দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : ষাটের দশকে দুচাকা গাড়ির পিছনে সুচিত্রা সেনকে বসিয়ে উত্তমকুমার বলেছিলেনএই পথ যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হতো তুমি বলতো? সুচিত্রা জবাব দিয়েছিলেন না না তুমিই বলো। ষাটের দশকে গাড়ির চালকের আসনে মেয়েরা সেটা দেখতে বাঙালি অভ্যস্ত ছিলেন না। বয়স বেড়েছে বয়সের। আজ মেয়েরা স্কুটার কেন, মহাকাশ যান যেমন চালাচ্ছে, তেমন জীবন সংগ্রামে অটো, ট্যাক্সি এমনকি বাসও চালাচ্ছে।১৯১১ সালে হল্যান্ড প্রথম স্কুটার আবিষ্কার করে। সে স্কুটারের জ্বালানি ছিল গ্যাস। তিরিশের দশকে স্কুটারের গঠনতন্ত্র এত হাল্কা ওজনের , মেয়েদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে স্কুটার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে শত্রু ভূমিতে প্যারাসুটে অবতরণকারী সেনাদের সঙ্গে দেওয়া হত ফোল্ডিং স্কুটার।
১৯৯৬ সালে প্রথম যখন পেট্রল জ্বালানির বিকল্প হিসেবে ব্যাটারি যান প্রয়োজন হয়ে পড়ল সর্বোচ্চ ৩১ মাইল গতির স্কুটার বাজারে আসে। তবে ইতিহাস বলছে, বৈদ্যুতিক যানের পরিকল্পনা ১৭৪০ থেকেই ভাবা শুরু হয়।১৭ ৯৯ তে ইটালিয়ান পদার্থবিদ আলেসান্দ্রো ভোল্টা ব্যবহারিক ব্যাটারি আবিষ্কার করেন। তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েই ব্যাটারির শক্তির পরিমাপ ভোল্ট হিসেবে পরিচিত। সীসা ব্যাটারির আবিষ্কার ১৮৫৯। পেট্রল জ্বালানির পরিবর্ত জ্বালানি একদিকে যেমন দূষণমুক্ত অন্যদিকে সাশ্রয়শীল।
বাজারে এখন অনেক কোম্পানি ব্যাটারিচালিত স্কুটার এসেছে। কলকাতায় কসমিক ইভি লিমিটেড ও কসমিক বিড়লা গ্রুপের উদ্যোগে রাফ্ট কসমিক ইভির চারটি মডেলও আকর্ষণীয় রংয়ের ব্যাটারিচালিত অত্যাধুনিক স্কুটারের বিপণন শুরু হল। বাজারে আসছে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন ১৫ এপ্রিল। জুয়েল অফ দি ক্রাউন ইভি জানস্কার, ওয়ারিয়র পি আর ও , ম্যাগনেটিক ও ইন্দাস। প্রতিটি স্কুটার নজরকাড়া অত্যাধুনিক ডিজাইন, রং। ব্যাটারি ওয়ারেন্টি ৩০ হাজার কিলোমিটার। মাত্র তিন চার ঘণ্টা চার্জিং টাইম। চার্জিং ওয়ারেন্টি এক বছরের। ডিজিটাল ডিসপ্লে। ১২ ইঞ্চির চাকা। মোটর ও কন্ট্রোলার ওয়ারেন্টিও এক বছরের। ভার বহনের ক্ষমতা ১৫০ কেজি। গতি ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটারেরও বেশি।
কিস্তিতে কেনার জন্য ব্যাংক ঋণেরও ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। ভারত জুড়ে রয়েছে উন্নতমানের বিক্রয়োত্তর পরিষেবা। কলকাতার রাস্তায় গাড়ি নিয়ে কোনো অসুবিধের সম্মুখীন হলে একটা ফোন করলেই পরিষেবাটিম পৌঁছে যাবে আপনার অকুলস্থলে। সংস্থার চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর আদিত্য বিক্রম বিড়লা বলেছেন, আমি কলকাতার ছেলে। এখানকার গ্রাহকের সুবিধা অসুবিধার কথা মাথায় রেখে এই চারটি মডেলের ব্যাটারীচালিত সম্পুর্ণ ডিজিটাল নির্ভর প্রযুক্তি দিয়ে স্কুটার নির্মাণ করেছি। দূষণমুক্ত পৃথিবী গড়ে তুলতে আমাদের অঙ্গীকারের ফসল এই স্কুটার।
বিজ্ঞাপন
উপস্থিত বিশিষ্টদের মধ্যে ছিলেন গ্রুপের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার জিতেন্দ্র কোচার, চিফ অপারেটিং অফিসার বেদান্ত মিমানি, চিফ প্রোডাক্ট অফিসার কুশল চৌধুরি, চিফ মার্কেটিং অফিসার রাজীব শিশির নগর, চিফ টেকনোলজি অফিসার কুমার সুদর্শন ও মার্কেটিং প্রধান আদিত্যবিক্রম মালু। বিশেষ অতিথি ছিলেন অভিনেতা নীল ভট্টাচার্য ও প্রিয়াঙ্কা ভট্টাচার্য । বৈদ্যুতিক যান শিল্পে রাফ্ট কসমিক ইভির পদক্ষেপ বাংলা নতুন বছরের শুরুতে এক ইতিবাচক দিক হয়ে ওঠার সম্ভবনা প্রবল।