দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: স্বাধীনতার ৭৯ বছরটি পর আপনি আমি ভারতের নাগরিক কিনা প্রমাণ করতে হবে। তাই নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে এস আই আরের আড়ালে নাগরিকত্বের প্রমাণ এন আর সি লাগু করার চক্রান্ত করা হচ্ছে এমন অভিযোগ দেশের বিরোধী দলগুলির। সত্যিই কি এই অভিযোগের সত্যতা আছে? সত্যতা আছে ।এই বিষয়টি তথ্য সহকারে বেশকিছু বছর ধরে জনসচেতনতা প্রচার করেছেন লেখক দলিত অধিকার প্রতিষ্ঠার যোদ্ধা মানিক মণ্ডল ওরফে মানিক ফকির।
২০২৬ রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে এস আই আর অভিযান যে আসলে হিন্দিভাষী রাষ্ট্রযন্ত্রের বাঙালি নিধন পরিকল্পনা তার তথ্যপ্রমাণাদি দিয়ে মানিক ফকির একটি বই রাজ্যের বাঙালিদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেন। বইটি প্রকাশে এগিয়ে আসেন সাহিত্যিক প্রিয়ংবদাদেবী তাঁর কলকাতা প্রকাশন সংস্থার পক্ষে। বইটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ ঘটল কলকাতা প্রেস ক্লাবে। উপস্থিত ছিলেন প্রকাশক প্রিয়ংবদাদেবী , লেখক মানিক ফকির, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী নাট্যকার ব্রাত্য বসু, সাহিত্যিক, বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী, অধ্যাপক সৈকত ভট্টাচার্য, রবীন্দ্রনাথ তালুকদার ও প্রকাশন সংস্থার পৃষ্ঠপোষক সুজয় মণ্ডল। বইটির উদ্বোধন করেন ব্রাত্য বসু। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক ছিলেন রাজু ঘোষ।
মানিক ফকির তাঁর সদ্য প্রকাশিত বইটিতে ৮ বছর ধরে গবেষণা করে দেশভাগের নামে বাংলা ভাগের ইতিহাস, তৎকালীন সময়ে কমিউনিস্টদের ভূমিকা, আর এস এসের আদর্শ ও নীতি স্বাধীন ভারতের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫ এর ( খ) অনুচ্ছেদ ৬, পাসপোর্ট অ্যাক্ট, ফরেনার্স অ্যাক্ট, মাইগ্রেশন সার্টিফিকেট ইত্যাদি বিষয়ের তথ্য তুলে ধরেছেন এমন দাবি করেছেন লেখক। সাধারণ মানুষের কাছে বিষয়টি ঝাপসা। সুতরাং বিষয়টি সম্পর্কে মানুষ ওয়াকিবহাল না থাকায় বাঙালি অস্তিত্ব সংকটে পড়তে চলেছে। সাধারণ মানুষ বইটি বিভিন্ন স্টলে পাবেন। এছাড়াও কলকাতা প্রকাশনের ৯৮৩৬৩২৭৫৩৬ বা ৭৬০৪০৪৩৩৭৫ ফোন নম্বরে যোগাযোগ করলে ফোনে বিনামূল্যে পি ডি এফ ফাইল পাঠানো হবে। লেখক মানিক ফকির জানান তথ্যগুলি সকলের কাছে পৌঁছয় সেটা তিনি চান।
