দিগ্ দর্শন ওয়েব সিরিজ: দিল্লির শাসক দল কংগ্রেস পাঁচের দশক থেকেই কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল। নেহেরু পরবর্তী জমানায় দিল্লি বিরোধিতা আরও বাড়ল। ইন্দিরা গান্ধীর হাতে গনতন্ত্র একদিকে যেমন মজবুত হতে থাকল , সংকটও বাড়তে লাগল।৬৭ র নির্বাচনে কংগ্রেস ক্ষমতা হারাল পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, সাবেক মাদ্রাজ কেরালা ও পাঞ্জাব রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় বামেরা। বঙ্গ রাজনীতির ধারায় এল আমূল পরিবর্তন। রাজনীতির প্রাঙ্গন ছাত্রদের হাতে। বামপন্থার চরম পন্থা অবলম্বনে ছাত্রদের একাংশ। পথে পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর বুটের গর্জন। সি পি আই থেক বেরিয়ে আসা সি পি এম দলে তখন আগ মার্কা কমিউনিস্ট কে তাই নিয়ে কোন্দল।
৭১ এর নির্বাচনে ইন্দিরা গান্ধী শ্লোগান দিলেন গরিবী হটাও। ৭৭ এ বিরোধীরা জোটবদ্ধ হয়ে শ্লোগান তোলেন ইন্দিরা হটাও। ৭২ এ বাংলায় ইন্দিরা কংগ্রেসের নেতৃত্বে সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের সঙ্গে সি পি আই এর বন্ধন দেখে বাকি বামপন্থীরা কৌশলী পার্টি হিসেবে সি পি আই কে চিহ্নিত করে। ইন্ডিয়া ইজ ইন্ডিয় শ্লোগানে নব কংগ্রেস তখন বাংলার মুখ।৭৫ এ এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে ইন্দিরা গান্ধীর নির্বাচন খারিজ । প্রতিক্রিয়া ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন রাত এগারোটায় ইন্দিরা জারি করলেন জরুরি অবস্থা। গণতন্ত্রের কণ্ঠ হল রোধ। টিভি নাইন বাংলার নিউজ সিরিজে দ্বিতীয় পর্বে তুলে ধরছে ষাট সত্তরের দশকের সেই উত্তাল সময়। নির্বাচনকে ঘিরে শাসক বিরোধীদের সংঘাত। সঙ্গে বিশিষ্ট জনের বিশ্লেষণ। থাকছে লোকসভা নির্বাচনের সাত কাহন। চোখ রাখুন রবিবার ১৭ মার্চ রাত দশটায়,টিভি নাইন বাংলায় নিউজ সিরিজ ভোট যুদ্ধ , দেশের লড়াই।