নির্বাচনী সমীক্ষা কতটা বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে পারছে?

দিগ্ দর্শন ওয়েব ডেস্ক: আজকাল বারমাসে তেরো পার্বণ। স্বীকার করেছেন নির্বাচন কমিশন। বৈদ্যুতিন,সামাজিক ও সংবাদপত্র মাধ্যমে ভোটের সমীক্ষা হয়। লাখো মানুষ দেখেন। সমর্থকরা নিজের নিজের দলের সাফল্যের খতিয়ান দেখে পুলকিত হন। খারাপ ফলের আভাস দেখলে দুঃখ পান। উত্তেজনার পারদ সবাইকেই তাড়িত করে। যাঁরা নিরপেক্ষ তাঁরা এই সমীক্ষা দেখে সিদ্ধান্ত নেন ভোট কাকে দেবেন। সমীক্ষায় যাদের এগিয়ে রাখা হয় তাদেরই ভোট দেন বেশিরভাগ। কেননা একটা বিরাট সংখ্যক ভোটদাতাদের ধারণা, সমীক্ষায় যারা পিছিয়ে তাদের ভোট দেওয়া মানে ভোট নষ্ট করা। 

       এই প্রেক্ষিতে দেশের পেশাদার কিছু সমীক্ষা সংস্থাকে দিয়ে সংবাদ মাধ্যম সমীক্ষা করান। সি ভোটার সংস্থাকে দিয়ে এ বি পি এমন একটা সমীক্ষা করিয়েছে। যার সময় সীমা ছিল ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত। সঞ্চালক মুখবন্ধে বিতর্ক এড়াতে আগেই বলে রেখেছেন এই সমীক্ষা যখন হয় তখন সি এ এ জারি হয়নি। নির্বাচনী বন্ড কেলেঙ্কারিও প্রকাশ হয়নি। ফলে এই সমীক্ষা কয়েকদিন পরে করলে হিসেব পাল্টে যেতে পারে।

         ফলে আবারও সমীক্ষা হবে। সমীক্ষা ব হয়ত মিলবে। কিছু মিলবে না। তবে এখন পর্যন্ত যা সমীক্ষা বিভিন্ন সংস্থা প্রকাশ করেছে, তাতে বিজেপির হ্যাট্রিক হতে চলেছে। তবে এই সমীক্ষা কিন্তু সি এ এ যেমন জারি হয়নি এমন সময়ে করা,তেমন কেন্দ্রের শাসক দলের নির্বাচনী বন্ডের কেলেঙ্কারিও প্রকাশ্যে আসেনি। চাঁদা বাবদ ব্যবসায়ীদের টাকা গচ্ছিত ছিল স্টেট ব্যাংকে। দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশে বন্ডে যাঁরা টাকা নির্বাচনী তহবিলে দিয়েছেন ,তাদের নাম প্রকাশ্যে আনতে বলা হয়। স্টেট ব্যাংক বিষয়টি হিসেবপত্র করতে ৩০ জুন অবধি সময় চায় শীর্ষ আদালতের কাছে। ভোট শীর্ষ আদালত কড়া ধমক দিয়ে স্টেট ব্যাংককে সময় দিতে রাজি হয় না। ফলে ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে অবস্থা স্টেট ব্যাংক কর্তৃপক্ষের। সংবাদ সূত্রের খবর কালো টাকা বন্ডের নামে নিয়ে সেটা ব্যাংকে রাখা আইনবিরুদ্ধ। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার মানে নি। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। ফলে স্টেট ব্যাংক আধিকারিকেরা বাধ্য হয়ে সব তথ্য শীর্ষ আদালতের কাছে তুলে দিয়েছে। শীর্ষ আদালতের কাছে নাকি কেন্দ্রীয় সরকার আপিল করে জানিয়েছিল, নির্বাচনী বন্ডে ব্যবসায়ীরা কত টাকা দিচ্ছেন সেটা জনগণের জানার প্রয়োজন কি?

