****
সুজিৎ চট্টোপাধ্যায় : ১৮৬০। কলকাতা তখন ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী। সিপাহী বিদ্রোহ হয়ে গেছে ছ সাত বছর আগে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় স্থপতি হয়েছে তিনবছর আগে। কাছেই ঝামাপুকুর লেন।রামকৃষ্ণদেবের দাদা রামকুমার এখানেই ছিল টোল। নব্য বাবু কালচারের বাঙালি জমিদাররা যখন পায়রার উড়িয়ে বেড়ালের বিয়ে দিয়ে ক্লান্ত হতেন বিশ্রাম নিতেন বাগানবাড়িতে বাইজির বছর আর খ্যামটা নাচে যৌনত্রার্ট আঁচড় পোহতে,তখনি এমনকি এক জমিদার তনয়ের বরদাপ্রসাদ মজুমদার সুরার নেশায় জমিদারি খুইয়ে কলকাতার বটতলায় রুজিরোজগারীত জন্য অল্প পুঁজিতে বই বিক্রি শুরু করেন। একসময় নিজের ছোট প্রেস তৈরি। উত্তরাধিকারসূত্রে সেজ ছেলে আশুতোষ মজুমদার দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়ে অভিধান বইটি প্রকাশ করে সাড়া ফেলার দেন।১৯২৪ সালে কিনে নেন বিদ্যাসাগরের রচনা সামগ্রী। অন্যতম বর্ণ পরিচয়।
সেই বছরেই প্রতিষ্ঠিত করেন প্রকাশনার সংস্থায় দেব সাহিত্যর কুটিরে।১৬৫ বছরের ঐতিহ্যর নিয়ে এবার প্রকাশিত হয়েছে ২৫ টি বই। প্রবীণ পরিচিত লেখকদের সঙ্গে নবীন অপরিচিত লেখকদের পাঠকদের সামনে হাজির করছে এবারের বইমেলায় ৩৭৫ নম্বর স্টলে। শুক্রবার বিকেলে কলকাতা প্রেস ক্লাবে সদ্য প্রকাশিত বইগুলির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। হাজির ছিলেন বেষ্ট কিছু লেখক , যাঁদের বই এদিন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।
নতুন ও কিছু পরিচিতি লেখকদের যে বইগুলি এদিন উদ্বোধন হয় সেই লেখক তালিকায় আছেন আশুতোষ মুখোপাধ্যায় কন্যা সর্বাণী মুখোপাধ্যায়, শান্তিপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়, রাজা ভট্টাচার্য, রমেশচন্দ্র দত্ত, হিমাদ্রীকিশোর দাশগুপ্ত, বিনোদ ঘোষাল,সুভাষ ধর, অঞ্জলি ভট্টাচার্য, সুনীল বন্দোপাধ্যায়, ডা: সিদ্ধার্থ ঘোষ,সূর্যদয় চ্যাটার্জি, সুজাতা সাউ জাটী, পুলক কুমার বন্দোপাধ্যায়, বন্দনা পাল, অহন সেনগুপ্ত, সুরঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়,শ্রীপর্ণার নিয়োগী, সোমা চক্রবর্তী, চণ্ডীচরণ দাস, সৃজন সেনগুপ্ত, সুব্রত মণ্ডল, অমৃতা দে ঘোষ, মিত্রা দাসi, সুদীপা চৌধুরী, দীপঙ্কর ঘোষ, প্রমুখ। এছাড়াও নবকল্লোল পত্রিকার প্রকাশিত কিছু ভূতের গল্পের সংকলন প্রকাশ হয়েছে।প্রকাশনা সংস্থার পক্ষে ছিলেন, সংস্থার ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও শুকতারা সম্পাদক রাজর্ষি মজুমদার ও নবকল্লোল পত্রিকার সম্পাদক ও সংস্থার ডিরেক্টর রাজিকা মজুমদার ও আমন্ত্রিত বহু লেখক, শিল্পী, সাংবাদিক প্রমুখ।