দিগ্দর্শন ওয়েব ডেস্ক: মিথ্যে বিজ্ঞাপন দিয়ে পতঞ্জলি সংস্থার পণ্যের বিক্রি ও অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়ানোর বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে দেশের চিকিৎসক সংগঠনের তরফে যে মামলা শীর্ষ আদালতে করা হয়েছিল সেই প্রেক্ষিতে আদালতে হাজির হওয়ার নোটিশ দেওয়া হয় রামদেব বাবা ও পতঞ্জলি সংস্থার প্রধান বালকৃষ্ণকে। অভিযুক্ত দুজন শুনানিতে আইনজীবীর উপস্থিতির কথা জানানো হয়। কিন্তু শীর্ষ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে আজ ২ এপ্রিল সশরীরে উপস্থিত থাকার কথা দুজনকে জানানো হয় । বেগতিক দেখে রামদেব বাবা ও বালকৃষ্ণ ক্ষমা প্রার্থনা করে এক আবেদনে জানান, ভবিষ্যতে এমন ভুল হবে না। কিন্তু শীর্ষ আদালতের দুই বিচারক সেই ক্ষমা প্রার্থনার আর্জিও খারিজ করে দিল।
চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি বিভ্রান্তিকর বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন প্রকাশের জন্য পতঞ্জলি সংস্থাকে নির্দেশ দেয় পরবর্তী আদেশ না দেওয়াপর্যন্ত সংস্থার পণ্য বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। বিচারপতি হিমা কোহলি ও আহসানুদ্দিন আমানুল্লাহর বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। রামদেব বাবা আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছিলেন, কিছু চিকিৎস তাদের সংস্থার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যে অভিযোগ করেছেন। রামদেব বাবা আরও বলেছিলেন অভিযোগ প্রমাণ করলে তিনি হাজার কোটি টাকা জরিমানা দেবেন। এমনকি ফাঁসির দড়ি গলায় পড়ে নেবেন। কিন্তু মঙ্গলবার বিচারপতিরা রামদেব ও বালকৃষ্ণকে চরম তিরষ্কার করে বলেন , আপনারা চরম অবাধ্য। সহ্যের সীমা অতিক্রম করে গেছেন। গোটা দেশের কাছে ক্ষমা চান। রামদেব বাবার আইনজীবি আদালতকে জানান, অভিযুক্ত দুজন আদালতে হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করছেন। জবাবে বিচারপতিরা বলেন এই ক্ষমা প্রার্থনা লোক দেখানো। সব সীমা অতিক্রম করে ক্ষমা প্রার্থনা আন্তরিক নয়। আদালতের রায়ের চূড়ান্ত ফল জানতে অপেক্ষা করতে হবে বিকেল পর্যন্ত।