দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : বয়সে বাড়লে হাঁটুর সমস্যায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এরাজ্যে বাড়ছে। মূলতহাড়ের ক্ষয় , মালাইচাকিতে কার্টিলেজ কমে যাওয়া প্রধান কারণ। পারিবারিক ধারাও কাজ করে। বিষয়টি অগ্রাহ্য করলে আধুনিক চিকিৎসায় একমাত্র অপারেশন ছাড়া পথ থাকে না। রাজ্যের মানুষকে ছুটে আসতে হয় কোলকাতায়। কিন্তু অসাধ্য সাধন করেছে বসিরহাট নার্সিংহোম। ইতিমধ্যে দু ‘দুটি সফল অপারেশন সম্ভব হয়েছে । মাত্র একদিনেই হাঁটা। একমাস কিছু নিয়ম মেনে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া। এমনটাই বলেন, অস্থি শল্য চিকিৎসক আদিত্য বাসুদেব।

সম্প্রতি প্রাণচঞ্চল বসিরহাট শহরে টাউনহল প্রাঙ্গনে বসিরহাট নার্সিংহোমের উদ্যোগে আয়োজিত হ্যাপি পেশেন্ট ম্যারাথন শীর্ষক এক সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়। আয়োজন হয় এক ম্যারাথন মিছিল। ডা: বাসুদেবের শল্য চিকিৎসায় সুস্থ হওয়া রোগী ও আগামীদিনের যাঁরা অপারেশনকরাতে চলেছেন তাঁরা হাঁটলেন। ডা: বাসুদেব বলেন, হাঁটু অপারেশনে শুধু শারীরিক স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয় না আত্মবিশ্বাস ও স্বনির্ভরতা ফিরিয়ে নতুন জীবনের সূচনা করে। সাংবাদিকদের কাছে নতুন জীবন ফিরে পাওয়া রোগীদের একজন জানালেন, দুবছর ঘরবন্দী হয়ে বেঁচে থাকাটা হয়ে পড়েছিল অভিশাপ। কিন্তু ডা: বাসুদেবের সঙ্গে পরিচয় হয়ে যখন জানলাম হাঁটু অপারেশনে কলকাতা যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বসিরহাটে রয়েছে মুশকিল আসান। তখন নতুন জীবনের l ইচ্ছে টা প্রশ্রয় পেল। এখন আমি সুস্থ। রোজ পাঁচ কিলোমিটারহেঁটে বেড়াই। বাজারহাট করি। সাইকেল চালাই।