দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক; বাংলার সাহিত্য সংস্কৃতির অন্যতম প্রাচীন পীঠস্থান উত্তর কলকাতায় অবস্থিত বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ । কিন্তু কয়েক বছর ধরে একদল কায়েমী স্বার্থের অযোগ্য দুর্নীতিপরায়ণ পরিচালন কমিটির হাতে পড়ে প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব সংকটে। কলকাতা প্রেস ক্লাবে পাঠক সমাজের একাংশের উদ্যোগে সাংবাদিক সন্মেলনে এমন অভিযোগ করলেন পাঠক সমাজের আহ্বায়ক স্বাগতা দাশ মুখোপাধ্যায়।এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির দিকপাল ব্যক্তিত্বদের পদধূলি ধন্য এই প্রতিষ্ঠান একদল দুর্নীতিগ্রস্থ মানুষ বেআইনি ভাবে ক্ষমতা দখল করে রেখেছেন জাল ব্যালট দিয়ে ভোটে জিতে। আমাদের হাতে জাল ব্যালট প্রমাণ হিসেবে আছে। এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদান মিলেছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত প্রণব মুখার্জির আনুকূল্যে। অনুদানের পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি টাকা।
কলকাতার পাইকপাড়ার সাহিত্যিক তারাশঙ্করের বাড়ি অধিগ্রহণ নিয়েও বিতর্ক চলছে
এছাড়াও শঙ্খ ঘোষের পরামর্শে অনাবাসী ভারতীয় নিমাই চট্টোপাধ্যায় তাঁর পৌনে ছ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তি এই প্রতিষ্ঠানকে দান করেছেন। এই আর্থিক মূল্যের সুদের টাকা নিয়ে নয়ছয় করা হচ্ছে। একদিকে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব সংবিধান সরিয়ে ক্ষমতা দখলকারীদের বানানো সংবিধান চালু করা হয়েছে। ন্যাস রক্ষক সমিতি ধন সম্পত্তির মালিক। পরিষদের সম্পত্তি কেনাবেচার অধিকার কুক্ষিগত করে রেখেছে। এখানে ১৭ জন কর্মাধ্যক্ষও ২০ জন সাধারণ সদস্য।১৭ জন কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন বার্ষিক সাধারণ সভায় আহুত পরিষদের সাধারণ সদস্যদের সংখ্যাধিক্যের অনুমোদন সাপেক্ষে।২০ জন সদস্য নির্বাচিত হন পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে। সেই ব্যালট জাল করে নিজেদের পক্ষে সমর্থন দেখানো হচ্ছে। সাংবাদিক সম্মেলনে আরও জানানো হয় , চলতি বছরের গত ১৭ মার্চ উপস্থিত সদস্যদের মতামতের তোয়াক্কা না করে অনুমোদন ছাড়াই একতরফাভাবে কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচনের ঘোষণা করেন সভাপতি।
অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে শিক্ষাবিদ ড: পবিত্র সরকার ও মীরাতুন নাহার , অভিযোগের সুরে বর্তমান পরিচালন সমিতির দুর্নীতি ও অযোগ্যতা নিয়ে ক্ষোভ জানালেন।সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল এই প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতাবান গোষ্ঠীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে কি পাঠক সমাজ আদালতের দ্বারস্থ হবেন? উত্তরেআহ্বায়ক স্বাগতা দাশ মুখোপাধ্যায় জানালেন ., আমরা দ্রুত এবিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।