দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: ভারতে দেশীয় চিকিৎসার পাশাপশি পাশ্চাত্য চিকিৎসার ইতিহাস শুরু ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে। আধুনিক ব্রিটিশ চিকিৎসকেরা ব্রিটিশ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জাহাজে চেপে ভারতে পা রাখেন।১৭৮৫ তে বাংলা, মাদ্রাজ ও বম্বে অধুনা মুম্বাইতে ৪ জন শল্য চিকিৎসক ও ৪ জন সহকারী শল্য চিকিৎসক ও ২৮ জন চিকিৎসা কর্মীদের নিয়ে একটি হাসপাতাল বোর্ড তৈরি হয়। বয়সের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা পরিকাঠামো এদেশে মূলত ব্রিটিশ রাজকর্মচারী দের স্বার্থরক্ষা করে। ভারতে প্রথম হাসপাতাল স্থাপন মাদ্রাজে ১৬৭৯ সালে। প্রেসিডেন্সি জেনারেল হাসপাতালের পত্তন ১৭৯৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায়। এরপর থেকে জনসংখ্যা বাড়লেও পর্যাপ্ত হাসপাতালের অভাব থেকে যায় ভারতের সর্বত্র। চাহিদা পূরণে গত দু দশকে বেসরকারি হাসপাতালের সংখ্যা বাড়তে থাকে। কিন্তু সমাজের ওপরতলার মানুষ ছাড়া সে পরিষেবা সাধারণের জন আকাশকুসুম। তবু স্বাস্থ্যবীমার সুবাদে কিছু পরিষেবা সাধারণ মানুষের একাংশের হাতে এসেছে।
চলতি বছরে নির্বাচনের প্রাক মূহূর্তে পেশ হয় অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট। এবার সরকার অতিরিক্ত কিছু মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠাকথা ঘোষণা করেছে। সামগ্রিক স্বাস্থ্য খাতে টাকার পরিমাণ গত বছরের তুলনায় বাড়ানো হলেও বৃদ্ধির পরিমাণ সামান্যই।২০২৫ সালের মধ্যে জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি ঘোষণা হয় ২০১৭ সালে। কিন্তু স্বাস্থ্যের ওপর জিডিপির ২.৫ শতাংশের সরকারি ব্যয়ের লক্ষ্য মাত্রা ছুঁতে পারেনি। এই অবস্থায় কলকাতায় ৫ থেকে b৭:এপ্রিল একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন কাহোকন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হল নিউটাউন বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ১৮০০ প্রতিনিধি অংশ নিলেন।অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা কনসোর্টিয়াম অফ অ্যাক্রেডেটিকহেল্থ কেয়ার অর্গানাইজেশন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।আধুনিক চিকিৎসা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কি ভাবে পরিষেবা দিচ্ছে সেই সম্পর্কে সম্যকধারণা তৈরির সহায়ক এই সম্মেলন। সন্মেলনে সহযোগী দেশের বেশ কিছু স্বাস্থ্য পরিষেবা দানকারী সংস্থা। সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য বিভিন্ন শিক্ষাক্রম, কর্মশালা ও শিক্ষণের মাধ্যমে ভারতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সর্বিব উন্নতিসাধন। সন্মেলনে প্যানেল ডিসকাশন ,সেমিনার ও কুইজ্যের মাধ্যমে অধুনিক নিরাপদ ও সাশ্রয়ী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হদিশ দেওয়া হয়।
কাহোর সভাপতি বিজয় আগরওয়াল বলেন,স্বাদ পরিষেবা জগতের ব্যক্তিত্বরা একটি সংগঠনের ছাতার নিচে জড়ো হয়েছেন রোগীর সার্বিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে। সংগঠনের সম্পাদক সি এম সি ভেলোরের লাল্লু জোসেফের মন্তব্য , অষ্টম সন্মেলনে আগত প্রতিনিধিরা পারস্পরিক আলোচনা ও তথ্যের আদান প্রদানের মধ্য দিয়ে অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের সুযোগ পান। বিশ্ব বাংলা কনভেনশনের বাইরে কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে ওয়ার্কশপের আয়োজন করে উদ্যোগী সংস্থা। মূল অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচনায় যোগ দেন এইচ পি আই ও কাহো প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলেকজান্ডার থমাস , মেডিকা হাসপাতালের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও সিনিয়র কনসালটেন্ট কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের ডা: কুণাল সরকার, দিল্লি এইমসের মেডিক্যাল ডিরেক্টর, এনসি আর ডা,: সঞ্জীব কে সিংহ , কাহোর পৃষ্ঠপোষক ও ডিরেক্টর জেনারেল অফ এ এইচ পি আই ডা: গিরিধর গিয়ানি চীফ একজিকিউটিভ অফিসার অব ন্যাশনাল অ্যাক্রেডিতেশন বোর্ড ফোর হসপিটাল এবং হেল্থকেযার প্রোভাইডার ( এন বি এইচ) এর ডা: অতুল মোহন কোচার, চেয়ারম্পার্সন অব পেসেন্ট ফর পেসেন্ট সেফটি ফাউন্ডেশন ( পি এফ পি এস এফ ) এবং প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং চেয়ারম্যান ন্যাস্কম সোম মিত্তাল ও অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর অব মেডিক্যাল সার্ভিসেস , মণিপাল হসপিটাল , বেঙ্গালুরু ডা: বসুন্ধরা আত্রে ও অন্যান্যরা। ভারত সরকারের পরিবার ও নারী, শিশুকল্যাণ মন্ত্রক অন্তর্গত স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার মেডিক্যাল সুপারিটেনডেন্ট সি এন সি আই ডা: শঙ্কর সেনগুপ্ত বলেন, কাহোকন একটি ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি পাওয়ায় আমরা গর্বিত। এবারের থিম স্বাস্থ্যসেবাকে দক্ষ কার্যকরী অর্থনৈতিক ও ন্যায়সঙ্গত করা।মণিপাল হেল্থ এন্টারপ্রাইসেস প্রাইভেট লিমিটেডের ড সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও পরিকল্পনাকারী উপদেষ্টা রূপক বড়ুয়া বলেন আমরা এই সম্মেলন কলকাতায় অনুষ্ঠিত করতে পাড়ায় গর্বিত। আগামীদিনে আরও উদ্ভাবনী ভাবনার আঙ্গিক তৈরি হবে।