দিগ দর্শন ওয়েব ডেস্ক: মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়ে কিন্তু বেতন কমে এমন নিদর্শন স্বাধীন ভারতের কোনো রাজ্যে নেই। এই রাজ্যে যা হয়েছে নজিরবিহীন ভাবে। বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন এ আই ইউ টি ইউ সি ও এ এই এফের যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সন্মেলনে। ছিলেন শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য শাখার নেতা সমর সিনহা। সংগঠনের অন্য নেতাদের মধ্যে ছিলেন মানস কুমার সিনহা পঙ্কজ মন্ডল, সুমিত কুমার রায়, গোপালচন্দ্র দাস, জগদীশ বরঙ, প্রবীর মাহাতো অনঙ্গকিশোর ঘোষ, প্রিয় ব্রত চৌধুরী প্রমুখ।
শ্রমিক নেতারা জানালেন, রাজ্যের বিদ্যুৎ শিল্পের নিয়মিত কর্মীদের রোপা ২০২০ র মাধ্যমে বেতন বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থায়ী কাজে নিযুক্ত ঠিকা কর্মীদের জন্য শ্রম দফতর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সম কাজে সম মজুরির পরিবর্তে৮ শতাংশ বেতন কমিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। হয়ত ভোটেআগেই রাজ্যে অন্ধকার নেমে আসবে।
আন্দোলনের ডাক দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি লিমিটেড কন্ট্রাকটরস ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, সাগরদিঘী থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট কন্ট্রাকটরস ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন, সাঁওতালডিহি থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট ওয়ার্কমেন্স ইউনিয়ন । প্রাদেশিক সংগঠনের নেতা সমর সিনহা বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে এই বিদ্যুৎ সংস্থার সৃষ্টি। এখানে তখন থেকেই ঠিকা কর্মীরা রাতদিন রোদ জল মাথায় নিয়ে মই ঘাড়ে এলাকায় এলাকায় বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে জীবন হাতে নিয়ে কাজে থাকেন। অথচ সরকারি খাতায় তাঁদের পরিচয় রাজ মিস্ত্রি হিসেবে।
আজ পর্যন্ত যত রাজ্য সরকার ক্ষমতায় ঠেকেছে কেউ বিষয়টি নিয়ে ভাবেননি।শেষপর্যন্ত আদালতের রায়ে বর্তমান সরকার কর্মীদের স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়েছেন বটে কিন্তু অছিলায় ৮ শতাংশ বেতন কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা একদিকে যেমন আইনের ওপর ভরসা রাখবো সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিকের অন্তিম হাতিয়ার ধর্মঘটের আশ্রয় নিতে চলেছি। ভোটের আগেই কর্মীরা কাজ বন্ধ করে দিলে জেলায় জেলায় অন্ধকার নেমে আসবে। এছাড়া আমাদের আর উপায় নেই।সংবাদমাধ্যমের সূত্রে কথাটা আমরা শাসক দলের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।