শ্রীজিৎ চট্টরাজ : রাজস্থান নামেই পরিচয় রাজকীয় ঘরানার রাজ্য। শিল্প সংস্কৃতির সঙ্গে মশলাদার খাবারেও জগৎজোড়া সুখ্যাতি। নিরামিষ আমিষ সব ধরণের খাবারে মশলার ব্যবহারে রাজস্থান এক আলাদা মাত্রা রাখে। কলকাতায় প্রায় ৮০ বছরের ঐতিহ্য নিয়ে রাজসিক রাজস্থানী নিমকিন, ড্রাই দ্রুত ও মিঠাইয়ের এক বিশাল সম্ভার পরিবেশণ করে গোকুল শ্রী। হোলি উপলক্ষে বিভিন্ন নিমকিন ও মিষ্টি তো পরিবেশন করছে সঙ্গে বিশেষ আকর্ষণ আগ্রা থেকে আসা রাঁধুনির লাইভ চাট। কলকাতা চাট খেয়ে অভ্যস্ত খাদ্যপ্রেমী মানুষ কলকাতায় বসে অগ্রার সদর বাজারের ফুড স্ট্রিটের স্বাদ পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
তালিকাটি দেখা যাক। হোলি স্পেশাল মেনুতে আছে সুজির গোলগাপ্পা।আমরা যাকে বলি ফুচকা। মহাভারত বলছে, ফুচকা বা গোলগাপ্পা সৃষ্টির গৌরব দ্রৌপদীর। ভাজা মশলা, তেঁতুল আর পুদিনা পাতার সমানুপাতিক জল সঙ্গে পাতিলেবু আরগন্ধরাজ লেবুর যুগলবন্দী । থাকছে আলু টিক্কি চাট।দিল্লির বিখ্যাত ছোলে বাটোরে। দহি ভাল্লা, পাপড়ি চাট, মুরাদাবাদী ডাল বিস্কুটি রোটি, পাকোয়ান চাট।
এছাড়াও আলু সবজি ও কাশি ফলের সবজির সঙ্গে বাদাই কচৌরি, আলু লাচ্ছা তকরী চাট ও মাখন কা তরবুজ। দুজনের মত কমপক্ষে মাত্র ২৫০ টাকা সাশ্রয়ী মূল্যে চেখে দেখার সুযোগ থাকছে ,১৬ মার্চ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত। সকাল ১১ টা থেকে রাত ১০ টা।যখন খুশি দল বেঁধে হোলির উৎসবে এই সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয় এমনটাই জানালেন গোকুলশ্রী দোকানের কর্ণধার লক্ষ্মীকান্ত বালাসিয়া।