               শেষপর্যন্ত প্রকাশ্যে এসেছে হাজার হাজার কোটি টাকা কয়েকটি দল অনুদান পেয়েছে। বাদ শুধু বামপন্থীরা। তাঁরা এই চাঁদা নিতে অস্বীকার করে।৬ হাজার কোটি টাকার বেশি চাঁদা নিয়েছে বিজেপি। মোট চাঁদার যা ৪৭ শতাংশ। ফলে একদিকে সি এ এ অন্যদিকে নির্বাচনী বন্ড কেলেঙ্কারি। এই দুটি বিষয় কি শহুরে ভোটার ও গ্রামের ভোটারদের মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া কি ভোটের বাক্সে প্রতিফলিত হবে না? সেটা বোঝা যাবে আগামী সমীক্ষাগুলিতে। এ বি পি সমীক্ষায় একটি প্রশ্ন ছিল, প্রধান ইস্যুগুলিতে মোদী সরকারকে কোণঠাসা করতে পেরেছে বিরোধীরা? এই প্রশ্নে ৩৯ শতাংশ বলেছেন ,হ্যাঁ, পেরেছেন ।৪৭ শতাংশ বলেছেন, পারেনি। অর্থাৎ মোট ৮৬ শতাংশ মানুষ মনে করেন বিজেপিকে কোনঠাসা করার মত ইস্যু আছে।

        আবার মোদি সরকারের কাজে আপনি কতটা সন্তুষ্ট প্রশ্নে ৩১ শতাংশ বলেছেন, খুব সন্তুষ্ট। ৪০ শতাংশ বলেছেন, মোটামুটি সন্তুষ্ট। ২৬ শতাংশ বলেছেন, অসন্তুষ্ট। ৩ শতাংশ বলেছেন, বলতে পারব না। অর্থাৎ মোদীর কাজে ৭১ শতাংশ কম বেশি সন্তুষ্ট। একদিকে যে ভোটারদের ৮৬ শতাংশ বিজেপিকে কোনঠাসা করার বিষয় আছে বলে মনে করেন, তাঁরাই ৭১ শতাংশ কমবেশি মোদীর শাসনে সন্তুষ্ট বলছেন। এই দুটি সমীক্ষায় ফল পরস্পর বিরোধী নয়? আবার সরাসরি প্রশ্ন যখন মোদীর কাজের , তখন ৪৪ শতাংশ বলছেন খুব সন্তুষ্ট। ৩৫ শতাংশ বলছেন মোটামুটি সন্তুষ্ট। দুটো যোগ করলে হয় ৭৯ শতাংশ মোদীর কমবেশি পক্ষে।২০ শতাংশ অসন্তুষ্ট বলেছেন। ১ শতাংশ উত্তর দেননি।

রাজ্যে মমতা সরকারের কাজে খুব সন্তুষ্ট জানিয়েছেন মাত্র ২৭ শতাংশ। মোটামুটি বলেছেন ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ মোট ৫৬ শতাংশ মোটামুটি মমতাকে প্রশংসা করেছেন। অন্যদিকে অসন্তুষ্ট বলেছেন ৪৩ শতাংশ।১ শতাংশ জবাব দেননি। প্রশ্ন উঠতে পারে, এই ৪৩ শতাংশ তাহলে কি মমতা সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন? দিলে কাকে দেবেন? সবটুকই কি বিজেপির ঝুলিতে যাবে? এরমধ্যে কি বাম সমর্থক নেই? তাহলে বিরোধী ভোট বিজেপি , বাম ও কংগ্রেসে ভাগ হয়ে যাবে? তাহলে তো এই প্রশ্নের সমীক্ষায় এগিয়ে মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর কর্মদক্ষতার প্রশ্নে ৩২ শতাংশ বলেছেন খুব সন্তুষ্ট। ৩১ শতাংশ বলেছেন মোটামুটি সন্তুষ্ট। মোট কমবেশি সন্তুষ্ট ভোটারদের সংখ্যা শতকরা ৬৩ শতাংশ।৩৭ শতাংশ অসন্তুষ্ট। এরাও কি সব বিজেপি কে ভোট দেবেন? এই শতাংশে কি বাম কংগ্রেস নেই? এখানেও কি বিরোধী ভোট ভাগ হচ্ছে না?

প্রশ্ন রাখা হয়, সন্দেশখালি নিয়ে। ৪৪ শতাংশ বলেছেন বিজেপি এই বিষয়ে ইস্যু করতে সফল।৩২ শতাংশ বলেছেন বিজেপি সফল নয়।২৪ শতাংশ বলেছেন বলতে পারবো না। এঁরা কারা? তৃনমূলের সন্দিহান ভোটার কি এই অংশে আছেন? তাঁরা কি এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তৃণমূলকে ভোট না দিয়ে বিজেপিকে ভোট দেবেন? এঁদের মধ্যে কি বাম কংগ্রেসের কোনো সমর্থক আছেন? অমিত শাহের বাংলা জয় নিয়ে বক্তব্যের সমর্থন দিয়েছেন ৪০ শতাংশ।৩৯ শতাংশ অমিত শাহের বক্তব্য সমর্থন করেননি।২১ শতাংশ কিছু বলেননি। তবে এঁরা কি সন্দিহান? এঁদের কত শতাংশ বিজেপি বা বামে কংগ্রেসকে ভোট দেবেন? যে ৩৯ শতাংশ অমিত শাহের বক্তব্যকে গুরুত্ব দেননি তাঁদের কত শতাংশের ভোট বিজেপি বা বামেরা বা কংগ্রেস পাবে? অমিত শাহের বক্তব্যকে গুরুত্ব না দেওয়া ৩৯ শতাংশ আর সন্দিহান মানুষের ২১ শতাংশ যোগ করলে হয় ৬০ শতাংশ

অর্থাৎ ৬০ শতাংশের ভোটার অমিত শাহের বক্তব্যকে গুরুত্ব দিলেন না। এরপরেই লোকসভা নির্বাচনে মূল প্রশ্ন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কাকে ভোটাররা দেখতে চান সেখানে এই ভোটাররাই ৬৩ শতাংশ বলেছেন মোদিকে।২৮ শতাংশ রাহুল গান্ধীকে। অন্যান্যদের পক্ষে বলেছেন ৪ শতাংশ , জবাব দেননি ৫ শতাংশ। তাহলে ৩৫ শতাংশ ভোটে এগিয়ে মোদী। বাকি ৫ শতাংশ যদি এই সমীক্ষার প্রভাবে অর্ধেক মোদীর পক্ষে চলে যান তাহলে মোদীর সমর্থক বেড়ে হয় মোট সাড়ে পয়ষট্টি শতাংশ।

রাম মন্দির ভোটে ফায়দা দেবে বিজেপিকে বলেছেন ৫৮ শতাংশ।৩১ শতাংশ বলেছেন প্রভাব পড়বে না ভোটে।১১ শতাংশ সন্ধিহান।অর্থাৎ এই প্রশ্নের জবাব কি দেবেন ভেবে দেখেননি। অর্থাৎ বিষয়টি যে গুরুত্বপূর্ণ সেটা তাঁদের মনে হয়নি।।সেক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে না এমন ৩৯ শতাংশের সঙ্গে ১১ শতাংশ যোগ করলে হয় ৪২ শতাংশ। বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের প্রশ্নে ফারাক ১৬ শতাংশ। আবার এই সমীক্ষায় সেই ভোটাররা বলেছেন ৪৪ শতাংশ কংগ্রেস রামমন্দির অভিষেক অনুষ্ঠানে না গিয়ে ক্ষতি করেছেন।৪০ শতাংশ বলেছেন, ক্ষতি হওয়ার মত কিছু নয়।১৬ শতাংশের কাছে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়নি বলেই মতামত দিতে পারেননি। অর্থাৎ রাম মন্দিরে কংগ্রেস যাওয়া না যাওয়া নিয়ে কোনো গুরুত্ব নেই ৫৬ শতাংশ। যা রাম ভক্তদের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি। সংবিধানে আপত্তি থাকলেও ভোটাররা প্রধানমন্ত্রীর বা মুখ্যমন্ত্রীর ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া উচিত বলে রায় দিয়েছেন ৫২ শতাংশ। অন্যদিকে উচিৎ নয় বলেছেন ৩২ শতাংশ আর মতামত দেননি ১৬ শতাংশ। অর্থাৎ ৪৮ শতাংশ ভোটারের কাছে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ নয়। সেই নিরিখে ৪ শতাংশ বেশি ভোটার সরকারের ধর্মীয় সংযোগে অন্যায় দেখেন না। সবচেয়ে আশার কথা জনগণের ৫৮ শতাংশ রাম মন্দির বিজেপিকে ডিভিডেন্ড দেবে বলেছেন। সেই ভোটারই আবার ৫৫ শতাংশ বলেছেন ভোটারদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান।,২৫ শতাংশ প্রগতি আর ধর্ম দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। আবার রামমন্দির গুরুত্বপূর্ণ বলেছেন মাত্র ১৫ শতাংশ।৩ শতাংশ অন্যান্য কারণ ও ২ শতাংশ জবাব দেননি। অর্থাৎ ভোটারদের চাহিদা মন্দির নয়, বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় জিনিষ গুরুত্বপূর্ণ এমন সরাসরি মত ৫৫ শতাংশ বাকি ৩ ও ২ শতাংশ মোট ৫৯ শতাংশ ভোটারের ।

একদিকে মোদিকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান ৭৯ শতাংশ তখন শক্তিশালী বিরোধী চান ৫৫ শতাংশ মানুষ। মাত্র বিরোধী শূন্য ভারত দেখতে চান ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ এঁরা কট্টর মোদিভক্ত।j বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয় যখন রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হলে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারবেন না বলেছেন ৫১ শতাংশ । ৩৭ শতাংশ বলেছেন রাহুল কথা রাখবেন । অর্থাৎ এঁরা রাহুল সমর্থক। প্রায় ২৩ শতাংশের ফারাক। আবার সেই ভোটাররা বলছেন রান্নার গ্যাসের দাম কমানোর জন্য বিজেপি বেশি ভোট পাবে এমন প্রশ্নের পক্ষে মত দিয়েছেন ৪৯ শতাংশ।৩৩ শতাংশ বিরুদ্ধে বলেছেন।১৮ শতাংশ মতামত দেননি। মনস্তাত্বিক বিশ্লেষণে ৩ ৩ শতাংশ আর ১৮ শতাংশ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি বলাই যায়। কেননা পরের প্রশ্ন ছিল পেট্রোল ডিজেলের দাম কমানো নির্বাচনকে মাথায় রেখে এমন মনে করেন ৬৪ শতাংশ।

