পর্ব : ৮৩
জাপানি লেফট্যানেন্ট জেনারেল ওকামুরা ইয়সুজি।
সুজিৎ চট্টোপাধ্যায় : জাপানি সেনাদের নারী নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে লেখিকা রাধিকা কুমার স্বামী স্বদেশলোক চর্চা শারদ ২০১৬ সংখ্যা পত্রিকায় তাঁর কমফর্ট উওম্যান: পুরুষতন্ত্রে নগ্নতম যুদ্ধাপরাধ শীর্ষক নিবন্ধে লিখেছেন, জাপানি লেফট্যানেন্ট জেনারেল ওকামুরা ইয়াসুজি তাঁর স্মৃতিচারণায় স্বীকার করেছেন যে তিনিই সাংহাইতে প্রথম কমফর্ট স্টেশনের মূল প্রবক্তা ছিলেন, জাপানি সেনাদের মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় নাগাসাকির শাসনকর্তা একটি কোরীয় গোষ্ঠীর বেশ কয়েকজন মহিলাকে সাংহাই পাঠান। তাঁদের জাপান থেকেই পাঠানো হয়। সুতরাং কেবল সেনাবাহিনীর নয়, স্বরাষ্ট্র দপ্তরও এই বিষয়ে দায়বদ্ধ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এমনই ৫×৩ ঘরে হতভাগ্য মেয়েদের রেখে যৌনদাসী বানাতো জাপানের সেনাবাহিনী।
তথ্য বলছে, মার্কিন সামরিক বাহিনীর কাজে নিযুক্ত দালালরা এবং কোরীয় পুলিশ গ্রামে এসে মেয়েদের ভালো কেজির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ও মহিলা স্বেচ্ছা বাহিনীতে নিয়োগের নামে কোরীয় পুলিশ গ্রাম থেকে তরুণীদের সংগ্রহ করত। অর্থাৎ নিয়মের ছদ্ম পরিকল্পনায় মেয়েদের সেনাবাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করা হয়। কেউ লুকিয়ে পড়লে জাপানি সামরিক বাহিনী অনুসন্ধান করে মেয়েদের খুঁজে বার করতে। কমফর্ট স্টেশন মুলত একতলা ও দোতলা বাড়ি থাকতে। নিচেরতলায় খাওয়ায় ঘর ও আমন্ত্রণ কক্ষ। মহিলাদের ঘর দোতলায়। ছোট ছোট ব
খুপরি ।একটায় বিছানার মত জায়গা।ঘরের মাপ ৩×৫ ফুট। একেকটি মেয়েকে গড়ে রোজ ৬০/৭০ যন্ত্র জাপানি সেনাকে যৌনসুখ দিতে হতো। কনকনে ঠাণ্ডায় মেঝেতে তোষক পেটের শুতে হতো। খুপরি গুলোতে দরজার নয়, পর্দা টাঙানো থাকত।সেন বাহিনীর ডাক্তাররা মাঝে মাঝে এসে মেয়েদের পরীক্ষা করে দেখত যৌনরোগ হয়েছে কি না। কিন্তু সিগারেটের ছ্যাঁকা ক্ষত , আঁচড কামড়ের দাগ বেয়নেটের খোঁচা থেকে ক্ষত বা মারের চোটে হাড় ভাঙলে তার চিকিৎসা হতো না। (চলবে)
পরবর্তী পর্ব আগামী শুক্রবার ৩১ জানুয়ারি,২০২৫
*******