পেশায় ট্যাক্সি চালক হারু বাবা অভয় আর স্ত্রী জ্যোতিকে নিয়ে একটু সুখে থাকার স্বপ্ন দেখে। এক সন্তান বিয়োগে স্ত্রীর মানসিক স্থিতি কিছুটা নষ্টও হয়েছিল। প্রতিবেশী তুলসি দেবী ও তাঁর মেয়ে মীরা,হারুর বন্ধু মদন ও তাঁর স্ত্রী পল্লবীরও কাছের মানুষ হারু দম্পতি। পেশাগত ঝামেলায় একদিন হারুকে আদালতে ছুটতে হয়। উকিলে ছুঁলে ৩৬ ঘা প্রবাদের মর্ম বোঝে হারু। কোর্টেই একদিন ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখে হারু, সেই বিচারক। আইনি জটিলতায় আক্রান্ত মানুষদের সে আলোর দিশা দেখায়। স্বপ্নভঙ্গ হওয়ার পর থেকেই হারু এক নতুন মানুষ। হয়ে ওঠে প্রতিবাদী চরিত্র। এভাবেই একদিন হারুর বয়সের বয়স বাড়ে। বৃদ্ধ হারু টিভি চ্যানেলে ফেলে আসা জীবনের স্মৃতিচারণ করে। তারপর? বাকিটা জানতে পরিচালক হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখতে বলেছেন।
পরিচালক শ্যামল বোস সম্প্রতি তাঁর সদ্য মুক্তিআসন্ন আলোর দিশা ছবির ট্রেলার মুক্তি ঘটালেন কলকাতা প্রেস ক্লাবে। উপস্থিত ছিলেন ছবির সঙ্গীত পরিচালক ও কণ্ঠশিল্পী শ্রীশা ও কোকো, গীতিকার নরেশ পাটঘরা, নায়ক রাজদীপ সরকার ও নায়িকা মৌবনী সরকার। অন্যান্য চরিত্রে আছেন , সুপ্রিয় দত্ত, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, ভাস্বর চ্যাটার্জি, সঙ্গীতা দাস, সানা ভট্টাচার্য, প্রহেলিকা মণ্ডল, পল্লবী সাধু খাঁ, আশীষ মুখার্জি, হিমাদ্রি কুন্ডু, শুভাশিস পাল, সাইকো মান্না, আশীষ মজুমদার, বাবলি বিশ্বাস, সমীরণ দাস, রাম বেরা, ত্রিশতা রায়চৌধুরী, নিলাপ্তি গাইনসৌমিলি বিশ্বাস, প্রাচী দেব ও পরিচালক শ্যামল বোস।
বিনোদন দুনিয়ার রীতি মেনে নায়িকা অপেক্ষা করালেন প্রায় এক ঘন্টা। ছবির কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার , সংলাপ রচয়িতা ও প্রযোজক , পরিচালক অসহায় হয়ে ঘনঘন ঘড়ি দেখছিলেন, নায়িকার শুভ পদার্পণের আশায়। সেই শুভক্ষণ একসময়ে এল। সকলেই পরিচালকের প্রশংসা করলেন। পরিচালক নিজেও জানালেন, সরকারি কর্মচারীর পেশার পাশাপশি এই বিনোদন শিল্পে তাঁর পদার্পণ। তিনি গর্বিত ইতিমধ্যেই প্রায় ১৮ টি ছবি তৈরির অভিজ্ঞতা তাঁর ঝুলিতে। পরিচালক আরও বেশি গর্বিত ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ৯ টি ছবি তিনি করেছেন।এখনত তিনটি ছবি মুক্তি অপেক্ষায়। আলোর দিশা আসছে চলতি বছরের ১৭ই মে। সম্রাট ছবিটি মুক্তি পাবে ১৬ অক্টোবর। শিক্ষা ছবিটি মুক্তি পাবে ১৫ নভেম্বর। অর্থাৎ এক ডজন ছবি শ্যামল বোসের প্রয়াত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে। সৌমিত্রের স্মৃতি চারণ করলেন পরিচালক। রাজদীপ জানলেন জীবনের শুরুর কথা। মৌবনি শোনালেন পরিচালকের সঙ্গে তাঁর পরিচয়ের রসায়ন। বাংলা ছবির বাজারে সৈনিক শ্যামল বোসের ছবি দর্শক আনুকূল্য পাক সবাই আশা করেন। তবে আলোর দিশা ছবির যে প্রেসনোটটি আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাতে অসংখ্য বানান ভুল শুধু নয়, বাক্য গঠনের দুর্বল প্রয়াস হতাশ করে। বঙ্গ সংস্কৃতি তবে কি সত্যিই বিপদে?