*
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন নরম প্রার্থী দিয়ে হবে না। তাই প্রার্থী বদল যাদবপুরে
দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : লোকসভা নির্বাচনে সপ্তম ও শেষ দফার ভোটে বাংলার ৯ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হল। তালিকায় ছিল দমদম, উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, বারাসত , বসিরহাট, জয়নগর , মথুরাপুর , ডায়মন্ড হারবার ও যাদবপুর। যাদবপুর কেন্দ্রটি ছিল অন্যতম নজরকাড়া কেন্দ্র । গত কয়েকটি নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদল এই কেন্দ্রটি বামেদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। কিন্তু প্রার্থী জিতলেও দ্বিতীয়বার আর সেই জয়ী প্রার্থীকে সুযোগ দেওয়া হয়নি। গতবারের বিজয়ী প্রার্থী ছিলেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। কিন্তু দলীয় রাজনীতির ঘেরাটোপে সংসদীয় রাজনীতিতে রপ্ত না থাকায় এলাকায় ছিল ক্ষোভ। ফলে অঙ্ক কষেই তৃণমূল এবার ডাকাবুকো প্রার্থী করেছ আরেক অভিনেত্রী প্রার্থী সায়নি ঘোষকে। মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন জনসভায় এই কেন্দ্রের প্রার্থী বদলের কৈফিয়ত দিতে গিয়ে বলেন এখানে অনেকে খুব বাড়াবাড়ি করছে। নরম লোক দিয়ে হবে না। তাই সায়নিকে দল মনোনয়ন দিয়েছে। বিরোধী দলও এখানে প্রার্থী বদল করেছে। সি পি এম দলের প্রার্থী ছিলেঅভিজ্ঞ সুজন ভট্টাচার্য দল এবার নতুন যুবনেতা সৃজন চক্রবর্তীকে প্রার্থী করেছে। বিজেপিও এখানে প্রার্থী বদল করে টিকিট দেয় ড: অনির্বাণ গাঙ্গুলি। বিজেপির ভোট কাটতে দলের প্রাক্তন চন্দ্রচূড় গোস্বামী প্রার্থী হয়েছেন হিন্দু মহাসভার প্রার্থী হিসেবে। অন্যদিকে বাম ভোট কাটতে এখানে প্রার্থী আই এস এফের নুর আলম খান।
হিন্দু মহাসভা প্রার্থী চন্দ্রচূড় গোস্বামী ও আই এস এফ প্রার্থী নুর আলম খান কতটা ভোট কেটে বিজেপি , বাম ও তৃণমুলকে সংকটে ফেলবে?
যাদবপুরে মোট ভোটার ২০,৩৩ ৫২৫ জন? মহিলা ভোটার এখানে বেশি। ১০,২৬,৬২৮ জন। পুরুষ ভোটার ১০,০৬,৭৭৭ জন? তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১২০ জন? মোট বুথ ২১২০। ভোটের আগের দিন থেকে যাদবপুর কেন্দ্রের ভাঙ্গরে যখন হাওয়া গরম হয়ে ওঠে যার রেশ ভোটের দিন পর্যন্তগড়ায় তখন সেই যাদবপুর কেন্দ্রেই গড়িয়া অঞ্চল ছিল শান্ত। সকালের দিকে বুথে বুথে ভিড় থাকলেও বেলা গড়াতেই ভিড় জমে যেতে থাকে। এই প্রতিবেদক এখনকার কয়েকটি বুথে গিয়ে দেখেন ভোটার নেই। হাত গুটিয়ে নিজেরা গল্প করছেন। ব্রহ্মপুরে দেখা গেল পাশাপশি বসে তিন শিবিরের তিন দলীয় কর্মীরা। গড়িয়া বরদা প্রসাদ হাই স্কুলে নির্বাচন কমিশন গড়ে তোলেন পিঙ্ক বুথ। বিয়েবাড়ির মসাজানো বুথে নারী পুরুষ ভোট দিচ্ছেন নিশ্চিন্তে এক বৃদ্ধ দম্পতি ভোট দিয়ে পাখার তলায় সোফায় বসে নির্বাচন কমিশনের প্রশংসায় পঞ্চ মুখ । অন্য কয়েকটি বুথে দেখা মিলল নতুন প্রজন্মের ভোটারদের। যাঁদের অনেকে এবারপ্রথম ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। কেউ বললেন, মন্দের ভালোকে ভোট দিয়েছি ভবিষ্যতের কথা ভেবে। কেউ বললেন, ভোট দেওয়া নাগরিক অধিকার , তাই দিলাম কোনো প্রত্যাশা বা চাহিদা নেই। ৪ জুন ফলাফল। বুথ ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলে যা মনে হল , বিজেপি এখান আলোচনাতেও নেই। সি পি এমের প্রার্থী স্বচ্ছ ভাবমূর্তির। কিন্তু দিদির ইমেজের কাছেঅনেকটাই খাটো। তবে জোর লড়াই থাকবে। সম্ভবত তৃণমুলের ভোট কমবে। বিজেপি নেমে যাবে তৃতীয় স্থানে।
যাদবপুর কেন্দ্রে বিজেপি এবার তৃতীয় স্থানের জন্য লড়ছে?