দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: শীতের রুক্ষতাকে বিদায় জানিয়ে ঋতুরাজ বসন্তের আগমনীতেই পাতা ঝরা গাছে নতুন প্রাণের গুঞ্জন। দোল বা হোলির রং খেলার সঙ্গে উত্তরাখণ্ডে আজও প্রথা মেনে হয় কুমায়ুনী হোলি। আবিরে রাঙানোর পাশপাশি ভীম পলাশী, সারং বা পিলু রাগপ্রধান গানের পশরা নিয়ে বসে বৈঠকি হোলি। বিজ্ঞান বলে ঋতু বদলের মধ্য দিয়ে জীবজগতে চিত্তের পরিবর্তন ঘটে। মানবজীবনে বসন্তের আগমনে অক্সিটসিন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। যৌনসুপ্ত আকাঙ্ক্ষার অনুভূতি আমাদের সঞ্চালিত করে। প্রাচীনকাল থেকেই তাই কামোৎসবের ঋতুবরণ হত। নাচ গান মাদকসেবন যার অঙ্গ। বয়স বেড়েছে বয়সের। আজকে সেই কামোৎসবের আধুনিক নামঙ্করণ হয়েছে হোলি পার্টি। ঋতু বন্দনার মধ্য দিয়ে জীবনের কিছু মুহূর্ত সুখী করে তোলার উৎসব। কলকাতা জুড়েই ছোট বড় এমন হাজারও পার্টি হল দিনভর। নজরুল তো লিখেই গেছেন, আয় লো সই খেলব খেলা, ফাগের ফাজিল পিচকিরিতে। আজ শ্যাম জোর করব ঘায়েল হোরির সুরের গিটকিরিতে। বসন ভূষণ ফেল লো খুলে, দে দোল দে দোদুল দুলে, কর লালে লাল কালার কালো আবির হাসির টিটকিরিতে…
তবে সবকিছু ছাপিয়ে নজর কেড়েছে কিংস এন্টারটেনমেন্ট নিবেদিত কিংস ম্যানিয়া হোলি উৎসব। নামেই মাদকতা। হোলির সকাল থেকেই গড়িয়া সংলগ্ন সোনার তরী প্রাঙ্গনে সাতরঙ্গা সামিয়ানার নিচে একে একে ভিড় জমতে থাকে বিনোদন সাম্রাজ্যের নক্ষত্রদের। তালিকাটি কম বড় নয়। রাজেশ শর্মা, দেবরাজ মুখার্জি , কৌশিকরাজ চক্রবর্তী, দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য ( জ্যাক), জয় বদলানি, রানা মিত্র, সম্পূর্ণা লাহিড়ী, পুজারিনী ঘোষ, মানসী সেনগুপ্ত, অনন্যা গুহ, অলোকানন্দা গুহ, রিয়া গাঙ্গুলি, সুমনা দাস, সায়ক চক্রবর্তী, কঙ্কনা হালদার সৃজনী মিত্র প্রমুখ।
পরিচালকদের তালিকায় ছিলেন প্রেমেন্দু বিকাশ চাকী , অভিজিৎ গুহ, শিলাদিত্য মৌলিক, অনিন্দ্য সরকার প্রমুখ। প্রযোজকদের তালিকায় ছিলেন প্রদীপ চুরিয়াল, কৃষ্ণা কয়াল, পবন কানোরিয়া এবং কৌশিক গুন প্রমুখ । দৈনন্দিন জীবন সংগ্রামের ছোট্ট এক বিরতিতে বাংলার বিনোদন পরিবারের এক ঝাঁক মানুষের সব পেয়েছির আনন্দ যোগান দিয়ে নজর কাড়ল বিনোদন সংস্থা কিংস এন্টারটেনমেন্ট।
ছবি: রাজেন বিশ্বাস