দমদমের নাগেরবাজার ডায়মন্ড প্লাজা মলে ওশিয়া হারবাল প্রসাধনী বিপণি খুলল

*

শ্রীজিৎ চট্টরাজ : ক্লিওপেট্রা নাকি স্নান করতেন দুধে। বিজ্ঞানসূত্র,দুধে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড উপাদান ত্বকের মৃত কোষ তুলে ঔজ্জ্বল্য বাড়িয়ে তোলে।৬ শতাব্দীতে বাইজেনটাইন সভ্যতায় রাজা জস্টিনিয়নের স্ত্রী রাণী থিওডরা প্রথম দিয়েছিলেন বিজ্ঞানভিত্তিক প্রসাধনীর খোঁজ। ভেষজ দ্রব্য দিয়ে নিজেই বানাতেন প্রসাধনী।১১ শতাব্দীতে পাই রাণী কনস্ট্যান্টটিনোপলকে। নিজের তৈরি প্রসাধন দিয়ে তিনি বার্ধক্যকে রুখে দেন। কবি কালিদাস আমাদের দেশে তাঁর কাব্যে নারীর প্রসাধন চর্চাকে তো সবিস্তারে বর্ণনা দিয়েছেন। মোঘল সাম্রাজ্যের রাণী নূরজাহানের সুগন্ধিযুক্ত প্রসাধনী নির্মাণে ছিল বিশ্বজোড়া খ্যাতি। প্রসাধনী বিপণনের ক্ষেত্রে ফ্রান্সের অবদান ইতিহাস স্বীকৃত।

আমাদের দেশে টাটা কোম্পানির উদ্যোগে লক্ষ্মী ব্র্যান্ডের প্রসাধনী উৎপাদনের অনুপ্রেরণা ছিলেন নেহেরুজি। পরে যখন টাটার হাত থেকে লক্ষ্মী যায় হিন্দুস্থান লিভারের কাছে লক্ষ্মী নাম বদলে হয় ল্যাকমে। এরপর কেটেছে কয়েক যুগ। এই মূহূর্তে প্রসাধন সচেতন মানুষের প্রিয় ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছে ওশিয়া হারবাল প্রোডাক্ট। বাজারেএই সংস্থার রয়েছে প্রায় সাড়ে তিনশ পণ্য। শুক্রবার দমদমের নাগেরবাজার অঞ্চলে ডায়মন্ড প্লাজা মলে নতুন আউটলেট খুলল ওশিয়া হারবাল। হাজির হন অভিনেত্রী ও প্রাক্তন সাংসদ নুসরত জাহান। নুসরত জানালেন, এঁদের প্রোডাক্ট নিজে ব্যবহার করে উপকৃত হয়েছি বলেই প্রচারে অংশ নিচ্ছি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রারম্ভিক বক্তব্যে সংস্থার সি এম ডি জিতেন্দ্র কুন্দলিয়া বলেন, দেশের সেরা ব্র্যান্ড হিসেবে ঘোষণা করেছেন ব্যবহারকারীরা। সেরা উপাদানে নির্মিত আমাদের ব্র্যান্ডের প্রতিটি পণ্য নিরাপদ। সারা ভারতে আছে ২৫ হাজার দোকান। বিদেশে আফ্রিকা ও এশিয়ার নানা দেশে রপ্তানি হচ্ছে। প্রতিটি দোকানে রয়েছে সুশিক্ষিত ট্রেনিংপ্রাপ্ত বিক্রয় প্রতিনিধি। যাঁরা ক্রেতাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন। ইতিমধ্যেই নতুন কিছু প্রোডাক্ট আমরা এনেছি। শুধু মেয়েদের জন্য নয়, পুরুষদের জন্যও আমরা স্বাস্থ্যকর প্রসাধনী পণ্য হাজির করেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *