*******
দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: তিথি শাস্ত্রে মেনে এবার প্রয়াগে হতে চলেছে মহাকুম্ভের স্নান। এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের প্রচারে কলকাতা ঘুরে গেলেন উত্তরপ্রদেশ সরকারের বন ও পরিবেশ , চিড়িয়াখানা ও জলবায়ু পরিবর্তন দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী অরুণ কুমার সাক্সেনা ও
রাজ্যমন্ত্রী সঞ্জয় গঙ্গর।
অরুণ কুমার সাক্সেনা বলেন,মহাকুম্বই ভারতের সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক চেতনার প্রতিফলন
২০১৯ সালে প্রয়াগরাজ কুম্ভের মেলার দৃষ্টান্তমূলক আন্তর্জাতিক মানের ব্যবস্থাপনা বিশ্বে প্রশংসিত হয়। এই ঐতিহাসিক মেলা বিশ্বের সর্ববৃহৎ মেলায় হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতির পেয়েছে।১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারির পর্য্ন্ত গঙ্গা যমুনা ও সরস্বতীর নদী সঙ্গমে মহা কুম্ভের পবিত্র মহাস্নান করবেন প্রায় ৪ কোটি মানুষ্ অংশ নেবেন।এই বিশাল মেলার আয়োজনে উত্তরপ্রদেশ সরকার ব্যাপক ব্যবস্থার গ্রহণ করেছে। এই ব্যাপারে মন্ত্রীদ্বয় সম্পুর্ণ কৃতিত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। একদিকে যানবাহনের আয়োজন, অন্যদিকে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট অত্যাধুনিক অস্থায়ী হাসপাতালের ব্যবস্থা হয়েছে। এছাড়াও প্রাথমিক চিকিৎসার ছোট হাসপাতালেরও ব্যবস্থা হয়েছে।এবারীত মেলা ডিজিটাল মেলা।
রাজ্যমন্ত্রী সঞ্জয় গঙ্গর বলেন, শহরে নদীর ঘাটে অতিরিক্ত ন’টি ঘাট নির্মাণ হয়েছে। বিভিন্ন ভারতীয় বাসার্ট অ্যাপর থাকছে নাগরিকদের স্বার্থে। এই প্রতিবেদকের প্রশ্ন ছিল,প্রতি বছরগা সংগঠনের প্রধানকে জানিয়েছি টািথিa অনুযায়ী কারা আগে স্নান করবেনা তাই নিয়ে বিভিন্ন নাগা সন্ন্যাসীদের আখড়ারার ঝগড়া শুরু হয়। সেক্ষেত্রে রাজ্যোত সরকার এই বিরোধ মেটানোর কি ব্যবস্থা নিয়েছে? প্রশ্ন ছিল গত জুলাই মাসে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল উত্তরপ্রদেশ সরকারকে কড়া ভাষায় জানায়, নদী সঙ্গমে ভয়ঙ্কর দূষণ হচ্ছে সরকারি উদাসীনতায়। এরফলে এই জলে স্নান করলে পুণার্থীদের শারীরিক সুস্থতার কোনো গ্যারান্টি থাকবে না । সতর্কবার্তার পরেও যোগী সরকার বিষয়টির গুরুত্ব দেয়নি। কলকাতার সাংবাদিকদের তিনি আমন্ত্রণ করেন প্রয়াগ মেলায় এসে জেনে সাংবাদিকেরা প্রশাসনিক যে বৈপ্লবিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সেগুলি যেননিজেরা এসে প্রত্যক্ষ করেন।
এই সম্পর্কে রাজ্য প্রশাসনের কি বক্তব্য ? জবাবে মন্ত্রী জানালেন,আমরা বিভিন্ন নাগাপ্রধানদের বলেছি তাঁরা জেনে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন। অন্যদিকে দূষণ প্রতিরোধে আমরা প্ল্যাসটিক বর্জনের ব্যবস্থা করেছি।