***

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : কলকাতায় বাঙালি বাসস্থান হিসেবে বসবাস শুরুর অনেক আগে থেকেই রাজস্থানের বণিক সম্প্রদায় কলকাতায় ডেরা বাঁধেন। ইতিহাস বলছে,১৮৬০ সাল থেকে পূর্বাঞ্চলে রাজস্থানের মানুষ ব্যবসার টানে আসতে শুরু করে।১৯১১ সালের হিসেবে বাংলায় রাজস্থানী মানুষের সংখ্যা ছিল ৭৫ হাজার। কলকাতাতেই প্রায় ১৫ হাজার।১৯৪৫ সালে কলকাতারই কিছু রাজস্থানী বণিক নিজস্ব ঘরানা ও সামাজিক মেলবন্ধনের স্বার্থে নিজস্ব এক ক্লাব গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।১৯৪৬ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন ল্যান্সডাউন রোড অধুনা শরৎ বোস রোডে এক ভাড়ার বাগানবাড়িতে প্রথম গড়ে তোলেন হিন্দুস্থান ক্লাব। যে সব রাজস্থানী সম্প্রদায় পেশার কারণে রাজস্থানের নাড়ির টানকে সরিয়ে কলকাতাকে আপন করে নেন তাঁদের ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও পারিবারিক বন্ধনের প্রতীক হয়ে ওঠা হিন্দুস্থান ক্লাব ১৯৯০ সালে বর্তমান ঠিকানায় নিজস্ব ভবনে স্থানান্তরিত হয়।

এরপর থেকে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা, বিনোদনমূলক সংস্কৃতির এক দ্রুত বিস্তারে ঘটে। ক্লাবের কলেবর বৃদ্ধি হয়। বিনোদন শর্তের পাশাপাশি সামাজিক কল্যাণমূলক কাজ ক্লাব শুরু করে। ১৮ ফেব্রুয়ারি ৮০ তম বর্ষ পালিত হয় হিন্দুস্থান ক্লাবে সম্মান প্রেরণের মধ্য দিয়ে।অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন শিবিরের প্রথমটি নাগরিক মেয়র ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বিশেষ আমন্ত্রিত ছিলেন চিনা কনসাল জেনারেল মি শু ওয়েই, রাশিয়ান কনসাল জেনারেল এম ভি কোজলোভ স্থানীয় পুরপিতা অসীম বোস । ক্লাবের পক্ষ থেকে দুজনকেই সংবর্ধিত করা হয়। সম্মানিত করা হয়সমাজসেবী আশীষ বসুকে
হিন্দুস্থান ক্লাব সম্মান ২০২৫ এ ভূষিত করা হয় রূপা এন্ড কোম্পানির চেয়ারম্যান প্রহ্লাদ রাই আগরওয়াল, সেঞ্চুরি প্লাইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সাজ্জন ভজাঙ্কা, জোড়াসাঁকো বিধানসভার বিধায়ক ও সংবাদপত্র কর্ণধার বিবেক গুপ্তা, শিল্পদ্যোগী ও সমাজসেবী মিরাজ শাহকে। উপস্থিত সবাইকে স্বাগত শুভেচ্ছা জানান ক্লাব সভাপতি ঋষভ সি কোঠারি, সহসভাপতি সঞ্জয় গোয়েঙ্কা ও সম্পাদক সি এস সারদা। অনুষ্ঠানটি সফল করতে বিশেষ ভূমিকা নেন কোষাধ্যক্ষ কমল ঘেলানী, যুগ্ম সম্পাদক ধ্রুব আগরওয়াল ও সৌরভ শাহ।