                      ভোট নয় এমনি এমনি দাম কমিয়েছে মোদী সরকার, এমন মনে করেন ২০ শতাংশ। জবাব দেননি ১৬ শতাংশ। অর্থাৎ ৬৪ ও ১৬ শতাংশ বিষয়টিকে অভিসন্ধিমূলকই মনে করেন।না হলে স্পষ্ট তো বলতেন, না ভোটের কারণে জ্বালানির দাম কমানো হয়নি জনগণের সুবিধে করার জন্য করা হয়েছে। নির্বাচনী বন্ড নিয়ে বিরোধীরা ইস্যু করতে পারেনি বলছেন ৩৯ শতাংশ পেরেছে বলেছেন ৩৩ শতাংশ।২৮ শতাংশ জবাব দেননি। অর্থাৎ এঁরা কেউ বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না নয়ত কোনো গুরুত্ব নেই। উল্টোদিকে ৭২ শতাংশ ভোটার মনে করেন এটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। সমীক্ষার শেষ ফল বিজেপি পেতে চলেছে ৪৬শতাংশ ভোট। আসন ৩১৬। কংগ্রেস ৩৯শতাংশ ভোট। আসনের নিরিখে ৫৯ । অন্যান্যরা পাবেন ১৫ শতাংশ ভোট। এঁদের মধ্যে বিজেপির শরিক দল যেমন আছে তেমন ইন্ডিয়া জোটের ভোটও আছে। রাজ্যের নিরিখে বলা হয়েছে তৃণমূল পাচ্ছে ২২ টি আসন।বিজেপি গতবারের চেয়ে একটি আসন বেশি পাচ্ছে। একটি আদন পাচ্ছে ইন্ডিয়া জোট। সেটা বাম না কংগ্রেস সেটা বলা হয়নি।

রাজ্যে তৃণমূল পাচ্ছে ৪২ শতাংশ ভোট বিজেপি পেতে চলেছে ৪১ শতাংশ ভোট। বাম দল ৪ শতাংশ, কংগ্রেস ৩ শতাংশ ও অন্যান্যরা পাবেন ১০ শতাংশ। এই ১০ শতাংশ কি আই এস এফ? বিজেপি ও তৃণমূল বিরোধী ভোট মোট ১৭; শতাংশ। এই সমীক্ষাকে যদি নির্ভুল ধরা যায়, সেক্ষেত্রে বাম কংগ্রেস আই এস এফ ভোট শতাংশ যদি ৫ থেকে ১০ শতাংশ বেড়ে যায় তাহলে রাজ্যে ভোটের আসনে অনেক উলোটপালোট হয়ে যেতে পারে। বিজেপির ঝুলিতে চলে যাওয়া ফ্লোটিং ভোট যা আগে বামেরা পেত সেটা যদি কিছু অংশ বামে ফিরে আসে তাহলে বিরোধী ভোট ভাগ হওয়ায় লাভবান হবে তৃণমূল। একদিকে তৃণমূল দলের বদনাম ক্রমশ বেড়েছে , সন্দেশখালি কতটা তাতে যুক্ত হবে এবং ভোটে তার কতটা প্রভাব পড়বে সেটা বোঝা যাবে ফল বেরোনোর পর।

        অন্যদিকে সি এ এ নিয়ে মানুষের সংশয় আর নির্বাচনী বন্ড নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ওঠা কেলেঙ্কারি ভোট বাক্সে কতটা প্রভাব ফেলবে সেটাও স্পষ্ট নয়।রাজ্যের ভোটাররা কি মন্দির ভালো হিসেবে শক্তিশালী বিরোধী দেখতে বামেদের ওপর ভরসা করছেন কি না সেটাও বোঝা যাবে ভোটের পর। তবে ভোট হয় না। ভোট করানো হয়। রাজনৈতিক নেতারা সবাই সেটা মানেন। সুতরাং সাংগঠনিক ক্ষমতায় তৃণমূল অনেক এগিয়ে। তাই বিরোধী ভোট বিজেপি ও বাম কংগ্রেসে ভাগ তৃণমুলের পোয়া বারো। তবে গার্ডেনরিচ কাণ্ডে মুখ পুড়েছে তৃণমূলের। ইতিমধ্যেই বেআইনি বাড়ি ধসে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিরোধীরা ফিরহাদ হাকিমের পদত্যাগ চেয়েছে। এই ডামাডোলে চাপা পড়ে যাচ্ছে সি এএ ও বন্ড ইস্যু। রাজ্যের শাসকদল কিভাবে বিষয়টি সামলায় সেটাও দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *