কলকাতায় অনুষ্ঠিত হলো তিনদিন ব্যাপী নেচার অ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফেস্টিভ্যাল

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রী শুধু শখের ছবি তোলা নয়, রীতিমত একটি শৈল্পিক চর্চা। একদিকে নান্দনিক তত্ত্ব অন্যদিকে পেশাদারী উপার্জনের বিপুলসম্ভাবনা আছে। এই আলোকচিত্র গ্রহণের নূন্যতম শর্ত ধৈর্য, অধ্যবসায়, ব্যবহারিক দক্ষতা ও আন্তরিক অভিপ্রায়। আর দরকার প্রাণীদের সম্পর্কে ও প্রকৃতি আবহাওয়ার সম্যক জ্ঞান। দরকার সঠিক এক্সপোজার।মনে পড়ে২০২০ তে দ্য ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার অব দি ইয়ারলুমিক্স এ পিপলস্ চয়েস অ্যাওয়ার্ড এর কথা। লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। বিবিসি ন্যাচারাল হিস্ট্রি ফিল্ম মেকিং ইউনিটের গবেষক স্যাম সেন্ট্রাল লন্ডনের পাতাল রেল স্টেশনে পাঁচদিন ধরে অশেষ ধৈর্য নিয়ে অপেক্ষা করেছিলেন দুটি ইঁদুরের মানুষের ফেলে দেওয়া খাবারের উচ্ছিষ্ট নিয়ে অস্তিত্ব সংকটের লড়াইয়ের ছবি তুলতে। তিনি সফল হয়েছিলেন। লো অ্যাঙ্গেলে ছবি তুলতে তিনি পাঁচদিন শুয়ে ছিলেন পাতাল রেলের স্টেশনে। সেবার সেরা ছবির পুরষ্কার জিতে নেয় ছবিটি । কলকাতায় এমন শিল্পী ফটোগ্রাফারদের উৎসাহিত করার সংগঠন নামমাত্র।

চিনু দত্তগুপ্ত মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী এমনই এক নেচার অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিতহল কলকাতা সেন্টার ফর ক্রিয়েটিভিটিতে। পূর্ব ভারতের একটি বৃহত্তম প্রদর্শনী ও ওয়াইল্ড সোজানর্স নেচার অ্যাওয়ার্ডস অ্যান্ড ফেস্টিভ্যাল ২০২৪। এই উৎসবেফিল্ম প্রদর্শন, বন্যপ্রাণী চলচ্চিত্র নির্মাণের মাস্টার ক্লাস ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংক্রান্ত নানা বিষয়ে সেমিনার। ছিল আলোকচিত্র প্রদর্শনী। উৎসবের শেষদিনে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। উৎসবের লক্ষ্য প্রকৃতির সৌন্দর্য উদযাপন, প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণীর সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের নির্মাণ। পাশাপশি পরিবেশ সংরক্ষণের সচেতনতা প্রচার। উৎসবে উপস্থিত ছিলেন থমাস বিজয়ন, শিবাঙ্গ মেহতা, অনীশ আন্ধেরিয়া, সাগর গোসাভি , হীরা পাঞ্জাবি, রিপন বিশ্বাস, কল্লোল মুখার্জি, যশোধন ভাটিয়া, কিরণ পুনাচা , রামাচন্ডিরণ গোবিন্দরাজ, বালাজি লোগানাথন পুষ্কর বসু প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সূচনা করেন রাজ্য সরকারের বন ও হফের প্রধান মুখ্য সংরক্ষক দেবল রায় ও চিনু দত্তগুপ্ত মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি অশোক রায়চৌধুরী। ট্রাস্টের চিফ ট্রাস্টি ড: মেঘ রায়চৌধুরী জানান, এই পুরষ্কার এশিয়া ও বিশ্বের একটি বড় উৎসব। এখানে বিশ্বের ৫৭ টি বিভিন্ন দেশের প্রায় ২০ হাজার আলোকচিত্র এসেছে। বিভিন্ন বিভাগে পুরষ্কার বাবদ ,১৬ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। সমগ্র অনুষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানে ছিলেন ড: প্রসন্ন এভি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *