তিনদিনব্যাপী ২১ তম বিশ্ব বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি উৎসব ২০২৫ হলদিয়া

*****

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : ইতিহাস বিজরিত হলদিয়া শিল্প নগরী নির্মাণের পুরোধা প্রাক্তন বিধায়ক, সাংসদ, শিক্ষাবিদ বর্ষীয়ান ড: লক্ষ্মণ চন্দ্র শেঠ হলদিয়ায় গড়ে তুলেছেন বিশাল শিক্ষা তীর্থ। তাঁর প্রয়াত স্ত্রী , কবি, রাজনীতিবিদ, পত্রিকা সম্পাদক তমালিকা পণ্ডাশেঠ সহযোগিতায় গড়ে ওঠা শিক্ষাতীর্থ হলদিয়া ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ সাইন্সেস ক্যাম্পাস, কলেজ সিটি আই কেয়ার কমপ্লেক্সে অনুষ্টিত হচ্ছে ২১ তম বিশ্ব বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি উৎসব ২০২৫। গাছের চারায় জল সিঞ্চন করে নতুন প্রাণে সাড়া জাগিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন শিক্ষাতীর্থের প্রাণপুরুষ ড: লক্ষ্মণ চন্দ্র শেঠ। তিনি তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, সমাজ গঠনে বৈপ্লবিক ভূমিকা থাকে জাতির শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে। যেসব শিল্পী, সাহিত্য সাধক তাঁদের লেখনী ও তুলির টানে এক সাংস্কৃতিক দায়বদ্ধতার পরিচয় রাখছেন তাঁদের কয়েকজনকে আমরা সম্মানিত করে নিজেরা গৌরবান্বিত হচ্ছি।

উদ্বোধনী অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, লেখক সাংবাদিক রঞ্জন বন্দোপাধ্যায়,সাঁতারু বুলা চৌধুরী, কবি চিত্রা লাহিড়ী,, শ্যামলকান্তি দাশ, সাহিত্যিক অমর মিত্র, রামকুমার মুখোপাধ্যায়, স্বপ্নময় চক্রবর্তী, আপনজন পত্রিকার প্রকাশক সায়ন্তন শেঠ, আই কেয়ার কালচারাল একাডেমির চেয়ার পার্সন স্পর্শিতা পণ্ডা শেঠ পোস্ট মাস্টার জেনারেল ঋজু গাঙ্গুলি , তমলুক পোস্ট অফিস সুপারিন্টেন্ট অসীম কুমার মোহন্তি, আই কেয়ার ভাইস চেয়ারম্যান মানসী দে শেঠ, আই কেয়ার সম্পাদক আশীষ লাহিড়ী, আই কেয়ার বোর্ড মেম্বার সুস্মিতা সাহু শেঠ কবি নলিনী বেরা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আলোচনা পর্বে ছিল কবি তমালিকা পণ্ডা শেঠ স্মারক বক্তৃতা। ছিল আই কেয়ার পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষাক্ষেত্রে তার অবদান, ভারতীয় সংবিধানে সংরক্ষণ নীতি ।

সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় বললেন, আমি লক্ষ্মণ শেঠকে শ্রদ্ধা করি।শিক্ষা বিস্তারে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। ছেলেবেলায় ইচ্ছে ছিল লেখক হওয়ার। এমনকি পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক নেত্রী হতেও চেয়েছিলাম। বাড়িতে ভাষণ দেওয়ার প্র্যাকটিসও করতাম। কিন্তু বাবা যেভাবে উৎসাহিত করেন কোনো ইচ্ছেই পূরণ হয়নি। শেষপর্যন্ত নেত্রী থেকে অভিনেত্রী হয়ে গেলাম। অনুষ্ঠানের বেশ কয়েকজন গুণী ব্যক্তিত্বকে সম্মানিত করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষপর্বে তিনদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করে ডিঙ্গা, প্রাদেশিক অসমীয়া নৃত্য, ক্যাকটাস, পূর্বাঞ্চল সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং লোকশিল্পী স্বপন বসু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *