বেশ্যার বারমাস্যা

পর্ব: ১২২

প্রাচীন রোমে ছিল অবাধ যৌন স্বাধীনতা।

সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়: শুধু ভারতীয় সভ্যতায় নয়, চতুর্দশ শতাব্দীতেও রোমে নারীর রতি সম্ভোগের স্বাধীনতা নিয়ে লিখেছেন অধীর রঞ্জন দে তাঁর বিবাহের স্বাধীনতা বনাম রতি সম্ভোগের স্বাধীনতা নিবন্ধে। যা প্রকাশিত হয়েছে স্বদেশচর্চা লোক পত্রিকার শারদ ২০১৬ সংখ্যায়। লেখক লিখেছেন, কি বিবাহিতা, কি কুমারী_ যে কোনও নারী যে কোনও পুরুষকে আহ্বান করিয়া নিজের যৌন উত্তাপ প্রশমিত করিতে পারিত। ইহাতে সমাজের অনুমোদন ছিল। চতুর্দশ শতাব্দীর গোড়াতে রোমে পার্থার নামের বারো বছরের এক সুন্দরদেহী বালকের সঙ্গে রতি সম্ভোগের জন্য এবং তাহার বীর্যে সন্তান ধারণের জন্য রোমের নারী মহলে কাড়াকাড়ি আরম্ভ হইয়াছিল। (পৃষ্ঠা:৪৪)

প্রাচীন রোমে পুরুষ যৌনকর্মী পার্থারের ছিল আকাশচুম্বী চাহিদা নারী মহলে।

লেখক বর্ণনা করেছেন,পার্থার ছিল তুলিতে আঁকা নিখুঁত সুন্দরদেহী একটি ছোট্ট হারকিউলিস। শ্বেতশুভ্র গাত্রবর্ণ , পেশীবহুল সুগঠিত দেহ _ নিঃশ্বাস- প্রশ্বাসের সাথে সাথে বক্ষের সুগঠিত ও উন্নত পেশীগুলি ঢেউ খেলিয়া যাইত; চওড়া বক্ষ, সরু কটিদেশ, অপূর্ব সুন্দর মুখশ্রী, বড়ো বড়ো ভাসা দুইটি নয়ন- তারা, সূক্ষ্ম ভুরু যুগল, কুঞ্চিত কেশদাম। পার্থার ছিল যেমন বৃহৎ পুরুষাঙ্গের অধিকারী, তেমনি ছিল তার অদ্ভুত যৌন ক্ষমতা। উত্তেজিত দৃঢ় অবস্থায় ঘন কৃষ্ণবর্ণ কুঞ্চিত যৌনাকেশে আচ্ছাদিত তাহার পুরুষাঙ্গ লম্বায় বারো ইঞ্চি আর ঘেরাতে আট ইঞ্চিআকার ধারণ করিত এবং সে অনায়াসে একঘন্টা বীর্য স্তম্ভন করিয়া নারীর সহিত সম্ভোগ করিত। প্রতিবার যৌন সঙ্গমের জন্য সম্ভোগভোগী নারীকে পার্থারকে মোটা টাকা দক্ষিণা দিতে হইত।( পৃষ্ঠা:৪৪)

লেখকের বর্ণনায় আছে আরও বিষ্ফোরক বর্ণনা। পার্থারকে দিয়া নিজের স্তনযুগল চুম্বন করাইতে হইলে যে কোনও নারীকে তাহার জন্য আলাদা দক্ষিণা দিতে হইত এবং কোনও নারী পার্থারের লিঙ্গমাত্র চুম্বন ও লেহন করিলে পার্থার তাহার জন্যও আলাদা অর্থ নিত। রোম সম্রাটের কুমারী কন্যা অষ্টাদশী সুন্দরী পার্থারকে আহ্বান করিয়া একমাস নিজের প্রাসাদে রাখেন এবং তাহার দ্বারা নিজের গর্ভ উৎপাদন করান। পার্থার প্রতিদিন আট হইতে বারো বার সম্রাট দুহিতার আহ্বানে তাহার সহিত সম্ভোগ করিত। ( চলবে)

পরবর্তী পর্ব: আগামী শুক্রবার ২০ জুন,২০২৫

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *