*
সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়: সুকুমার রায় লিখেছিলেন, যত কিছু খাওয়া লেখে বাঙালির ভাষাতে, জড় করি আনি সব, থাক সেই আশাতে। আর এক কবি রবিন বন্দোপাধ্যায় লিখেছেন , ভালো যদি খেতে চাও, এসো বোসো টেবিলে। পেটটা ভরিয়ে নাও ফ্রাইয়ে আর ডেভিলে। খিদে যদি থাকে আরও, খাও তবে পরোটা, একটা বা দুটো নয় মোটামুটি বারোটা পরোটা কি শুধু খাবে ?খাও কষা মাংস।,,,,,,, সারা বছর কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় অ্যাবসিলিউটর বার্বিকিউ মকটেল থেকে ককটেল , টেবিলে গরম কাঠকয়লার আঁচে হাজির করে দুয়ারে তন্দুর। আনারস থেকে তরমুজ, পনির থেকে বেবী কর্ন। ফিশ থেকে চিকেন, প্রণ । স্কুইড থেকে অক্টোপাস তন্দুর। যত খুশি চান না, পেট ভরে খান না । রয়েছে ফুচকা, মুচমুচে কর্ন ফ্রাই। আলু চীজ টিক্কা চিকেন কিমা পাওভাজি।
প্রথম ইনিংস খেলে এগিয়ে যান মেনে কোর্সের মাঠে। সেখানে গিয়ে বাউন্ডারি বা ছক্কা হাঁকান পছন্দসই মেনু প্লেটে তুলে। সাদা ভাত থেকে বাসন্তী পোলাউ, ফ্রায়েড রাইস থেকে রুটি নান, পরোটা। ডাল ফ্রাই থেকে দম পনির, নবরত্নকারি, চিলি চিকেন থেকে ভেজ মাঞ্চুরিয়ান, ট্যাংরা মাছের ঝাল থেকে মাখো মাখো কই মাছ। চিংড়ি মালাইকারি।থাকছে মুড়ি ঘন্ট।পাশেই লাল শালুতে মোড়া হাঁড়ি থেকে চিকেন বিরিয়ানির গন্ধ । খিদেকে চাগিয়ে তুলতে সঙ্গত করতে আছে ভুনা কষা মাটন। এই পেট পুজোর উৎসবে তৃতীয় ইনিংসেও খেলতে হবে ডেজার্ট কাউন্টারে। হাতে গরম জিলিপি, মালপোয়া পেরিয়ে নানার স্বাদের পেস্ট্রি। কেশরী ফিরনি, সেউই পায়েস।যদি স্বাস্থ্যসচেতন হন নিয়ে নিন ফ্রুট স্যালাড। শেষপাতে ১০ রকমের আইসক্রিমে বা কুলফি। বরফের বিছানায় কুলফি জড়ো করে পান মশলার জারকে মুখ শুদ্ধি। এহেন অ্যাবসিলিউট বার্বিকিউ কলকাতার পার্ক স্ট্রিট, বাগুইহাটি, সল্টলেক, মধ্যমগ্রাম, রুবি , হাওড়ার অবনী মলে ও গৌহাটি, ভুবনেশ্বরে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পালন করছে সি ফুড ফেস্টিভ্যাল। সামথিং ফিশি নামের এই উৎসবে নেই কোনো রহস্য। থাকছে গোয়ানীজ ছোট চিংড়ির কারি, ট্যাংরা মাছের ঝোল, তাওয়া পমফ্রেট।
অ্যাবসিলিউট বার্বিকিউতে পেট পুজোর অভিজ্ঞতা এক চরম প্রাপ্তি। সংস্থার সি ও ও আশিষ রাই জানালেন, বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে মাছের একটা সংযোগ আছে। আমরা তাই মাছের কিছু ঐতিহ্যময় পদ রেখেছি । সামুদ্রিক খাদ্যের অনুরাগীরা এই সুযোগ হাতছাড়া করলে পস্তাবেন এটা হলফ করে বলাই যায় । এবার প্রাক পুজোর মরশুমে একদিন তো বটেই পুজোর কটাদিন শহরের যে প্রান্তেই থাকুন চলে যান অ্যাবসিলিউট বার্বিকিউসে। যেমন পরিবেশ তেমন পরিবেশনকারীদের আন্তরিকতা। খাদ্যের স্বাদ সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।