১৫ জুন পিতৃদিবসে পারিবারিক বন্ধনকে উৎসাহিত করল ডিসান হাসপাতাল

শ্রীজিৎ চট্টরাজ : ১৯০৮। আমেরিকার পশ্চিম ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমেন্টের এক গির্জায় প্রথম পিতৃ দিবস পালিত হয়। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে আশ্চর্যের বিষয় প্রথম পিতার প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানানোর এমন পরিকল্পনার কথা মাথায় আসে সনোরা স্মার্ট ডড নামে ওয়াশিংটন নিবাসী এক মহিলার। এই মহিলার জন্মানোর পর মা প্রয়াত হন। পাঁচ ভাইবোনকে মানুষ করেন তাঁর বাবা। বাবার জন্মদিন ছিল ১৯ জুন । প্রথম সেদিনই পিতৃ দিবস সরকারি স্বীকৃতি পায় ১৯১০ সালে।১৯৭২ সাল থেকে আমেরিকায় এটি জাতীয় ছুটি। রোমান ক্যাথলিকরা অবশ্য সেন্ট জোসেফের জন্মদিন ১৯ মার্চ পিতৃ দিবস পালন করেন। বিশ্বে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গেও পিতৃ দিবস পালিত হচ্ছে।

রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, পুত্রের মধ্যে পিতা নিজেকেই উপলব্ধি করে, সেই উপলব্ধিতেই আনন্দ। বাংলাদেশের কবি গুলাম মুস্তাফা লিখেছেন, ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে।
আজও বাঙালি নস্টালজিক হয় শ্রাবন্তী মজুমদারের সেই গানে। আয় খুকু আয়। ইদানিং বেশ কিছুদিন ধরে বেসরকারি চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানকারী হাসপাতাল ও
কর্তৃপক্ষ সামাজিক দায়বদ্ধতায় ব্রতী হয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে নিজেদের যুক্ত করছে। সম্প্রতি ১৫ জুন আন্তর্জাতিক পিতৃ দিবসে ডিসানকিডস চ্যাম্পিয়নশিপ ফাদার্স ডে স্পেশ্যাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বসে আঁকো প্রতিযোগিতা ছাড়াও অভিভাবকদের নিয়ে মজাদার খেলা যেমন সংগঠিত করা হয় তেমন শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয় হেল্থ প্রিভিলেজ কার্ড।

এই অনুষ্ঠানে কলকাতার বিভিন্ন স্কুলের ২ বছর বয়সী থেকে ১৭ বছর বয়সী ১০০শিশু অংশ নেয়। হাসপাতালের পক্ষে গ্রুপ ডিরেক্টর শাওলি দত্ত , মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট এইচ ও ডি ডা: তাপস রায়, সিনিয়র পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভিস্ট ডা: বিচিত্রভানু সরকার, সিনিয়র কনসালটেন্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ এবং নবজাতক বিশেষজ্ঞ ডা: অনির্বাণ বসু ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: অরিজিতা চ্যাটার্জি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ছিলেন প্রতিযোগী স্কুলের অধ্যক্ষ , কর্মী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। অনুষ্ঠানের মধ্য দিয় আজকের ভোগবাদী সংস্কৃতির প্রভাবে পারিবারিক সম্পর্কে যখন ঘুন ধরছে তখন ডিসানের এই উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *