধান্ত হয়, তবে নিঃসন্দেহে বলা যায় কুণালের কিছু হারানোর নেই। বিরোধীপক্ষ আজ কুণালের অপসারণে উল্লসিত , তাতে একটা বিষয় পরিষ্কার দল একজন সাহসী অনুগত সেনা হারালে দলেরই ক্ষতি। একথা বলছি কেন? কুণালের শেষ কথাটা কিন্তু মনে রাখা দরকার। আমার বা,,,,,,, পদ দরকার নেই। সাধারণ কর্মী হিসেবে দলে থাকার চেষ্টা করব। চেষ্টা শব্দটা কিন্তু ইঙ্গিতপূর্ণ। পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট কোনদিকে মোড় নেয় সেদিকেই তাকিয়ে বাংলার মানুষ।