দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : হকারদের কাছ থেকে পুলিশ আর খুচরো নেতাদের হাত ঘুরে ওপরতলার নেতাদের কাছে পৌঁছে যায় তোলার টাকা। এটা ওপেন সিক্রেট। নবান্ন থেকে হকার এবং দখলকারী সংক্রান্ত বিষয়ে পুলিশ আধিকারিকদের ও রাজ্যের শাসক দলের বহু নেতা ও কর্মীদের তুলোধনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।২৪ জুন সোমবার প্রথম ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই টনক নড়ে মন্ত্রী সান্ত্রীদের । রাজ্য জুড়ে শুরু হয়ে যায় উচ্ছেদ অভিযান। উত্তরপ্রদেশের বুলডোজার সংস্কৃতির সংক্রমণ বাংলায় দেখা গেল। সাফ হল ফুটপাথের বেআইনি কাঠামো।দখল মুক্তির ৪৮ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিলেন তিষ্ঠ ক্ষণকাল।হকারদের নিয়ে একগুচ্ছ সিদ্ধান্তের কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে দুদিন পরেও মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনের উদাসীনতা ও অসাধু কাজের তীক্ষ্ণ সমালোচনা করতে ছাড়েন নি।
মুখ্যমন্ত্রী জানালেন , হকারদের একমাস সময় দেওয়া হচ্ছে। ততদিন উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ থাকবে। নতুন কোনো হকার স্বীকৃতি পাবেন না। শুধু কি ফুটপাত দখল? বেআইনি বাড়ি নির্মাণে দখল হচ্ছে আকাশ। দখল হচ্ছে জল, জঙ্গল পাহাড়, নদী। কীভাবে মিটবে এই বেআইন দখল? ১৯৯৬ সালে অপারেশন সানশাইন গালভরা নাম দিয়ে বাম প্রশাসন ফুটপাথ দখল মুক্ত করার প্রয়াস চালিয়েছিল বুলডোজার দিয়ে। সেই ব্যর্থ পদক্ষেপ বামের জন্য আজও অস্বস্তিকর। সেদিন হকারের পাশে ছিলেন মমতা। আজ তাঁর শাসনেই উচ্ছেদের ফলে অস্তিত্ব হারানোর আশঙ্কায় ভুগছেন হকারেরা। তৃণমূল কি হবে তাদের ঘাতক? দীর্ঘদিনের এই সমস্যার সমাধান কি ভাবে? কেন বাড়ছে হকার সমস্যা? কারা কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছেন রাস্তায় হকার বসিয়ে? সেই সত্যি টা ফাঁস করবে টিভি নাইন বাংলা নতুন নিউজ সিরিজ জবর দখল। রবিবার ৩০ জুন রাত ১০ টায়।