বেশ্যার বারোমাস্যা

পর্ব: ৯৪

লেখক নিকোলাওস ভ্রিসিমটজিস ।

সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়: গ্রিসের প্রেম ও যৌনজীবন প্রসঙ্গে রুশ লেখক নিকোলাওস ভ্রিসিমটজিস যে বইটি রচনা করেছেন তার বাংলা অনুবাদক বাংলাদেশের আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু ১৮ পৃষ্ঠায় লিখেছেন,,,,,, বিয়ের সমান্তরাল ব্যবস্থা চালু ছিল রক্ষিতা রাখার ব্যবস্থায়। দূর এলাকায় যুদ্ধরত পুরুষরা নারীর সাহচর্য থেকে বঞ্চিত থাকবে, এটা কখনোই কাম্য ছিল না। অতএব ট্রয় অবরোধের সময় সুন্দর ক্রীতদাসীদের নেওয়া হয়েছিল সঙ্গ দেওয়ার জন্য। এধরণের রক্ষিতাদের মধ্যে সেরা দুটি নাম ক্রাইসেইস ও ব্রাইসেইস । প্রথমজন ছিল আগামেমনের রক্ষিতা আর দ্বিতীয়জন অ্যাচিলেসের রক্ষিতা। আগামেমনন তার স্ত্রীর চাইতে রক্ষিতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন, যে ছিল স্বল্পবয়স্কা, সুন্দরী, অধিক শিক্ষিতা এবং অধিকতরযোগ্যতাসম্পন্না।

ট্রয়যুদ্ধের যোদ্ধার রক্ষিতা।

অন্যদিকে অ্যাচিলেস ব্র্যাইসেইস সম্পর্কে বলেন, সে তো সামান্য বন্দিনী ছাড়া আর কিছু নয়। কিন্তু আমি তাকে হৃদয়ের গভীর থেকে ভালবাসি। এবং তাকে যখন অ্যচিলেসের কাছ থেকে আগামেমনের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, তখন সে তার হৃদয় ছেড়ে যায়। অর্থাৎ ব্রাইসেইসও অ্যাচিলেসকে ভালোবাসতো, যদিও অ্যাচিলেস তার স্বামী ও ভাইদেহত্যা করেছিল।

গ্রিসে রাজার হারেম।

অনুবাদক আরও লিখেছেন, ট্রয়ের রাজা প্রায়ামাসের হারেম ভর্তি রক্ষিতা ছিল মনে হয়। কারণ তার পঞ্চাশজন পুত্র ও বারো জন কন্যা ছিল দৃশ্যত তার বৈধ স্ত্রী হেকুবা কিম্বা লাওথোয়ে’র গর্ভে এতো অধিক সংখ্যক সন্তান উৎপাদিত হওয়া অসম্ভব ব্যাপার। কারণ লাইকেয়ন একবার অ্যাচিলেসকে বলেন,,,,,, আমার মা লাওথয়ো যিনি প্রবীণ অ্যালটেসের কন্যা, তিনি প্রায়ামাসের বহুসংখ্যক স্ত্রীর একজন। তার গর্ভে আমার এবং আমার ভা পলিডোরাসের জন্ম। লক্ষণীয় বিষয়, রক্ষিতা রাখার ব্যাপারে গ্রিসের সমাজ কল্যাণকর মনে করত।( চলবে)

পরবর্তী পর্ব আগামী শুক্রবার ১৪ মার্চ

****

*****

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *