*
দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : খাদ্য সংগ্রহ শুধু উদরপূরণের জন্য নয়, শক্তির জন্যই খাদ্য সংগ্রহ। তাই ভিজিটেল হোটেল সংস্থার শক্তিরূপেন পুজোর ভোজ সার্থক নামকরণ। বৈদিক যুগের খাদ্য গ্রহণ করেও অনেকেই রোগগ্রস্ত হত তাই দেবতাদের কাছে প্রার্থনা, যক্ষ্মারহিত অন্ন প্রচুর পরিমাণে _ অযক্ষ্মা বৃহ তীরিষ: ৯/৪৯/।১ দোহন করে দাও পুষ্টিবর্ধক অন্ন। [ ধুক্ষস্ব পিপুষী মিষম ৯/৬১/১৫। অগ্নির কাছে প্রার্থনা জানানো হত অগ্নি আয়ু সৃষ্টি কর,শক্তি এবং অন্ন ( সৃষ্টি করে দাও) অন্নই পুষ্টির উৎস। পুষ্টিই শক্তির উৎস।
কালীপ্রসন্ন সিংহ ওরফে হুতুম প্যাঁচা বাঙালির পার্বণ প্রসঙ্গে একটি প্রবন্ধ লেখেন পল্লিগ্রামস্থ বাবুদের দুর্গোৎসব। সেখানে তিনি লিখেছেন,,,, বাবুর বাড়ির পুজো, বড় জাঁক,১৫ দিন থেকে নহবৎ বসেছে। এখানে লুচিমণ্ডার অভাব নেই, সাতদিন আগে থেকে ভিয়েন চলছে অনবরত মিষ্টান্ন তয়ের হচ্ছে। এখানে শুধু লুচি মণ্ডা কেন খুঁজলে বিফ স্টেক পর্যন্ত মেলে।,,,,,,,,, এমন সময় পুরোহিত মহাশয় তন্ত্রধার সঙ্গে বাবুর বাড়ি এসে উপস্থিত হলেন। তিনি বাবুর কাছ থেকে হবিষ্যের পয়সা নিয়ে গিয়ে, দিব্যি মাছ ভাত খেয়ে বোধন কর্তে এলেন। সুতরাং বাঙালির দুর্গা পুজো প্রথম থেকেই উৎসব। সে উৎসবে পেটপুজোর আমাদের এক বৈশিষ্ট্য আছে। এশিয়ায় প্রথমে হোটেল সংস্কৃতি তত কলকাতায় শুরু ১৮৩০ সালে। এরপর থেকে হোটেল বেড়েছে, বেড়েছে গ্রাহক। এখন তো ব্যূটিক হোটেলের যুগ। উৎসবে পাবনে বাঙালিয়ানা বজায় রাখার এক পরিকল্পিত ধারা গড়ে উঠেছে।
পূর্ব কলকাতার বাইপাসের ধারে অ্যাপেলো হাসপাতালের পাশে ভিজিটেল হোটেলের শুর কিচেন রেস্তোরাঁয় পুজোর কদিন লাঞ্চ ও ডিনারে থাকছে শক্তিরূপেন ভোজের আয়োজন। সাধারণ মধ্যবিত্তের সাধ ও সাধ্যের মেলবন্ধন ঘটিয়ে মাত্র ৭৯৯ টাকার ব্যুফে ও আলাকার্ট ব্যবস্থা থাকছে। বাংলার সাবেকি ঘরোয়া রান্নার একটি বিশাল তালিকা। আপ্যায়ন পানীয়তে থাকছে আমপোড়া সরবত, গন্ধরাজ ঘোল, কোমল পানীয়। শুরুর পাতে ডিমের ডেভিল, চিকেন টিক্কা , মোচার চপ, ভিক্টোরিয়া বড়া ,ভেজিটেবল কাটলেট।
মূল পর্বে বেছে নিতে পারবেন- কলকাতা স্টাইল হান্ডি মুর্গ বিরিয়ানি, মটন কষা, কাঁচা লঙ্কাবাটা দিয়ে ভাপা পারশে সর্ষে, মাছের ডিমের টক, কড়াইশুঁটি -ধোকার ডালনা, আলু -পোস্ত, শুকতো, পাঁচমিশালী চচ্চড়ি, সবজি দিয়ে মুগ ডাল, নারকেল দিয়ে ছোলার ডাল, বাসন্তী পোলাও, ঘি ভাত, লুচি, রাধাবল্লভি, কূলের টক, আমসত্ত্ব খেজুরের চাটনি, প্লাস্টিক চাটনি, ফ্রুটি চাটনি, আলু -চানা চাট, গ্রিন সালাড, লাচা অনিয়ন ,মিক্সড পিকল, টক দই ,রায়তা, আলু পাঁপড়, চিংড়ি পাঁপড়, সাবুদানা পাঁপড়, ভাজা পাঁপড়, আলুঝুরি ভাজা, বেগুন ভাজা, মিষ্টি কুমড়ো ভাজা, করলা ভাজা, বড়ি দিয়ে শাক ভাজা ,গোবিন্দভোগ ক্ষীর, বেকড রসগোল্লা, মিনি গুলাব জামুন, মুজি , গরম মালপোয়া সঙ্গে রাবড়ি, আইসক্রিম।
হোটেলের জি এম তুহিন রায় জানালেন,বছরভর জীবন সংগ্রামে মধ্যবিত্ত ব্যস্ত থাকেন।উৎসবের কটা দিন একটু অবসর। অবসরের সঙ্গী ভুরি ভোজ। বাঙালির আদি ও অকৃত্রিম রন্ধনশৈলী। আমরা সেটাই এবার নিবেদন করছি গ্রাহকদের কাছে।হোটেলের আছে থাকার ব্যবস্থা। কম খরচে উৎসব উপভোগ করতে আমরা স্বাগতম জানাচ্ছি। সোল কিচেনের মূল শেফ শান্তনু ঘোষ জানালেন, বাঙালি সারা বছর যেসব পদ ঘরে খেয়ে অভ্যস্ত বা কাজের চাপে রাস্তায় যত্রতত্র খেতে হয়, বাড়ির খাবারে বঞ্চিত হন, তাঁদের কথা মনে রেখে আমরা পুজোর কদিন এই ভোজের মেনু ঠিক করেছি। বাজেট ফ্রি সাইট ব্যূফে বা আলাকার্ট যেমন খুশি চেখে দেখুন ভিজিটেলর হোটেলের সোল কিচেনের সেরা সব স্বাদের পদ। ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ম্যানেজার সৌমিত্র রাউত জানান বুকিং চলছে। মাস বুকিংয়ের ছাড়ের সুযোগও আছে।